আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি ও জামায়াত দেশের জঙ্গি সংগঠনগুলোকে মদদ দিচ্ছে। আমাদেরকে তাদের ব্যাপারে সাবধানে থাকতে হবে।৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের বনগজ গ্রামের একটি খালের উপর নির্মিত প্রায় ৯৭ মিটার দৈর্ঘ্য একটি সেতু উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।পরে সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নমূলক মেঘা প্রকল্প পদ্মাসেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, টেলিভিশন চ্যানেলসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ও স্থাপনাগুলোতে নাকি সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি রয়েছে। পত্রিকায় খবর বের হয়েছে।ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের কাজ হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ যেন কষ্টে থাকে, সে ব্যবস্থা করা। ২০১৪ সালের নির্বাচনে সময় তারা আগুন সন্ত্রাস করেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। মানিলন্ডারিং মাধ্যমে টাকা বিদেশে প্রচার করেছে। ২০২৪ সালের নির্বাচনেও তারা ষড়যন্ত্র করেছে।আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কাছে তারা ভোটের জন্য আসে না। তারা বিদেশী মুরুব্বিদের কাছে কান্নাকাটি করে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় বসার অচেষ্টায় লিপ্ত।বিএনপি জামাতকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, এখন বাংলাদেশের মানুষ দেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করবে। আপনারা যদি সন্ত্রাস করতে চান, বাংলাদেশের অর্জন নষ্ট করতে চান, তাহলে আপনাদেরকে বলে দিতে চাই, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। তা মোকাবেলায় কঠোরভাবে আইন বাস্তবায়ন করা হবে।ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকার আহবান জানান মন্ত্রী।এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজলসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৯:৫৮ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২৮ অক্টোবর নিয়ে উদ্বেগে আছে ঢাকাবাসী। যদিও আইনশৃঙ্খলা রাক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তারা গণমাধ্যম কর্মীদের বলছেন, ভয়ের কিছু নেই। তারা সব সময় মানুষের পাশে আছে। কেউ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করলে সমস্যা নেই। কিন্তু মানুষের জানমাল ক্ষতি করার চেষ্টা করলে, তা শক্ত হাতে প্রতিরোধ করা হবে। কী নিয়ে এত উদ্বেগ, জানতে চাওয়া হয়েছিল পল্টন এলাকার একজন ফুটপাথের ব্যবসায়ীকে। তিনি জানান, তাদের সামনে ভাসছে আজ থেকে ১৭ বছর আগে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের ভয়ঙ্কর স্মৃতি। সেদিন যেদিন পুরো রাজধানী রণক্ষেত্রে পরিণত করেছিল ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের কর্মীরা। সেদিনের বিরোধী দল আওয়ামী লীগ ও তাদের শরিক দলগুলোর ওপর চড়াও হয়েছিল ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে থেকে আসা বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা। ওই সময়ের গণমাধ্যমগুলোতে দেখা যায়, শুধু ২৮ অক্টোবরই নয়, ২৯ অক্টোবরও দেশজুড়ে সহিংসতা হয়। এই সহিংসতা সারাদেশে শুরু হয়েছিল, আগেরদিন, অর্থৎ ২৭ অক্টোবর। তিন দিনের ওই সংঘর্ষে সারাদেশে অন্তত ২৩ জন মারা যান। এরমধ্যে ২৮ অক্টাবরেই নিহত হন ১১ জন। নিরপেক্ষ-নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক অধীনে নির্বাচন, বিএনপির চেয়ারপারসনের মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানো এবং সরকার পতনের দাবিতে বিএনপি আগামী ২৮ অক্টোবর শনিবার রাজধানীতে মহাসমাবেশ ডেকেছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘোষণা দিয়েছেন, এই দিন থেকে শুরু হবে সরকার পতনের মহাযাত্রা। তাই বিএনপির পাশাপাশি তাদের জোট শরিক জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলগুলোও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সমাবেশের ডাক দিয়েছে। এদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহউদ্দিন নাছিম জানান, বিএনপিসহ বিরোধীদলের নৈরাজ্য, অগ্নিসন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও করার পরিকল্পনা করছে। তাই আওয়ামী লীগও রাজপথ পাহারায় থাকবে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম গণমাধ্যমে জানান, ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াত জোট ঢাকার রাজপথ নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠেছিল। অপরদিকে আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নেমেছিল বিএনপির ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার প্রতিবাদে। তারা ওই দিন পল্টন ময়দানে সমাবেশের ডাক দিলে বিএনপির, জামায়াত, শ্রমিকদলসহ সরকার সমর্থক বিভিন্ন সংগঠন পল্টন, বায়তুল মোকাররামের দক্ষিণগেটসহ বিভিন্ন এলাকা নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠে। তখনই আওয়ামী লীগ ও তাদের জোট শরিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। তাণ্ডব হয় গোটা নগরীতে। ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান জানান, ২৮ অক্টোবর রাজধানীবাসীর নিরাপত্তায় ১০ হাজারেরও বেশি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে কঠোর নজরদারি করা হবে। যাতে কেউ আগ্নেয়াস্ত্র কিংবা জনস্বার্থ বিঘ্নিত করে- এমন ধরণের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করতে না পারে। তিনি আরও জানান, রাজধানীর গুরুত্ত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে জলকামান, বেরিকেড, সাঁজোয়া যান, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড নিয়ে প্রস্তুত থাকবে আইনশৃংখলাবাহিনী। গণপরিবহনে তল্লাশি চালিয়ে সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করা হবে। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ওই দিন পুলিশের পাশাপাশি সক্রিয় থাকবে র্যাব। রাজনৈতিক দলগুলো যাতে শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের কর্মসূচি পালন করতে পারে সে জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, দিনটিকে ঘিরে নাশকতার আশঙ্কা নেই। যদিও আশঙ্কা ধরে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী নানা নিরাপত্তা পরিকল্পনা করে। ২৮ অক্টোবর সব দল যেন নির্বিঘ্নে কর্মসূচি পালন করতে পারে, সেই ব্যাপারে আরও নানা পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
২৬ অক্টোবর ২০২৩ ০৩:২৭ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২৮ অক্টোবর নিয়ে উদ্বেগে আছে ঢাকাবাসী। যদিও আইনশৃঙ্খলা রাক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তারা গণমাধ্যম কর্মীদের বলছেন, ভয়ের কিছু নেই। তারা সব সময় মানুষের পাশে আছে। কেউ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করলে সমস্যা নেই। কিন্তু মানুষের জানমাল ক্ষতি করার চেষ্টা করলে, তা শক্ত হাতে প্রতিরোধ করা হবে। কী নিয়ে এত উদ্বেগ, জানতে চাওয়া হয়েছিল পল্টন এলাকার একজন ফুটপাথের ব্যবসায়ীকে। তিনি জানান, তাদের সামনে ভাসছে আজ থেকে ১৭ বছর আগে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের ভয়ঙ্কর স্মৃতি। সেদিন যেদিন পুরো রাজধানী রণক্ষেত্রে পরিণত করেছিল ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের কর্মীরা। সেদিনের বিরোধী দল আওয়ামী লীগ ও তাদের শরিক দলগুলোর ওপর চড়াও হয়েছিল ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে থেকে আসা বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা। ওই সময়ের গণমাধ্যমগুলোতে দেখা যায়, শুধু ২৮ অক্টোবরই নয়, ২৯ অক্টোবরও দেশজুড়ে সহিংসতা হয়। এই সহিংসতা সারাদেশে শুরু হয়েছিল, আগেরদিন, অর্থৎ ২৭ অক্টোবর। তিন দিনের ওই সংঘর্ষে সারাদেশে অন্তত ২৩ জন মারা যান। এরমধ্যে ২৮ অক্টাবরেই নিহত হন ১১ জন। নিরপেক্ষ-নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক অধীনে নির্বাচন, বিএনপির চেয়ারপারসনের মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানো এবং সরকার পতনের দাবিতে বিএনপি আগামী ২৮ অক্টোবর শনিবার রাজধানীতে মহাসমাবেশ ডেকেছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘোষণা দিয়েছেন, এই দিন থেকে শুরু হবে সরকার পতনের মহাযাত্রা। তাই বিএনপির পাশাপাশি তাদের জোট শরিক জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলগুলোও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সমাবেশের ডাক দিয়েছে। এদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহউদ্দিন নাছিম জানান, বিএনপিসহ বিরোধীদলের নৈরাজ্য, অগ্নিসন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও করার পরিকল্পনা করছে। তাই আওয়ামী লীগও রাজপথ পাহারায় থাকবে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম গণমাধ্যমে জানান, ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াত জোট ঢাকার রাজপথ নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠেছিল। অপরদিকে আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নেমেছিল বিএনপির ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার প্রতিবাদে। তারা ওই দিন পল্টন ময়দানে সমাবেশের ডাক দিলে বিএনপির, জামায়াত, শ্রমিকদলসহ সরকার সমর্থক বিভিন্ন সংগঠন পল্টন, বায়তুল মোকাররামের দক্ষিণগেটসহ বিভিন্ন এলাকা নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠে। তখনই আওয়ামী লীগ ও তাদের জোট শরিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। তাণ্ডব হয় গোটা নগরীতে। ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান জানান, ২৮ অক্টোবর রাজধানীবাসীর নিরাপত্তায় ১০ হাজারেরও বেশি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে কঠোর নজরদারি করা হবে। যাতে কেউ আগ্নেয়াস্ত্র কিংবা জনস্বার্থ বিঘ্নিত করে- এমন ধরণের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করতে না পারে। তিনি আরও জানান, রাজধানীর গুরুত্ত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে জলকামান, বেরিকেড, সাঁজোয়া যান, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড নিয়ে প্রস্তুত থাকবে আইনশৃংখলাবাহিনী। গণপরিবহনে তল্লাশি চালিয়ে সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করা হবে। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ওই দিন পুলিশের পাশাপাশি সক্রিয় থাকবে র্যাব। রাজনৈতিক দলগুলো যাতে শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের কর্মসূচি পালন করতে পারে সে জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, দিনটিকে ঘিরে নাশকতার আশঙ্কা নেই। যদিও আশঙ্কা ধরে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী নানা নিরাপত্তা পরিকল্পনা করে। ২৮ অক্টোবর সব দল যেন নির্বিঘ্নে কর্মসূচি পালন করতে পারে, সেই ব্যাপারে আরও নানা পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
২৬ অক্টোবর ২০২৩ ০৩:২৭ পিএম