আমিরাতে পর্দা উন্মোচন হলো হালদা ফুটবল টুর্নামেন্টের
আমিরাত প্রতিনিধি: খেলাধুলা মানেই সুস্থ বিনোদন। আর বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই দূর প্রবাসে এসেও এই খেলা থেকে দূরে থাকতে পারেনি বাংলাদেশি প্রবাসীরা। চট্টগ্রামের হালদা নদীর নামকরণে হাটহাজারী সমিতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আয়োজনে 'হালদা ফুটবল টুর্নামেন্ট' এর আয়োজন করা হয়েছে। জমজমাট সব আয়োজনের মধ্যদিয়ে ৩১ জানুয়ারি বুধবার আজমানের হুমায়ুদ বিন আব্দুল আজিজ স্টেডিয়ামে পর্দা উঠেছে হালদা ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪ এর।চারটি টিমের অংশগ্রহণে দুটি ম্যাচের মাধ্যমে গ্রুপ পর্বের খেলা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। স্থানীয় সময় রাত ৯টায় আমিরাত এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের পর বেলুন ও কবুতর আকাশে মুক্ত করার মাধ্যমে এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন হাটহাজারী সমিতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপদেষ্টা ইসমাইল গণী চৌধুরী।এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা শেখ আব্দুল আজিজ আব্দুল্লাহ আলী, দুবাইয়ে নিযুক্ত ডেপুটি কনসাল জেনারেল শাহেদুল ইসলাম, কমিউনিটি নেতা প্রকৌশলী আবু জাফর, আইয়ুব আলী বাবুল এবং প্রধান পৃষ্টপোষক মামুন তালুকদারসহ আরও অনেকেই।সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ মোবারকের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ এয়াকুব।টুর্নামেন্টে হাটহাজারী উপজেলার প্রবাসীদের ১২টি টিম চ্যাম্পিয়ন ট্রফির জন্য লড়াই করবে। অংশ নেয়া টিমগুলোর মধ্যে আছে মির্জাপুর, গুমানমর্দ্দন, হাটহাজারী পৌরসভা, ধলই, নাঙ্গলমোড়া, গড়দুয়ারা, ছিপাতলী, চিকনদন্ডী, মেখল, ফরহাদাবাদ, উত্তর মাদার্শা ও দক্ষিণ পাহাড়তলী।এই টুর্নামেন্ট নিয়ে হাটহাজারী প্রবাসীদের পাশাপাশি সকল প্রবাসীদের মাঝেই সৃষ্টি হয় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। সন্ধ্যার পরপরই স্টেডিয়ামে বিপুল পরিমাণ দর্শকের ভিড় ছিল লক্ষনীয় ৷খেলা শুরুর আগেই গ্যালারি পরিপূর্ণ হয়ে যায়৷আয়োজকরা জানান, প্রতিটি টিমের ভালো খেলোয়াড়দের প্রতি লক্ষ রাখা হবে। কারণ, এখান থেকে ভালো খেলোয়াড়দের বাছাই করে একটি টিম গঠন করা হবে। যে টিম দিয়ে ভবিষ্যতে যে কোনো টুর্নামেন্টের যেন অংশ নিয়ে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করা যায়। এসময় সমিতির নের্তৃবৃন্দ হাটহাজারী সমিতির প্রতিষ্ঠা যাদের হাত দিয়ে শুরু হয়েছে, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।তারা বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নজরুল হাসানের প্রতি। কারণ, তার জন্যই আজকে হাটহাজারীবাসী প্রবাসের মাটিতে ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছে।