জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানায় কর্মরত পুলিশের এ এসআই সোহেল রানার আতঙ্কে থানা এলাকার চোর, ডাকাত, মাদক কারবারি ও অপরাধীরা। এ এসআই সোহেলের উপস্থিতির আনাগোনা পেলে অপরাধীরা পালিয়ে বেড়ান। অপরাধ আর অপরাধী দমনে শক্ত হৃদয়ে যেমন অভিযান পরিচালনা করেন, অন্যদিকে গরীব, দুঃখী ও অসহায় মানুষের সেবায় ছুঁটে যান উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। শুধু তাই নয়, পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে পাওয়া প্রতি মাসের রেশন গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দেন তিনি।জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুল আজিজ মুন্সির ছেলে এএসআই সোহেল রানা ২০১১ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। এরপর নিজের কর্ম দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে মাত্র সাত বছরে পদন্নোতি পান। পুলিশ বাহিনীতে ভালো কাজের পুরুস্কার হিসেবে ২০১৯ সালে আইজিপি ব্যাচ অর্জন করেন তিনি। সবশেষ ২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী এএসআই হিসেবে পাঁচবিবি থানায় যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি উপজেলার নন্দীগ্রাম পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার দায়িত্বে আছেন।মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাঁচবিবি থেকে আমাদের এলাকার গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাটগুলো অনেকে দূরে। একারণে এক সময় এলাকায় চুরি ছিনতাইসহ নানা অপরাধ সংগঠিত হত। কিন্তু নন্দিগ্রাম পুলিশ ফাঁড়ি হওয়ার পর এখন আর আমাদের এলাকায় বড় ধরনের ঘটনা ঘটেনা।সব সময় ফাঁড়ি থানার পুলিশ পাশে পাই। তাছাড়া এএসআই সোহেল রানা এই এলাকার দায়িত্ব থাকায় চুরি ছিনতাই ও ডাকাতি কমে গেছে। কারন চোর ডাকাতের কাছে এক আতঙ্কের নাম এএসআই সোহেল রানা। তিনি মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন।পাঁচবিবি থানার এ এসআই সোহেল রানা বলেন, দেশ ও দেশের মানুষের সেবা করার শপথ নিয়ে ২০১১ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করি। চাকরির কয়েক বছর পর এ এসআই পদন্নোতি পেয়েছি। আমি থানায় যোগদানের পর থেকে ওসি স্যারের দিক নির্দেশনায় চেষ্টা করেছি পুলিশের সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।তিনি বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চোর ডাকাতসহ ভংয়কর অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। এ পর্যন্ত আন্তঃজেলা ডাকাত সদস্যের প্রায় ৪০ জনকে বিভিন্ন কৌশলে গ্রেফতারপূর্বক আদালতে পাঠিয়েছি, ডাকাতদের ধরতে গিয়ে বার বার হামলার শিকার হয়েছি এবং গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।তিনি আরও বলেন, শুধু তাই নয় এক বছরে প্রায় ৩ শতাধিক ফোন উদ্ধার করে গ্রাহকের হাতে পৌঁছে দিয়েছি। আমি একজন মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে মানুষের সেবা করে বাংলাদেশ পুলিশের সুনাম অর্জনে কাজ করতে চাই।
২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০১:১৯ পিএম
বগুড়া প্রতিনিধি: দেশে এই প্রথম এক সঙ্গে পদক পেয়েছেন এক পুলিশ দম্পতি। তারা হলেন বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী ও তার স্ত্রী পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (পুলিশ সুপার পদমর্যাদা) সুনন্দা রায়। স্বামী-স্ত্রী এক সঙ্গে পদক পাওয়া বাংলাদেশ পুলিশে এটাই প্রথম। এর আগে পুলিশে কর্মরত একাধিক দম্পতি পদক পেলেও তারা এক সাথে পাননি।আগামী ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে পুলিশ সপ্তাহ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) সাহসকিতা ও সেবা এবং প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম) সাহসকিতা ও সেবা পদক দেওয়ার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এবার পদক পেয়েছেন ১১৫ জন। এর মধ্যে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী পেয়েছেন পিপিএম সেবা পদক ও তার স্ত্রী পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি সুনন্দা রায় পেয়েছেন বিপিএম সেবা।বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, এটা অনেক বড় একটি অর্জন। আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনই নিষ্ঠার সঙ্গে আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি। কর্তৃপক্ষ আমাদের কাজের প্রতি খুশি হয়ে আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেলো। আমরা দুজনই মানুষের সেবায় আরও বেশি নিবেদিত হতে চাই।উল্লেখ্য, সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বগুড়ায় যোগদানের পর বেশ কিছু ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামি গ্রেফতার, সাহসিকতার সঙ্গে দাঙ্গা এবং রাজনৈতিক সংহিসতা, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ মাদক ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছেন।এছাড়াও দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও সুশৃঙ্খল আচরণের জন্য তিনি পিপিএম সেবা পদক পেয়েছেন। আগামী ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার রাজারবাজাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে কুচকাওয়াজ প্রদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদকপ্রাপ্তদের পদক প্রদান করবেন।
০২ নভেম্বর ২০২৩ ০২:১২ এএম