মো. আজগর আলী খান, রাজস্থলী (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি: নাব্যতা সংকট ও জোয়ার ভাটার কারণে প্রায় সময় বন্ধ রাখতে হচ্ছে কাপ্তাই উপজেলাধীন কর্ণফুলী নদীর চন্দ্রঘোনা ফেরি চলাচল। এতে দীর্ঘ সময়ের জন্য খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটির রাজস্থলী, চট্রগ্রাম ঢাকার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়।বিভিন্ন স্থান থেকে সড়ক পথে ফেরিযোগে পার হতে আসা শত শত যানবাহনের চালক এবং যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে। নাব্যতা সংকটে প্রায়ই এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে এ সড়কে চলাচলকারীদের। এতে করে সময় যেমন অপচয় হচ্ছে তেমনি চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল প্রায় ১১টায় চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার হতে রাত প্রায় ১০টার পর থেকে গত বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল।বন্ধের কারণ জানতে চাইলে ফেরির দায়িত্বরত কর্মচারি এবং স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, কর্ণফুলী নদীতে ভাটার সময় পানি এতটায় কমে যায় যে, নাব্য সংকটে নদীর বুকে জেগে ওঠে বালুর চর। তখন ফেরি চলাচল বাধাগ্রস্থ হয়। ফেরির মোটরের পাখা বালুরচরে আটকা পড়ে। তাই বন্ধ রাখতে হয় ফেরি পারাপার। তবে যখন নদীতে জোয়ারে পানির পরিমাণ বাড়ে তখন ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।এদিকে দীর্ঘক্ষণ ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার কারণে নদীর দুই প্রান্তে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে যাত্রী ও চালকরা চরম দুর্ভোগে পড়ে। এমন দুর্ভোগের চিত্র প্রায় সময় দেখা যায় বলে জানান স্থানীয়রা।কর্ণফুলী নদী পারাপারের অপেক্ষায় থাকা বাস চালক ও অনান্য একাধিক চালক জানান, ফেরি পারাপারে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দূর-দুরান্ত থেকে আমরা গাড়ি চালিয়ে এসে এই জায়গায় থমকে যেতে হয়। কখন ফেরি চলাচল শুরু হবে তা নিয়ে সবার মাঝে দেখা দেয় চিন্তা। ফলে সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হয় না।ঢাকার থেকে আসা পর্যটক বান্দরবানগামী একাধিক যাত্রী জানান, একমাত্র এই ফেরির দুর্ভোগের কারণে আমরা অনেক সময় বান্দরবান যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। ফেরি চলাচল বন্ধ, তাই কখন চালু হবে এই অপেক্ষায় না থেকে আমাদের বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে হয়। এতে আমাদের ভাড়াও বেশি গুনতে হয়, আবার সময়ও লাগে প্রচুর। এই দুর্ভোগ থেকে কবে মুক্তি মিলবে জানি না।চন্দ্রঘোনা এলাকার স্থানীয়রা এশিয়ান টিভি অনলাইনের প্রতিবেদককে বলেন, চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে একটি সেতু নির্মাণের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। এছাড়া অনেক সময় খবরও আসে, এখানে নাকি সেতুর অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু এখনো আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি না।এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙ্গামাটি জেলা সড়ক ও জনপদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, কর্ণফুলী নদীতে নাব্য সংকটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। এ সময় কিছুটা দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রী ও চালকদের। তবে কর্ণফুলী নদীতে ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। ড্রেজিং করা হলে নাব্যতা সংকট দুর হবে।অতি জরুরি কাজে তিনি যাত্রী এবং চালকদের ফেরি চলাচল বন্ধকালীন সময়ে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।উল্লেখ্য, রাঙামাটি, রাজস্থলী, বান্দরবান, বাঙালহালিয়া হয়ে এ সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী চলাফেরা করে। এমন কি বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এ সড়ক দিয়ে চলাফেরা করে। ফলে সর্বসাধারণের দাবি, দ্রুত একটি সেতু নির্মাণ করে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করার ব্যবস্থা করা।
২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১০:৪২ এএম
