নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে বাংলাদেশ থেকে বহিস্কারের দাবি জানিয়েছেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তিনি বলেন, পিটার হাস নগ্নভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে চলেছেন, তো চলেছেন। এদিকে ২৮ অক্টোবর বিএনপি নতুন করে সন্ত্রাসের পথে যায়. তাহলে দেশের মানুষ তাদেরকে রুখে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।২৭ অক্টোবর শুক্রবার সকালে স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দেশ আমার সিদ্ধান্ত আমার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তারা।অনুষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘বিএনপির একজন নেতা বলেই দিয়েছিন পিটার হাস হচ্ছেন অবতার। যারা আমাদরে দেশে ধর্মরাজনীতি করে সেই জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যরা প্রতিবাদ করেনি। বরং মেনে নিয়েছে। এই কথা থেকে এটি পরিস্কার যে, বিএনপি-জামায়াতীরা দেশের মানুষের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। সেজন্য তারা চেষ্টা করছে বিদেশি প্রভূদের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে নিতে।’তিনি বলেন, ‘আমরাও পাকিস্তানি উপ-রাষ্ট্রদূতকে এদেশ থেকে বহিস্কার করেছি। কারণ সে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ চেতনাবিরোধী কথা বলেছিল। যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকারের কথা বলছে, অথচ ফিলিস্তিনে যে ধরণের মানবাধিকার লুণ্ঠিত হচ্ছে। তাতে কী প্রমাণিত হচ্ছে? হাজার হাজার শিশুকে বোমা মেরে হত্যা করা হচ্ছে। এসব শিশুদের মধ্যে মুসলমান রয়েছে, খ্রিস্টান রয়েছে, ইহুদিও রয়েছে। সেখানেও আমরা দেখছি মার্কিন হস্তক্ষেপ।’মানিক বলেন, ‘পিটার হাসকে বাংলাদেশ থেকে বহিস্কার করা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। উনি নগ্নভাবে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে চলেছেন। কোনো বাধাই তিনি মানতে রাজি নন। যেন তিনি এই দেশের মালিক, এই দেশের হর্তাকর্তা, বিধাতা।’প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘যারা সরকারের পদত্যাগ চাচ্ছেন, তাদেরকে বলি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের একমাত্র পথ।’তিনি বলেন, ‘২৮ অক্টোবর বিএনপি যদি নতুন করে সন্ত্রাসের পথে যায়, তাহলে এদেশের মানুষ তাদেরকে রুখে দেবে। আর বিদেশিদের কথা বলা হচ্ছে। বিদেশিরা অনেকে আমাদের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল। আবার অনেকে সমর্থন করেছিল। সকল বিরোধীতার মধ্য দিয়ে জাতির পিতার নেতৃত্বে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। আর আজকে বিরোধী করেছিল আমাদের পদ্মা সেতুর। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল বিরোধীতার মুখে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে দেখিয়েছেন।’তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র থাকবে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা সংখ্যায় বেশি নয়। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করি, যারা পক্ষে তারা সবাই যদি এক হয়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকি; তাহলে একাত্তরের মত এরা পরাজিত হবে। আগামী নির্বাচনেও তারা পরাজিত হবে।’ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও খায়রুল আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত, অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাসেম হুমায়ুন, বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা আবদুল মমিন সিরাজী প্রমূখ।
২৭ অক্টোবর ২০২৩ ১২:০৩ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে বাংলাদেশ থেকে বহিস্কারের দাবি জানিয়েছেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তিনি বলেন, পিটার হাস নগ্নভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে চলেছেন, তো চলেছেন। এদিকে ২৮ অক্টোবর বিএনপি নতুন করে সন্ত্রাসের পথে যায়. তাহলে দেশের মানুষ তাদেরকে রুখে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।২৭ অক্টোবর শুক্রবার সকালে স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দেশ আমার সিদ্ধান্ত আমার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তারা।অনুষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘বিএনপির একজন নেতা বলেই দিয়েছিন পিটার হাস হচ্ছেন অবতার। যারা আমাদরে দেশে ধর্মরাজনীতি করে সেই জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যরা প্রতিবাদ করেনি। বরং মেনে নিয়েছে। এই কথা থেকে এটি পরিস্কার যে, বিএনপি-জামায়াতীরা দেশের মানুষের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। সেজন্য তারা চেষ্টা করছে বিদেশি প্রভূদের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে নিতে।’