পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের পীরগাছায় সুখানপুকুর গ্রামের এক গৃহবধূর গোসলের নগ্ন ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইল করে কুপ্রস্তাব ও অর্থ দাবি করে হুমকি দেওয়ার অপরাধে অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান মিন্টু (২৪) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পীরগাছা থানা পুলিশ।পুলিশ জানায়, আটক মাহমুদুল হাসান মিন্টু পীরগাছার সুখানপুকুর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।অভিযুক্ত মিন্টুকে অপরাধের প্রমাণসহ স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তার একালা থেকে ১৫ ডিসেম্বর রাতে আটক করে পীরগাছা থানা পুলিশ।ভুক্তভোগীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে পর্নগ্রাফি আইনে মামলা দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর শনিবার তাকে রংপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।ভুক্তভোগীর দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, মিন্টুর বাড়ি তার এলাকায় হওয়ার সুযোগে সে প্রায় ছয় মাস আগে থেকে সুকৌশলে ভুক্তভোগীর বাড়ির পাশের পরিত্যাক্ত বাড়ির ভিতর গোপনে প্রবেশ করে তার গোসলখানার টিনের ছিদ্র দিয়ে কৌশলে মোবাইলে গোসল করার সময়ের ভিডিও ধারণ করে। এক পর্যায়ে মিন্টু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফেক নামে আইডি খুলে গত নভেম্বর মাসের শুরুর দিকে ওই আইডি থেকে ভুক্তভোগী নারীর মেসেঞ্জারে ওইসব নগ্ন ভিডিও এবং ছবি পাঠিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাবে রাজি না হলে এ সকল ভিডিও তার স্বামীর মোবাইলে পাঠানোর হুমকি প্রদান করে। এমন পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ওই নারী মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন, এক পর্যায়ে হার্ট অ্যাটাক করেন। পরে তিনি বাধ্য হয়ে বিষয়টি তার স্বামী ও পরিবারের লোকদের জানান।ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, আমি বিষয়টি শোনার পর দ্রুত পীরগাছা থানা যাই। ওসি সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহযোগিতা নিতে বলেন।ভুক্তভোগীর ভাই বলেন, আমরা ক্রাইম ইউনিটের পরামর্শে কৌশলে ভুক্তভোগী আসামি মিন্টুর সঙ্গে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ ও সুসম্পর্ক রেখে কৌশলে তার পরিচয় নেওয়ার চেষ্টা ও ঘনিষ্ঠতা স্থাপনা করতে বললে তাদের এই কৌশলে ভুক্তভোগী তার সাথে কথাবার্তা চালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ১২ ডিসেম্বর রাতে আসামি তাদের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে অনৈতিক কাজ করতে বাড়িতে আসলে ভুক্তভোগী তাকে চিন্তে পারেন। কিন্তু আসামির সন্দেহ হলে সে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।বাদী এবং তার পরিবার অপরাধীর পরিচয় নিশ্চিত হয়ে পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আটক করলে তার মোবাইলে প্রমাণ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে পীরগাছা থানা পুলিশকে জানালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অপরাধের প্রমাণসহ মাহমুদুল হাসান মিন্টুকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে আসামি তার অপরাধের কথা স্বীকার করে।মিন্টুর মোবাইল ফোনে ভুক্তভোগীর ভিডিও, ছবি এবং ম্যাসেজের ছবি আছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আনিছ।এ বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত সেলিমুর রহমান সেলিম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়ে তাকে ধরার জন্য নানা কৌশল নিয়ে অগ্রসর হই। এক পর্যায়ে তাকে প্রমাণ সহকারে ধরতে সক্ষম হই। তার বিরুদ্ধে পর্নগ্রাফি আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৬:২৭ এএম
নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের নলডাঙ্গায় অভিযান চালিয়ে পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের অপরাধে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে নাটোর র্যাব সিপিসি-২ এর একটি দল।২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে অপরাধীদের নলডাঙ্গা উপজেলার ব্রহ্মপুর, পীরগাছা এবং শরকুতিয়া বাজার এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।এ সময় অভিযান পরিচালনা করে পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ এবং অর্থের বিনিময়ে এলাকার যুবক ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিকট বিক্রয় করায় তাদের কাছ থেকে ৪টি সিপিইউ, ৬টি হার্ডডিক্স, ১টি এসএসডি কার্ডসহ শ্রী বাচ্চু সরকার (৪৫), মো. রাসেল সরদার (২২), মো. নুরশাদ সরদার (৩৫) এবং মো. মিঠু সরদার (২৫)কে গ্রেফতার করা হয়।পরে আসামিদের নলডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। নলডাঙ্গা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা জব্দকৃত আলামতে পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ এবং অর্থের বিনিময়ে এলাকার যুবক ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিকট দীর্ঘদিন ধরে বিক্রয় করে আসছিল বলে স্বীকার করে।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৪:০৪ এএম
নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের নলডাঙ্গায় অভিযান চালিয়ে পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের অপরাধে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে নাটোর র্যাব সিপিসি-২ এর একটি দল।২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে অপরাধীদের নলডাঙ্গা উপজেলার ব্রহ্মপুর, পীরগাছা এবং শরকুতিয়া বাজার এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।এ সময় অভিযান পরিচালনা করে পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ এবং অর্থের বিনিময়ে এলাকার যুবক ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিকট বিক্রয় করায় তাদের কাছ থেকে ৪টি সিপিইউ, ৬টি হার্ডডিক্স, ১টি এসএসডি কার্ডসহ শ্রী বাচ্চু সরকার (৪৫), মো. রাসেল সরদার (২২), মো. নুরশাদ সরদার (৩৫) এবং মো. মিঠু সরদার (২৫)কে গ্রেফতার করা হয়।পরে আসামিদের নলডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। নলডাঙ্গা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা জব্দকৃত আলামতে পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ এবং অর্থের বিনিময়ে এলাকার যুবক ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিকট দীর্ঘদিন ধরে বিক্রয় করে আসছিল বলে স্বীকার করে।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৪:০৪ এএম