বান্দরবান প্রতিনিধি: চলমান সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত এলাকায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বান্দরবানে জেলা প্রশাসন।১২ এপ্রিল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন।তিনি জানান, যে সব এলাকায় যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলমান, সেসব এলাকার সব পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।এ ক্ষেত্রে পর্যটন-সংশ্লিষ্টদের চারটি নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যৌথ বাহিনী অভিযান চালানোর সময় কোনও হোটেলে রুম ভাড়া দেওয়া যাবে না। কোনও পর্যটক পথপ্রদর্শক ও পর্যটককে পর্যটনকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া যাবে না। কোনও পর্যটনকেন্দ্রে জিপ গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে না এবং নৌপথেও পর্যটককে পর্যটনকেন্দ্রে না যেতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়।এর আগে, গত ২ ও ৩ এপ্রিল বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, অস্ত্র-টাকা লুটের ঘটনায় অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। এখন পর্যন্ত ১৯ জন নারীর সহ ৫৮ জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
১২ এপ্রিল ২০২৪ ০১:৪৬ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস, ১০ ডিসেম্বর। এই দিবসকে সামনে রেখে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার ১৩টি দেশের ৩৭ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিসা ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় (ট্রেজারি) এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের মধ্যে আফগানিস্তান, চীন, হাইতি, ইরান, লাইবেরিয়া, দক্ষিণ সুদান, উগান্ডা, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকেরসহ মোট ১৩টি দেশের রাজনৈতিক নেতা ও সামরিক কর্মকর্তারা রয়েছেন। তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি অলিখিতভাবে যুক্তরাজ্য ও কানাডায় প্রবেশেও ওপরও নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়ে গেছে।যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ব্রিটেন এবং কানাডার সঙ্গে যৌথভাবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ৩৭ ব্যক্তির মধ্যে মাজিদ দাস্তজানি এবং মোহাম্মদ মাহদি খানপুর আরদেস্তানি নামের দুই ইরানি গোয়েন্দা কর্মকর্তা রয়েছেন। এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২০ সালে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত জেনারেল কাসেম সোলায়মানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মার্কিন ঘাঁটিতে নজরদারি ও হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছিলেন তারা।মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরাক ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ধর্মীয়, বাণিজ্যিক এলাকা ও মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে নজরদারি ও সম্ভব্য হামলার জন্য লোকবল সংগ্রহ এবং তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্বে মাজিদ দাস্তজানি এবং মাহদি খানপুর আরদেস্তানি।মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন কট্টর ইসলামপন্থী তালেবান গোষ্ঠীর বেশ কয়েক জন নেতাও রয়েছেন। এই নেতাদের মধ্যে দেশটির তথাকথিত ‘পূণ্যের বিকাশ ও পাপের দমন’ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও কর্মকর্তারাও রয়েছেন। মূলত নারী, তরুণী ও কিশোরীদের দমনপীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।গাও কি এবং হু লিয়ান হে নামে চীনের দুই সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন ৩৭ জনের তালিকায়। উভয়ই চিনের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ জিনজিয়াংয়ের সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যম সারির কর্মকর্তা। প্রদেশটিতে বসবাসরত সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতন নিপীড়ণের অভিযোগে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।উইঘুর নারী-পুরুষদের জোরপূর্বক শ্রমদানে বাধ্য করার অভিযোগে কফকো সুগার হোল্ডিংসহ ৩ চীনা কোম্পানিকেও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।নিষেধাজ্ঞা জারির পর এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, ‘মানবাধিকারের স্বীকৃতি ও রক্ষা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতিগুলোর একটি। আমরা সবসময় মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কখনও এর অন্যথা হবে না। সূত্র: রয়টার্স।
০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৩:২৩ এএম