মো. আজগর আলী খান, রাজস্থলী (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি: নাব্যতা সংকট ও জোয়ার ভাটার কারণে প্রায় সময় বন্ধ রাখতে হচ্ছে কাপ্তাই উপজেলাধীন কর্ণফুলী নদীর চন্দ্রঘোনা ফেরি চলাচল। এতে দীর্ঘ সময়ের জন্য খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটির রাজস্থলী, চট্রগ্রাম ঢাকার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়।বিভিন্ন স্থান থেকে সড়ক পথে ফেরিযোগে পার হতে আসা শত শত যানবাহনের চালক এবং যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে। নাব্যতা সংকটে প্রায়ই এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে এ সড়কে চলাচলকারীদের। এতে করে সময় যেমন অপচয় হচ্ছে তেমনি চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল প্রায় ১১টায় চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার হতে রাত প্রায় ১০টার পর থেকে গত বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল।বন্ধের কারণ জানতে চাইলে ফেরির দায়িত্বরত কর্মচারি এবং স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, কর্ণফুলী নদীতে ভাটার সময় পানি এতটায় কমে যায় যে, নাব্য সংকটে নদীর বুকে জেগে ওঠে বালুর চর। তখন ফেরি চলাচল বাধাগ্রস্থ হয়। ফেরির মোটরের পাখা বালুরচরে আটকা পড়ে। তাই বন্ধ রাখতে হয় ফেরি পারাপার। তবে যখন নদীতে জোয়ারে পানির পরিমাণ বাড়ে তখন ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।এদিকে দীর্ঘক্ষণ ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার কারণে নদীর দুই প্রান্তে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে যাত্রী ও চালকরা চরম দুর্ভোগে পড়ে। এমন দুর্ভোগের চিত্র প্রায় সময় দেখা যায় বলে জানান স্থানীয়রা।কর্ণফুলী নদী পারাপারের অপেক্ষায় থাকা বাস চালক ও অনান্য একাধিক চালক জানান, ফেরি পারাপারে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দূর-দুরান্ত থেকে আমরা গাড়ি চালিয়ে এসে এই জায়গায় থমকে যেতে হয়। কখন ফেরি চলাচল শুরু হবে তা নিয়ে সবার মাঝে দেখা দেয় চিন্তা। ফলে সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হয় না।ঢাকার থেকে আসা পর্যটক বান্দরবানগামী একাধিক যাত্রী জানান, একমাত্র এই ফেরির দুর্ভোগের কারণে আমরা অনেক সময় বান্দরবান যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। ফেরি চলাচল বন্ধ, তাই কখন চালু হবে এই অপেক্ষায় না থেকে আমাদের বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে হয়। এতে আমাদের ভাড়াও বেশি গুনতে হয়, আবার সময়ও লাগে প্রচুর। এই দুর্ভোগ থেকে কবে মুক্তি মিলবে জানি না।চন্দ্রঘোনা এলাকার স্থানীয়রা এশিয়ান টিভি অনলাইনের প্রতিবেদককে বলেন, চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে একটি সেতু নির্মাণের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। এছাড়া অনেক সময় খবরও আসে, এখানে নাকি সেতুর অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু এখনো আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি না।এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙ্গামাটি জেলা সড়ক ও জনপদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, কর্ণফুলী নদীতে নাব্য সংকটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। এ সময় কিছুটা দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রী ও চালকদের। তবে কর্ণফুলী নদীতে ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। ড্রেজিং করা হলে নাব্যতা সংকট দুর হবে।অতি জরুরি কাজে তিনি যাত্রী এবং চালকদের ফেরি চলাচল বন্ধকালীন সময়ে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।উল্লেখ্য, রাঙামাটি, রাজস্থলী, বান্দরবান, বাঙালহালিয়া হয়ে এ সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী চলাফেরা করে। এমন কি বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এ সড়ক দিয়ে চলাফেরা করে। ফলে সর্বসাধারণের দাবি, দ্রুত একটি সেতু নির্মাণ করে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করার ব্যবস্থা করা।
২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১০:৪২ এএম
