ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ১ম পুনর্মিলনী
টাঙ্গাইল (উত্তর) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ১ম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ক্যাম্পাসে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এ পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানটি মহা এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।‘স্মৃতির টানে প্রিয় প্রাঙ্গনে, এসো মিলি প্রাণের বন্ধনে’ স্লোগানকে হৃদয়ে ও মনে ধারণ করে ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয় ১৯৯৩ থেকে ২০২২ ব্যাচের অধ্যয়নকারী সকল শিক্ষার্থীরা।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আশরাফুল কাদের ও জাকিয়া ফেরদৌস। পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, শহীদ সালাহউদ্দিন সেনানিবাসের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, ঘাটাইল উপজেলা পরিষদের অফিসারবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দকে স্বাগত জানান প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো. ফেরদৌস-উর রহমান খান, ইঞ্জিনিয়ার্স নাজনীন নাহার লুনা। সকালে অধ্যক্ষের নেতৃত্বে আগত প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও অতিথিবৃন্দের মাঝে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, পিলো পাসিং, শিশু অতিথিদের মাঝে মোরগ লড়াই, ভারসাম্য দৌড় প্রতিযোগিতা এবং আকর্ষণীয় রেফেল ড্র-এর আয়োজন করা হয়।দিন শেষে সন্ধ্যায় শুরু হয় বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সবশেষে অনুষ্ঠিত হয় ওয়ারফেজ ব্যান্ড দল কর্তৃক ব্যান্ড সঙ্গীত। অনুষ্ঠান শেষে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে অ্যালামনাই এসোসিয়েশন গঠন করা হয়। এর সদস্যরা হলেন- মাসুদ আহমেদ শিকদার, আব্দুল্লাহ আল মামুন সজিব, খালেকুজ্জামান খান সম্রাট, মো. সাইফুল ইসলাম তারেক, আইরিন পারভীন আঁখি, খালেদ মহিউদ্দিন আলমগীর, মো. সোলায়মান, আবদুল আহাদ বাঁধন, মো. নূর-এ-আলম সিদ্দিকী।এই জাঁকজমকপূর্ণ মিলনমেলায় প্রধান অতিথি প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি তার বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর সাফল্য ও উন্নতি কামনা করেন এবং অনুষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মহোদয় অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দকে স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন তারা হলেন, গোপালগঞ্জ জেলার এডিসি শেখ মো. জোবায়ের আহমেদ। কাজী গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাজী আবু সাঈদ, এসএমএস টেকনোলজির সিইও মাসুদ আহমেদ শিকদার, ম্যাথমোজো আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. খালেকুজ্জামান সম্রাট, মো. রফিকুল ইসলাম।এ সময় ছাত্র জীবনের নানান দিক তুলে ধরে স্মৃতিচারণ করে বক্তৃতা দেন, প্রাক্তন শিক্ষার্থী জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. এম আরিফুল ইসলাম ও জামালপুর জেলার সহকারী জজ উপেন্দ্র চন্দ্র দাস।