মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেছেন, দেশে এখন চালের পুষ্টি ও গুণগত মানের কথা চিন্তা করে ধানের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে। স্বল্প জীবনকালের উচ্চ ফলনশীল জাত নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। খরা সহিষ্ণু জাত, লবণাক্ততাসহ বিভিন্ন প্রতিকূলতায় সহনশীল জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, অল্প সময়ে একই জমিতে বছরে অধিক ফসল উৎপাদন করে কীভাবে কৃষকরা লাভবান হবে, সে কথা চিন্তা করে ধানের জাত নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে। এখন পুষ্টি, জিংক সমৃদ্ধ চাল উৎপাদনে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।বঙ্গবন্ধু ব্রি-১০০, ১০৪ ও ১০৫ জাতের ধানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধানের পুষ্টিমান বেশি, উৎপাদনও হয় বেশি। এ ধানের চাল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এ সব জাতের ধান উৎপাদনের মধ্যে দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।১৬ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ির মুশুদ্দি গ্রামে সরিষা অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে দুই ফসলী শস্য বিন্যাসকে তিন ফসলী বিন্যাসে উন্নয়ন প্রদর্শনীর বঙ্গবন্ধু ধান ব্রি-১০০, ১০৪ ও ১০৫ জাতের ধানের মাঠ দিবস ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ধনবাড়ির মুশুদ্দি গ্রামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের রাইস ফার্মিং সিস্টেমস বিভাগ এ মাঠ দিবস ও মতবিনিময় সভা বাস্তবায়নে গাজীপুরের ব্রি আরএফএসর বিভাগের সিএসও ড. মো. ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. কবির হোসেন, ধনবাড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান, ধনবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি আনছার আলী, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদ হোসেন প্রমুখ। এ সময় কৃষক কৃষাণী কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।পরে মুশুদ্দি গ্রামের বটতলায় সরিষা অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে দুই ফসলী শস্য বিন্যাসকে তিন ফসলী বিন্যাসে উন্নয়ন প্রদর্শনীর বঙ্গবন্ধু ধান ব্রি- ১০০, ১০৪ ও ১০৫ জাতের মাঠ দিবসে ধান জমি থেকে কাটা হয়।
১৭ মে ২০২৪ ০৬:৩৪ এএম
নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। এতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিক ও কৃষকরা।তীব্র গরমের মধ্যেই শুরু হয়েছে ধান কাটার মৌসুম। এই নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে কৃষকদের। অতিরিক্ত তাপে বোরো ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না অনেক এলাকায়।এ বছর ঢাকার নবাবগঞ্জে ১০ হাজার ৯১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। চুড়াইন, আগলা, গালিমপুর, বক্সনগর, বাহ্রা এলাকায় চলছে বোরো ধান কাটা।গরমে শ্রমিক সংকট থাকলেও এসব এলাকার কৃষকরা কষ্টে ধান কেটে ঘরে তুলতে শুরু করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২১৮ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।কৃষকরা জানান, তীব্র তাপে ঘর থেকে বের হতেই কষ্ট হয়। জমিতে ধান পেকে আছে কিন্তু তাপমাত্রার কারণে ধান কাটার জন্য সাহস পাচ্ছেন না। সম্প্রতি সময়ে অতিরিক্ত তাপদাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষ হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়ার কারণে কৃষকদের মাঝে আতঙ্ক কাজ করছে। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেক কৃষক ধান কাটার সাহস পাচ্ছেন না। তবে, যেসব জমির ধান বেশি পেকে গেছে, সেসব ধান জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাটতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আছমা জাহান এশিয়ান টিভি অনলাইনে বলেন, ‘নবাবগঞ্জে বেশ কিছু এলাকায় বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। যদিও তাপমাত্রা বেশি, ঝুঁকি নিয়েও থেমে নেই কৃষক। সামনে আবার বৃষ্টি মৌসুম শুরু হলে ধান নিয়ে বিপাকে যেন না পড়তে হয়, সেজন্য কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, যেসব জমির ধান এখনো পাকেনি বা পুরোপুরি কাঁচা রয়েছে তাপদাহের কারণে ঐসব জমিতে পানি দিতে বলা হয়েছে এবং কৃষকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। নবাবগঞ্জে এখনও শ্রমিক সংকটের বিষয়ে কোনো কৃষক আমাদের কিছু জানাননি।
২৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৩:১২ এএম
নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। এতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিক ও কৃষকরা।তীব্র গরমের মধ্যেই শুরু হয়েছে ধান কাটার মৌসুম। এই নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে কৃষকদের। অতিরিক্ত তাপে বোরো ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না অনেক এলাকায়।এ বছর ঢাকার নবাবগঞ্জে ১০ হাজার ৯১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। চুড়াইন, আগলা, গালিমপুর, বক্সনগর, বাহ্রা এলাকায় চলছে বোরো ধান কাটা।গরমে শ্রমিক সংকট থাকলেও এসব এলাকার কৃষকরা কষ্টে ধান কেটে ঘরে তুলতে শুরু করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২১৮ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।কৃষকরা জানান, তীব্র তাপে ঘর থেকে বের হতেই কষ্ট হয়। জমিতে ধান পেকে আছে কিন্তু তাপমাত্রার কারণে ধান কাটার জন্য সাহস পাচ্ছেন না। সম্প্রতি সময়ে অতিরিক্ত তাপদাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষ হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়ার কারণে কৃষকদের মাঝে আতঙ্ক কাজ করছে। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেক কৃষক ধান কাটার সাহস পাচ্ছেন না। তবে, যেসব জমির ধান বেশি পেকে গেছে, সেসব ধান জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাটতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আছমা জাহান এশিয়ান টিভি অনলাইনে বলেন, ‘নবাবগঞ্জে বেশ কিছু এলাকায় বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। যদিও তাপমাত্রা বেশি, ঝুঁকি নিয়েও থেমে নেই কৃষক। সামনে আবার বৃষ্টি মৌসুম শুরু হলে ধান নিয়ে বিপাকে যেন না পড়তে হয়, সেজন্য কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, যেসব জমির ধান এখনো পাকেনি বা পুরোপুরি কাঁচা রয়েছে তাপদাহের কারণে ঐসব জমিতে পানি দিতে বলা হয়েছে এবং কৃষকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। নবাবগঞ্জে এখনও শ্রমিক সংকটের বিষয়ে কোনো কৃষক আমাদের কিছু জানাননি।
২৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৩:১২ এএম