মো. আজগর আলী খান, রাজস্থলী (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি: নাব্যতা সংকট ও জোয়ার ভাটার কারণে প্রায় সময় বন্ধ রাখতে হচ্ছে কাপ্তাই উপজেলাধীন কর্ণফুলী নদীর চন্দ্রঘোনা ফেরি চলাচল। এতে দীর্ঘ সময়ের জন্য খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটির রাজস্থলী, চট্রগ্রাম ঢাকার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়।বিভিন্ন স্থান থেকে সড়ক পথে ফেরিযোগে পার হতে আসা শত শত যানবাহনের চালক এবং যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে। নাব্যতা সংকটে প্রায়ই এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে এ সড়কে চলাচলকারীদের। এতে করে সময় যেমন অপচয় হচ্ছে তেমনি চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল প্রায় ১১টায় চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার হতে রাত প্রায় ১০টার পর থেকে গত বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল।বন্ধের কারণ জানতে চাইলে ফেরির দায়িত্বরত কর্মচারি এবং স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, কর্ণফুলী নদীতে ভাটার সময় পানি এতটায় কমে যায় যে, নাব্য সংকটে নদীর বুকে জেগে ওঠে বালুর চর। তখন ফেরি চলাচল বাধাগ্রস্থ হয়। ফেরির মোটরের পাখা বালুরচরে আটকা পড়ে। তাই বন্ধ রাখতে হয় ফেরি পারাপার। তবে যখন নদীতে জোয়ারে পানির পরিমাণ বাড়ে তখন ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।এদিকে দীর্ঘক্ষণ ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার কারণে নদীর দুই প্রান্তে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে যাত্রী ও চালকরা চরম দুর্ভোগে পড়ে। এমন দুর্ভোগের চিত্র প্রায় সময় দেখা যায় বলে জানান স্থানীয়রা।কর্ণফুলী নদী পারাপারের অপেক্ষায় থাকা বাস চালক ও অনান্য একাধিক চালক জানান, ফেরি পারাপারে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দূর-দুরান্ত থেকে আমরা গাড়ি চালিয়ে এসে এই জায়গায় থমকে যেতে হয়। কখন ফেরি চলাচল শুরু হবে তা নিয়ে সবার মাঝে দেখা দেয় চিন্তা। ফলে সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হয় না।ঢাকার থেকে আসা পর্যটক বান্দরবানগামী একাধিক যাত্রী জানান, একমাত্র এই ফেরির দুর্ভোগের কারণে আমরা অনেক সময় বান্দরবান যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। ফেরি চলাচল বন্ধ, তাই কখন চালু হবে এই অপেক্ষায় না থেকে আমাদের বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে হয়। এতে আমাদের ভাড়াও বেশি গুনতে হয়, আবার সময়ও লাগে প্রচুর। এই দুর্ভোগ থেকে কবে মুক্তি মিলবে জানি না।চন্দ্রঘোনা এলাকার স্থানীয়রা এশিয়ান টিভি অনলাইনের প্রতিবেদককে বলেন, চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে একটি সেতু নির্মাণের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। এছাড়া অনেক সময় খবরও আসে, এখানে নাকি সেতুর অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু এখনো আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি না।এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙ্গামাটি জেলা সড়ক ও জনপদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, কর্ণফুলী নদীতে নাব্য সংকটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। এ সময় কিছুটা দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রী ও চালকদের। তবে কর্ণফুলী নদীতে ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। ড্রেজিং করা হলে নাব্যতা সংকট দুর হবে।অতি জরুরি কাজে তিনি যাত্রী এবং চালকদের ফেরি চলাচল বন্ধকালীন সময়ে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।উল্লেখ্য, রাঙামাটি, রাজস্থলী, বান্দরবান, বাঙালহালিয়া হয়ে এ সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী চলাফেরা করে। এমন কি বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এ সড়ক দিয়ে চলাফেরা করে। ফলে সর্বসাধারণের দাবি, দ্রুত একটি সেতু নির্মাণ করে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করার ব্যবস্থা করা।
২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১০:৪২ এএম