তিনি বলেন, ‘আমরাও পাকিস্তানি উপ-রাষ্ট্রদূতকে এদেশ থেকে বহিস্কার করেছি। কারণ সে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ চেতনাবিরোধী কথা বলেছিল। যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকারের কথা বলছে, অথচ ফিলিস্তিনে যে ধরণের মানবাধিকার লুণ্ঠিত হচ্ছে। তাতে কী প্রমাণিত হচ্ছে? হাজার হাজার শিশুকে বোমা মেরে হত্যা করা হচ্ছে। এসব শিশুদের মধ্যে মুসলমান রয়েছে, খ্রিস্টান রয়েছে, ইহুদিও রয়েছে। সেখানেও আমরা দেখছি মার্কিন হস্তক্ষেপ।’মানিক বলেন, ‘পিটার হাসকে বাংলাদেশ থেকে বহিস্কার করা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। উনি নগ্নভাবে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে চলেছেন। কোনো বাধাই তিনি মানতে রাজি নন। যেন তিনি এই দেশের মালিক, এই দেশের হর্তাকর্তা, বিধাতা।’প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘যারা সরকারের পদত্যাগ চাচ্ছেন, তাদেরকে বলি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের একমাত্র পথ।’তিনি বলেন, ‘২৮ অক্টোবর বিএনপি যদি নতুন করে সন্ত্রাসের পথে যায়, তাহলে এদেশের মানুষ তাদেরকে রুখে দেবে। আর বিদেশিদের কথা বলা হচ্ছে। বিদেশিরা অনেকে আমাদের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল। আবার অনেকে সমর্থন করেছিল। সকল বিরোধীতার মধ্য দিয়ে জাতির পিতার নেতৃত্বে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। আর আজকে বিরোধী করেছিল আমাদের পদ্মা সেতুর। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল বিরোধীতার মুখে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে দেখিয়েছেন।’তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র থাকবে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা সংখ্যায় বেশি নয়। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করি, যারা পক্ষে তারা সবাই যদি এক হয়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকি; তাহলে একাত্তরের মত এরা পরাজিত হবে। আগামী নির্বাচনেও তারা পরাজিত হবে।’ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও খায়রুল আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত, অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাসেম হুমায়ুন, বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা আবদুল মমিন সিরাজী প্রমূখ।
২৭ অক্টোবর ২০২৩ ১২:০৩ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক: কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলকে নয়, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রকে সমর্থন করে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।আগামী নির্বাচন নির্বাচন প্রসঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি আওয়ামী লীগ, অন্যান্য দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি। সবাইকে আমি মার্কিন নীতির কথা জানিয়েছি। আওয়ামী লীগসহ সবাইকে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য বলেছি।তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহম্মেদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত।পিটার হাসের সঙ্গে তার একজন প্রতিনিধি বৈঠকে অংশ নেন।
০৩ আগস্ট ২০২৩ ০৭:৫২ এএম
নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি সহায়ক হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। ২৫ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আমরা নতুন ভিসানীতি প্রনয়ন করেছি। গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এই ভিসানীতি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ, সরকার ও প্রধানমন্ত্রীসহ সবার জন্য সহায়ক হবে।বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, মাঝেমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়, এটি তারই অংশ। আমরা দুদেশের সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করার বিষয়ে আলোচনা করেছি। নতুন ভিসানীতি নিয়েও কথা বলেছি, যেটি বুধবার যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে।এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে মার্কিন নতুন ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদের সঙ্গে ২ ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।বৈঠকে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির ২ জন করে প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যের মধ্যে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কাউন্সিলর স্কট ব্র্যান্ডন, পলিটিক্যাল অফিসার ম্যাথিউ বে এসময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
২৫ মে ২০২৩ ০২:০৫ পিএম