বিশেষ প্রতিনিধি: বিএনপির ডাকা অবরোধ হরতাল গণসংযোগসহ নানা কর্মসূচি দিয়ে নির্বাচন বর্জনের ডাক যতটা রাজধানীকেন্দ্রিক ঠিক উল্টো হাওয়া জেলায় উপজেলায় নির্বাচনি মাঠে। দেশের বিভিন্ন সংসদীয় আসনে তুমুল লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপিসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন পর্যন্ত তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে প্রায় দুইশ আসনে।রংপুরের ৬ আসনে ৩৫জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে অন্তত চারটি আসলে তুমুল প্রতিদ্বন্দিতা রয়েছে। জাতীয় পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রংপুরে ভোটের হাওয়া বইছে বেশ ভালোভাবেই। প্রার্থীরা প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি পোস্টার লিফলেট ছাপিয়েছেন এবং প্রচার করছেন। তেমন অপ্রীতিকর কোন ঘটনা এখনও নজরে আসেনি। তবে আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে বেশ শক্ত প্রতিযোগিতায় পড়তে হবে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।এদিকে বগুড়া সবসময় বিএনপি জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হলেও সেখানেও বইছে নির্বাচনি হাওয়া। আওয়ামী লীগ, জাতীয়পার্টি, স্বতন্ত্র মিলিয়ে এরইমধ্যে জমে উঠেছে নির্বাচন। বগুড়াতেও মোট সাতটি আসন। সেখানে লড়ছেন ৫৪ জন। তবে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ৫টি আসনে। স্থানীয়রা বলেছেন, বিএনপি জামায়াতের ঘাঁটি হওয়ায় কিছু নেগেটিভ প্রচারণার চেষ্টা আছে কিন্তু জনগণ এখন ভোটের জন্য প্রস্তুত।এদিকে হাওড় অঞ্চলে সন্ধ্যার পরে চলছে নির্বাচনি প্রচারণা। এর কারণ হিসেবে সংবাদকর্মী জানান, এখন কৃষি মওসুম। সারাদিন কৃষক মাঠে কাজ করে। ফলে যাকিছু প্রচারণা এই এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে। এখানে ৫টি আসনে ২৯জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। একেক জায়গায় তিনজন প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।ঢাকার অদূরে গাজীপুরে জমে উঠেছে নির্বাচনি প্রচারণা। এখানে বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী এমপিদের উপস্থিতি থাকায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রার্থীরা ঘরে ঘরে যাচ্ছেন, পথসভা হচ্ছে। ৫টি আসনে ৩৭জন প্রার্থী তাদের কাজ করছেন। ঢাকার কাছাকাছি হওয়ার পরেও এখানে নির্বাচনের আবহ ঢাকার চেয়ে আরও বেশি সরব। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, স্বতন্ত্র, বিএনএফসহ আরও কিছু দলের প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হেভিওয়েট প্রার্থীরাও তায় জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না। ভোটারদের কাছে ছুটছেন নিয়মিত।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনবিরোধী দলগুলোর রাজধানী ঢাকা কেন্দ্রিক রাজনৈতিক কর্মসূচি দেখে প্রকৃত পরিস্থিতি বুঝা সম্ভব নয়। নির্বাচন নিয়ে যাবতীয় নড়াচড়া, বিবৃতি সব ঢাকা থেকে হওয়ায় যে প্রচার প্রচারণা হয় সেটি তৃণমূলের চিত্র নয়। বরং তৃণমূলে এ তথ্য খুব ভালোভাবে প্রচারিত হয়েছে যে, নির্বাচনে বাধাসৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ বিশৃঙ্খলা করতে চাইলে, ভোটে বাধা দিলে সেই অভিযোগ আমলে নিবে নির্বাচন কমিশন।বিষয়টি স্বীকার করে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেন, কোনো ভোটার যদি আতঙ্কে থাকার অভিযোগ করেন তাহলে প্রমাণ ছাড়াই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার ভাষ্য, কোনো ভোটার যদি বলেন তিনি আতঙ্কে রয়েছেন, তাকে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে তাহলে কোনো প্রমাণ বা সাক্ষী লাগবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ভোটাররা নির্দ্বিধায় ভোটকেন্দ্রে আসবেন এবং তারা যাকে খুশি ভোট দেবেন। সে জন্য নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:৪৫ এএম
ডেস্ক নিউজ: গত ২৮ অক্টোবর রাজধানী ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে তৃণমূল বিএনপি। ৩০ অক্টোবর সোমবার দলটির চেয়ারপার্সন শমশের মুবিন চৌধুরী বীর বিক্রম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জানানো হয়।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তৃণমূল বিএনপি জানিয়েছে, দায়িত্ব পালনকালে সহিংস ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল পারভেজ দুর্বৃত্তের হামলায় মৃত্যুবরণ করেন। দলটি এই মৃত্যুর তীব্র নিন্দা জানিয়ে শোক সমপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনাসহ তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেছে। আহত পুলিশ সদস্যদের আরোগ্য কামনাও করেছে দলটি। ২৮ অক্টোবর দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপরে যে হামলা করা হয়, তারও নিন্দা জানিয়েছে তৃণমূল বিএনপি।২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনে যে হামলা করা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে তৃণমূল বিএনপির পক্ষ থেকে। একই দিনে একটি সরকারি হাসপাতালে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনায় দলটি তীব্র নিন্দা জানায়।সুস্থ রাজনীতিকে সুশাসনের ভিত্তি উল্লেখ করে তৃণমূল বিএনপি তাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রাজনীতি দেশ এবং দেশের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, জীবন কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়। দেশের সুষ্ঠু রাজনীতির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করে তৃণমূল বিএনপি।
৩০ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৫৬ এএম
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: যোগ দেয়ার পরপরই তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন শমসের মবিন চৌধুরি এবং মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন তৈমূর আলম খন্দকার। যোগদানের পরপরই দলটির শীর্ষ নেতৃত্বে চলে এলেন বিএনপির সাবেক এ ২ নেতা। ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে তৃণমূল বিএনপির প্রথম জাতীয় কাউন্সিলে কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত হন তারা।এদিকে দলটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা দলটির এক্সিকিউটিভ চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন। কাউন্সিলে দলের ২৭ সদস্যের আংশিক কমিটি নির্বাচিত হয়েছে। এর আগে দুপুরে দলীয় এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল বিএনপির সম্মেলন শুরু হয়।সম্মেলনে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা (বহিষ্কৃত) তৈমূর আলম খন্দকারকে তৃণমূল বিএনপিতে স্বাগত জানিয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা বলেন, তাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে তৃণমূল বিএনপি এখন থেকে আরও বেশি গতিশীল হবে।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:৪৫ এএম