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: নদীর নাম মির্জামামুদ। অন্তত ৬০ বছর ধরে এ নদীতে কোনো প্রবাহ নেই। পলি জমে ভড়াট হওয়া নদীর বুকে চাষাবাদ করছিলেন স্থানীয় লোকজন। শত বছরের পুরনো নকশা ধরে এই নদীর দুই কিলোমিটার অংশে খনন কাজ শুরু হয়েছে।বড়াইগ্রামের কচুটিয়ার নন্দকুঁজা নদীর পেট চিরে জন্ম নেওয়া মির্জামামুদ নদীটি গুরুদাসপুরের চাপিলা ইউনিয়নের কৈডিমা, সোনাবাজু, সিধুলীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চাটমোহর হয়ে খরস্রোতা বাড়ালে গিয়ে মিলেছে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি নদীটির কৈডিমা উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছ থেকে খনন কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু চাঁদার দাবিতে দুই দফায় এ নদীর খনন কাজে বাধা দিয়েছেন একদল দুর্বৃত্ত।খনন কাজে নিয়োজিত লোকজনকে ভয় দেখিয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় খননযন্ত্রের চাবি ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। এঘটনায় রাতেই গুরুদাসপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে ১১ ফেব্রুয়ারি রোববার দুপুরে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. উজ্জল হোসেনের উপস্থিতিতে বিকল্প চাবির মাধ্যমে খনন কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে ছিনিয়ে নেওয়া চাবিটি এখনও উদ্ধার হয়নি।ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধীকারি মকবুল হোসেন বলেন, খনন কাজ শুরুর দুই দিন পরেই চাঁদা দাবি করে খননযন্ত্রের চাবি ছিনিয়ে নিয়েছিলেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতা। পরে বিএডিসি অফিসের মধ্যস্থতায় চাবিটি ফেরত পাওয়া যায়। শনিবার সন্ধ্যায় কৈডিমা অংশের খনন কাজ করার সময় এস্কেভেটরের চালককে ভয় দেখিয়ে আবারও চাবি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নদী খননে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে ব্যাপক উৎসাহ পেয়েছেন তারা। কিন্তু স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর বিরূপ আচরণে খনন কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে। তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।বিএডিসি অফিস জানিয়েছে, পাবনা, নাটোর, সিরাজগঞ্জ সেচ প্রকল্পের (পানাসি) আওতায় পুরনো মির্জমামুদ নদীর সাড়ে ৪ কিলোমিটার অংশ খনন করা হবে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে দুই কিলোমিটার নদী ৬০ ফুট প্রস্থ ও ১১ ফুট গভীর করে খনন করা হচ্ছে। ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে যৌথভাবে খনন কাজ করছে গোপালগঞ্জের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শেখ নাছিমুল গণি ও আরাফাত আজম।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গুরুদাসপুর উপজেলার বাঘমারা, মহারাজপুর, পায়েকপুর, ধানুড়া, পাঁচপুড়-লিয়া ও রানী নগর বিলের বুক চিরে মির্জমামুদ নদীটি বয়ে গেছে। নদীর খনন কাজ শেষ হলে নির্বিঘ্নে এসব বিলের অন্তত ৫ হাজার ৮০০ হেক্টর জমির সেচ নির্ভর চাষাবাদ করা যাবে। পাশাপাশি উন্মুক্ত জলারাশিতে মাছ শিকার করতে পারবেন স্থানীয় লোকজন।স্থানীয় ফয়েজুর রহমান, গোলাম রাব্বানি, ফয়জাল আহম্মেদ, আকবর আলী, খুরশেদ আলম জানান, মির্জামামুদ নদীটি প্রাচীন। এই নদীর বুকে তারা চাষাবাদ করেছেন। এখন নদীটি খনন করা হচ্ছে। এতে নদীর তীরবর্তী মানুষ ব্যাপকভাবে লাভবান হবেন। তারা নির্বিঘ্নে নদী খনন কাজে প্রশাসনের সহযোগিতা দাবি করেছেন।বিএডিসি সহকারি প্রকৌশলী সাঈদুর রহমান বলেন, চাঁদার দাবিতে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। নদী খননে তারা পুলিশের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. উজ্জল হোসেন বলেন, নদী খনন কাজের বাধা দেওয়ার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছেন। তিনি সরেজমিনে গিয়ে খনন কাজ চালু করে দিয়েছেন। রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ সরকারি কাজে বাধা দিতে পারবে না। পুলিশ ওই কাজের ওপর বিশেষ নজরদারি করছে। ছিনিয়ে নেওয়া চাবিটি উদ্ধারে কাজ করা হচ্ছে।
১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৫:০০ এএম
