পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২০ লাখ টাকার লাক্ষা মাছ। ইন্দুরকানী উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের পূর্ব চরবলেশ্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. দুলাল ফকিরের ট্রলারে বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে মাছগুলো।১৫ মার্চ শুক্রবার রাতে জেলেরা মাছগুলো ট্রলারে করে পাড়েরহাট মৎস্য বন্দরে নিয়ে আসেন। ট্রলারের জেলেরা জানান, গত ১০ মার্চ সাগরে যাওয়ার পর মাত্র দুই বার জাল ফেলে ৯২টি লাক্ষা মাছ ধরতে সক্ষম হয়েছেন। যার প্রতিটির ওজন ৭ থেকে ২০ কেজি পর্যন্ত। একবার সাগরে গিয়ে ফিরতে তাদের দুই সপ্তাহ সময় লাগে। তবে এবার সাগরে গিয়ে মাছ পাওয়ায় মাত্র ৫ দিনের মধ্যেই পাড়েরহাট মৎস্য বন্দরে তারা ফিরে আসতে পেরেছেন।ট্রলারের মালিক দুলাল ফকির জানান, পরপর কয়েকবার সাগরে ট্রলার পাঠিয়ে তার লোকসান হয়েছে। তবে এবার একবারে ৯২টি লক্ষা মাছ পাওয়ায় ভালো দাম পাওয়া যাবে। আগের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে তিনি জানান।পাড়েরহাট মৎস্য বন্দরের আড়তদার আবু আলী বলেন, এই মৎস্য বন্দরে আসা সমুদ্রগামী একটি ট্রলারে দুই টানেই ৯২টি লাক্ষা মাছ ধরা পড়েছে। যার প্রতিটির ওজন ৭ থেকে ২০ কেজির মধ্যে। ৯২টি লাক্ষা মাছ ২০ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছে।পাড়েরহাট মৎস্য বন্দর সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে মাছগুলো পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে পাইকারী ক্রেতাদের কাছে বিক্রির পর চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য মাছের তুলনায় লাক্ষা মাছের চাহিদা এবং দাম অনেক বেশি।
১৭ মার্চ ২০২৪ ০২:১৮ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক: উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ শুক্রবার সকালে দেওয়া আবহাওয়ার নিয়মিত পূর্বাভাসে এ কথা জানানো হয়েছে অধিদপ্তর। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তরপূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।রংপুর ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে তা অব্যাহত থাকতে পারে।সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় আবহাওয়ার অবস্থার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
১৮ আগস্ট ২০২৩ ০৬:২৬ এএম
পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি: বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তল থাকায় ইলিশ শূন্য ট্রলার নিয়ে তীরে ফিরছেন জেলেরা। দীর্ঘ ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সমুদ্রে মাছ শিকারে যাওয়ার ঠিক কয়েকদিন পর বৈরী আবহাওয়া শুরু হওয়ায় জেলেদের খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে তীরে।মৎস্য বিভাগ বলছে, গত মৌসুমের তুলনায় এবার বেশি ইলিশ আহরণ সম্ভব হবে। তাই আবহাওয়া অনুকূলে এলেই আবারও শিকারে গভীর সমুদ্রে যাবেন জেলেরা।এদিকে সমুদ্র উত্তাল থাকায় ১ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেল থেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে আছেন পাথরঘাটার জেলেরা। যারা সমুদ্রে গিয়েছিলেন আবহাওয়াজনিত কারণে সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ে তীরে ফিরেছেন তারা।পাথরঘাটার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে স্থানীয় জেলে ট্রলার ছাড়াও কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ভোলা, মোংলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জেলেরা আশ্রয় নিয়েছেন এখানে। পাথরঘাটা মৎস্য বন্দরে জেলেদের পদচারণায় মুখর থাকলেও নেই ইলিশের দেখা।৬ আগস্ট রোববার পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গিয়ে জেলেদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বছরের বেশিরভাগ সময়ে এভাবে নিষেধাজ্ঞা আর আবহাওয়া খারাপ হলে আমাদের পেশা বিলীন হয়ে যাবে। এবার আমরা নিষেধাজ্ঞা শেষে এখনো সাগরেই যেতে পারলাম না, যারা গেছেন তারাও এরই মধ্যে ফিরে এসেছেন খালি হাতে । প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে একযোগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান, পাশাপাশি জেলেদের সরকারি সুবিধা এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি জানান তারা।উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, আবহাওয়া ভালো হলে গভীর বঙ্গোপসাগরসহ স্থানীয় নদীতেও মাছের দেখা মিলবে। আবারও হাজার হাজার জেলে সাগরে যাবেন এবং মাছ আহরণ করতে পারবেন। এদিকে জেলেদের নিরাপত্তায় নানা ধরনের ডিভাইস প্রদানসহ অন্যান্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
০৭ আগস্ট ২০২৩ ০৩:১৮ এএম
কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে মাছ ধরার ৪টি ট্রলার ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোর ৬৮ জন জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ট্রলারগুলোর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।১ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে কুয়াকাটা থেকে আনুমানিক ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার গভীরে ঢেউয়ের তান্ডবের সময় ডুবোচরে আটকে ৩টি ট্রলার ডুবে যায়। আরেকেটি ট্রলার ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার গভীরে ডুবে গেছে বলে জানা গেছে। উদ্ধার হওয়া জেলেদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।আলীপুর মৎস্য বন্দর সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সকালে মাছ শিকারের উদ্দেশ্য ট্রলারগুলো বন্দর ছেড়ে যায়। তারা দুইদিন সমুদ্রে থাকার পর মঙ্গলবার সকালে ঝড়ো আবহাওয়ার কারণে গভীর সমুদ্র থেকে আলীপুর মৎস্য বন্দরের দিকে ফিরে আসছিল। দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে কুয়াকাটা সৈকত থেকে ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে ডুবোচরে আটকে প্রচন্ড ঢেউয়ের তান্ডবে তলা ফেটে ট্রলারগুলো ডুবে যায়। এ সময় তাদের পিছনে থাকা অন্যান্য ট্রলারের জেলেরা তাদের ডুবে যাওয়া ট্রলারের জেলেদের উদ্ধার করে আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে আসে।আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য আড়তদার সমবায় সমিতির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, লগুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় সমুদ্র প্রচন্ড উত্তাল রয়েছে। ঝড়ো বাতাসে সমুদ্রে টিকতে পারছে না জেলেরা। ঝড়ের কবলে পড়ে ৪টি ট্রলার ডুবে গেছে। তবে মাঝি মাল্লাদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয় আনা হয়েছে। সমুদ্রে থেকে ফিরে এসে বেশিরভাগ ট্রলার এখন আলীপুর-মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন পোতাশ্রয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
০২ আগস্ট ২০২৩ ০৫:০১ এএম