গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের গাছায় বর্জ্য অপসারণ ব্যবসা দখল নিতে সাইদুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।গত ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার এ হুমকি দেয়ার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেচে। এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী সাইদুর।অভিযুক্তরা হলো, গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন কুনিয়া পাছর তারগাছ এলাকার মৃত হাজী নেকবর আলীর ছেলে আ. আজিজ (৪২), মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মো. দিপু (২৮), মৃত হযরত আলীর ছেলে মো. জাকির হোসেন (৪২), মৃত রুপ মিয়া ছেলে মো. জুলহাস (৫২) ও কুনিয়া পাছর টেকপাড়া এলাকার মৃত অহেদ আলীরে ছেলে মো. বারি (৫০), মৃত আ. সামাদের ছেলে সাইদুজ্জামান সোহেল (৪০)।এ বিষয়ে সাইদুর রহমান বলেন, আমি ২০১২ সাল থেকে কুনিয়া সেচ্ছাসেবী সংগঠনের ম্যানেজার দায়িত্ব পালন করছি। কুনিয়া সেচ্ছাসেবী সংগঠন ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর টঙ্গী পৌরসভা কার্যালয় থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে নিষ্ঠা ও সুনামের সাথে গাছা থানাধীন ৩৭নং ওয়ার্ড কুনিয়া পাছর এলাকার বর্জ্য নিষ্কাশন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। পরবর্তীতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টেন্ডার প্রাপ্ত মো. ইমরান হোসেনকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নগদ এক লক্ষ টাকা জামানত দিয়ে ১ বছর মেয়াদী চুক্তিপত্র দলিল করে পুনরায় নিরবিচ্ছিন্নভাবে বর্জ্য নিষ্কাশন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি।তিনি আরও বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার সময় বিবাদী আজিজ আমার মুঠোফোনে যোগাযোগ করে গাছা থানাধীন কুনিয়া তারগাছ আহসান উল্লাহ মাষ্টার রোডস্থ টিটিএস ইলেক্টিক এন্ড ফার্নিচার নামক দোকানে যেতে বলে। আমি উক্তস্থানে যাওয়া মাত্রই অভিযোগে উল্লেখিত সকল বিবাদী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাকে সেখানে আটক করে। এসময় আমার কাছে থাকা ময়লার বিলের নগদ ৫২ হাজার টাকা জোরপূর্ব নিয়ে নেয় এবং এখন থেকে বিবাদীরাই কুনিয়া পাছর এলাকার বর্জ্য নিষ্কাশন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে জানায় এবং কুনিয়া সেচ্ছাসেবী সংগঠনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে বলে।তিনি আরোও জানান, আমি প্রতিবাদ করায় বিবাদীরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে, এমনকি মারধর করতে উদ্ধত হয়। তখন অপর বিবাদী দিপু আমার গলায় ধারালো রামদা ঠেকিয়ে হুমকি দেয়, অতি শীঘ্রই আমাদের কার্যক্রম বন্ধ না করলে এমনকি আমি কুনিয়া পাছর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে না গেলে আমাকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে।এবিষয়ে অভিযুক্ত আজিজের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি একটি স্থানীয় শালিশে আছি। আমি পরে আপনার সাথে যোগাযোগ করবো। কিন্তু পরে তার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইব্রাহীম হোসেন বলেন, বিষয়েটি সম্পর্কে অবগত আছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০২ অক্টোবর ২০২৩ ০৫:১৪ এএম