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: নদীর নাম মির্জামামুদ। অন্তত ৬০ বছর ধরে এ নদীতে কোনো প্রবাহ নেই। পলি জমে ভড়াট হওয়া নদীর বুকে চাষাবাদ করছিলেন স্থানীয় লোকজন। শত বছরের পুরনো নকশা ধরে এই নদীর দুই কিলোমিটার অংশে খনন কাজ শুরু হয়েছে।বড়াইগ্রামের কচুটিয়ার নন্দকুঁজা নদীর পেট চিরে জন্ম নেওয়া মির্জামামুদ নদীটি গুরুদাসপুরের চাপিলা ইউনিয়নের কৈডিমা, সোনাবাজু, সিধুলীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চাটমোহর হয়ে খরস্রোতা বাড়ালে গিয়ে মিলেছে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি নদীটির কৈডিমা উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছ থেকে খনন কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু চাঁদার দাবিতে দুই দফায় এ নদীর খনন কাজে বাধা দিয়েছেন একদল দুর্বৃত্ত।খনন কাজে নিয়োজিত লোকজনকে ভয় দেখিয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় খননযন্ত্রের চাবি ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। এঘটনায় রাতেই গুরুদাসপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে ১১ ফেব্রুয়ারি রোববার দুপুরে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. উজ্জল হোসেনের উপস্থিতিতে বিকল্প চাবির মাধ্যমে খনন কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে ছিনিয়ে নেওয়া চাবিটি এখনও উদ্ধার হয়নি।ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধীকারি মকবুল হোসেন বলেন, খনন কাজ শুরুর দুই দিন পরেই চাঁদা দাবি করে খননযন্ত্রের চাবি ছিনিয়ে নিয়েছিলেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতা। পরে বিএডিসি অফিসের মধ্যস্থতায় চাবিটি ফেরত পাওয়া যায়। শনিবার সন্ধ্যায় কৈডিমা অংশের খনন কাজ করার সময় এস্কেভেটরের চালককে ভয় দেখিয়ে আবারও চাবি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নদী খননে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে ব্যাপক উৎসাহ পেয়েছেন তারা। কিন্তু স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর বিরূপ আচরণে খনন কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে। তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।বিএডিসি অফিস জানিয়েছে, পাবনা, নাটোর, সিরাজগঞ্জ সেচ প্রকল্পের (পানাসি) আওতায় পুরনো মির্জমামুদ নদীর সাড়ে ৪ কিলোমিটার অংশ খনন করা হবে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে দুই কিলোমিটার নদী ৬০ ফুট প্রস্থ ও ১১ ফুট গভীর করে খনন করা হচ্ছে। ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে যৌথভাবে খনন কাজ করছে গোপালগঞ্জের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শেখ নাছিমুল গণি ও আরাফাত আজম।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গুরুদাসপুর উপজেলার বাঘমারা, মহারাজপুর, পায়েকপুর, ধানুড়া, পাঁচপুড়-লিয়া ও রানী নগর বিলের বুক চিরে মির্জমামুদ নদীটি বয়ে গেছে। নদীর খনন কাজ শেষ হলে নির্বিঘ্নে এসব বিলের অন্তত ৫ হাজার ৮০০ হেক্টর জমির সেচ নির্ভর চাষাবাদ করা যাবে। পাশাপাশি উন্মুক্ত জলারাশিতে মাছ শিকার করতে পারবেন স্থানীয় লোকজন।স্থানীয় ফয়েজুর রহমান, গোলাম রাব্বানি, ফয়জাল আহম্মেদ, আকবর আলী, খুরশেদ আলম জানান, মির্জামামুদ নদীটি প্রাচীন। এই নদীর বুকে তারা চাষাবাদ করেছেন। এখন নদীটি খনন করা হচ্ছে। এতে নদীর তীরবর্তী মানুষ ব্যাপকভাবে লাভবান হবেন। তারা নির্বিঘ্নে নদী খনন কাজে প্রশাসনের সহযোগিতা দাবি করেছেন।বিএডিসি সহকারি প্রকৌশলী সাঈদুর রহমান বলেন, চাঁদার দাবিতে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। নদী খননে তারা পুলিশের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. উজ্জল হোসেন বলেন, নদী খনন কাজের বাধা দেওয়ার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছেন। তিনি সরেজমিনে গিয়ে খনন কাজ চালু করে দিয়েছেন। রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ সরকারি কাজে বাধা দিতে পারবে না। পুলিশ ওই কাজের ওপর বিশেষ নজরদারি করছে। ছিনিয়ে নেওয়া চাবিটি উদ্ধারে কাজ করা হচ্ছে।
১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৫:০০ এএম