ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে এক দিনের বেতনের টাকা দিয়ে কম্বল কিনে উপজেলার ১৫০ জন এতিম ও দুস্থ শীতার্ত মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন থানা পুলিশের সদস্যরা।২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে প্রচণ্ড শীত ও ঘন কুয়াশা মাড়িয়ে থানা পুলিশের সদস্যরা এতিমখানা, মাদ্রাসা এবং রাস্তার পাশের ঝুঁপড়ি ঘরের থাকা দুস্থ ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে এসব কম্বল বিতরণ করে।উপজেলার পুঠিমারি, বড়তারা, তারাকুল, চৌমুহনী ধনতলাসহ বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় পৌঁছে এতিম শিশুদের ডেকে তাদের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেন তারা। কম্বল পেয়ে অত্যন্ত খুশি এতিম শিশুসহ মাদ্রাসার শিক্ষকরা । এছাড়াও থানার বিভিন্ন বিট এলাকার দুস্থ ও ছিন্নমূল মানুষদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন স্ব-স্ব বিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা।থানা পুলিশের এসআই নূর আমিন রনি বলেন, থানা পুলিশের সকলে ১ দিনের বেতনের টাকা দিয়ে কম্বল কিনে রাত ৯ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত বিভিন্ন এতিমখানা, মাদ্রাসা ছাড়াও রাস্তার ছিন্নমূল নারী-পুরুষসহ শীতে কাঁপতে থাকা মানুষের মাঝে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে এসব কম্বল বিতরণ করে।ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, নিজেদের বেতনের টাকায় কেনা কম্বল এতিম ও দুস্থ শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
২৪ জানুয়ারী ২০২৪ ০১:২৩ পিএম
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মাানিকগঞ্জ সদর থানার সেকেন্ড অফিসার মো. টুটুল উদ্দিনসহ উপ-পরিদর্শক (এসআই-নিরস্ত্র) থেকে পরিদর্শক (নিরস্ত্র) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ৪৬ জন পুলিশ কর্মকর্তা।২৭ ডিসেম্বর বুধবার ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়।পদোন্নতিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাঈম মো. জিহাদ উদ্দিন, কাজী তোবারক হোসেন, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. রবিউল ইসলাম. আব্দুল আজিজ, সুশংকর মল্লিক, সোয়েল রানা, আবু হাসানাত মোহাম্মদ মাজেদুল হক, মো. খায়রুল ইসলাম, মো. রাসেল নিয়াজী, অনুপ রায়, রাজীব কুমার কুন্ডু, মো. কামাল উদ্দীন, মো সাজেদুল করিম সরকার. মাহফুজ আলম, একেএম মঈন উদ্দিন, আইয়ুব আলী, মুহ. শরীফুল ইসলাম, মো. মশিউর রহমান, এসএম আহসান হাবীব, মো. তাজুল ইসলাম, মো. শাকিল হুদা জনি, সুব্রত বিশ্বাস, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, মো. মশিউর রহমান, রাসেল মাহমুদ, ব্রজেন কুমার ঘোষ, মুহাম্মদ আজিজুল হক, মো. মতিউল ইসলাম, মো. মাইনুল ইসলাম, মো. আফতাব হোসেন, মো. ফিরোজ আলম হাওলাদার, মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. রাশিদুল ইসলাম, মো. আশিকুর রহমান দেওয়ান, ওমর কাইউম, মো. আবু শাহিন কাদির, সুজন চন্দ্র কর্মকার, কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদার, মো. শফিকুল ইসলাম, খন্দকার আওরঙ্গজেব, মো. টুটুল উদ্দিন, মো. নুরুল হুদা, নজীব আহাম্মেদ, আবদুল হান্নান ও মো. ফিরোজা আলীসহ ৪৬ জন।সৃষ্টিকর্তার প্রতি শোকরিয়া জানিয়ে মো. টুটুল উদ্দিন বলেন, বিশেষ কৃতজ্ঞতা বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি। বিশেষ করে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান পিপিএম (বার)-সহ সকল সিনিয়র অফিসারদের, যাদের দিক নির্দেশনায় আমি সব সময় কাজের প্রতি অনুগত থেকে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পেরেছি। এছাড়া মানিকগঞ্জবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।টুটুল উদ্দিন কর্মরত অবস্থায় ঢাকা রেঞ্জের (বিভাগের) শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে সম্মাননা পদক ও সনদপ্রাপ্ত হয়েছেন। এছাড়াও ২ বার মানিকগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ এসআই ওয়ারেন্ট তামিল অফিসার হিসেবে মনোনীত ও জেলার শ্রেষ্ঠ বিট পুলিশিং কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়েছেন।
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০২:৫৪ পিএম
রাজবাড়ী প্রতিনিধি: রাজবাড়ী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্বরত ২৯তম বিসিএসের কর্মকর্তা রেজাউল করিমকে পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।৭ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকালে এসপি হিসেবে পদোন্নতি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি নিজের ভেরিফাইড ফেজবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তিনি ইতোপূর্বে কক্সবাজার, ঝিনাইদহে সুনামের সাথে চাকরি করেছেন। তিনি যেখানেই গিয়েছেন সেখানেই সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন। পদোন্নতি পাওয়া অফিসার রেজাউল করিমের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমার বহু দিনের প্রত্যাশিত এসপি হিসবে পদন্নোতি পেয়েছি।
০৮ নভেম্বর ২০২৩ ০৬:৩৩ এএম
সিলেট প্রতিনিধি: যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ২৮ আগস্ট সোমবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান ভুইঞা এ আদেশ দেন।জামিন নামঞ্জুর হওয়া স্বামী পুলিশের পরিদর্শক মানিকুল ইসলাম। তিনি বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন।এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের পিপি রাশিদা সঈদা খানম। তিনি বলেন, স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলেও দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন মানিকুল। সোমবার স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে ২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর প্রবাসী এক নারী চিকিৎসককে বিয়ে করেন মানিকুল। বিয়ের পর স্ত্রী কানাডায় চলে যান। পরবর্তীতে মানিকুল তাকেও কানাডায় নিয়ে যাওয়ার জন্য মামলার বাদীকে চাপ দেন। এ পরিস্থিতিতে মামলার বাদী প্রায় এক কোটি টাকা খরচ করে মানিকুলের কানাডার ভিসার ব্যবস্থা করেন। তবে মানিকুল কানাডায় যেতে অস্বীকৃতি জানান এবং গুলশান থানায় তার পোস্টিংয়ের জন্য ৫০ লাখ টাকা চান। অর্থ দিতে ভিকটিম অপারগতা জানালে মানিকুল তাকে বেধড়ক মারধর করেন।২০১৭ সালের ১৮ জুন তিনি কানাডা থেকে বাংলাদেশে এলে তাকে তার বাবার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে মানিকুল নিজের সঙ্গে আনা একটি কালো রঙের গাড়িতে তুলেন। গাড়ি বিমানবন্দর থেকে কিছু দূর যাওয়ার পর মানিকুল আবারও তার কাছে ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তিনি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মানিকুল তার হাতে থাকা ওয়্যারলেস ও মোবাইল দিয়ে ভিকটিমের নাকে-মুখে এলোপাথাড়ি আঘাত করেন এবং পায়ের বুট জুতা দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে ডান পায়ের সব আঙুল থেঁতলে দেন। এতে তার নাক-মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয় এবং কানের পর্দা ফেটে যায়। একপর্যায়ে মানিকুল তার পাসপোর্ট, ক্রেডিট কার্ড, পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার এবং পাঁচ হাজার কানাডিয়ান ডলার ছিনিয়ে নেন।ঘটনার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গাড়িটি নবীগঞ্জ থানাধীন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আউশকান্দি হিরাগঞ্জ বাজারে পৌঁছলে মানিকুল ফের তার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় তার চিৎকারে পাশ দিয়ে যাওয়া অপর একটি অজ্ঞাত গাড়ি তাদের বহনকারী গাড়িটিকে আটকায়। মানিকুল ভিকটিমকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান। তখন উপস্থিত স্থানীয় জনতা ভিকটিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান এবং তাৎক্ষণিকভাবে নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে জানানো হয়।মানিকুলের এ নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে নবীগঞ্জ থানায় তৎকালীন অভিযোগ দায়ের করলেও মানিকুল ওই সময় হবিগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) পদে কর্মরত থাকায় নবীগঞ্জ থানা পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়নি।
২৯ আগস্ট ২০২৩ ০৪:৫১ এএম