ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: বাঁশের তৈরি জিনিসপত্রকেই এখনও জীবিকার প্রধান পেশা হিসেবে আঁকড়ে ধরে আছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নের ১২৫টি পরিবারের ৪ শতাধিক মানুষ। বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করা বাপ-দাদার পেশা হওয়ার কারণে অনেকেই অন্য পেশায় যেতে পারছেন না। আজও জীবিকা নির্বাহ করার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। জেলা বিসিক শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প টিকিয়ে রাখতে দেয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ঋণ।ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নের কিশমত কেশুরবাড়ি এলাকায় প্রতিদিন বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে হরেক রকমের পণ্য। দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য হলেও আজ যেন নেই এসব পণ্যের তেমন কদর। প্লাস্টিকের ভীরে বাঁশের তৈরি জিনিসপত্রের চাহিদা দিন দিন কমে গেছে। বেচাবিক্রি কমে যাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন কাটাচ্ছেন ওই গ্রামের বাঁশশিল্প কারিগর পরিবারগুলো।বড়গাঁও ইউনিয়নের কেশুরবাড়ি গ্রামে গেলে দেখা যায়, সারিবদ্ধ হয়ে নারী-পুরুষ মিলে তৈরি করছেন বাঁশের ঝুড়ি, ফাঁদ, মাছ ধরার চাঁই, বাঁশের দোচালা, চারচালা, আটচালা ঘর, বাঁশের বেড়া, কুলা, ঝুড়ি, ঢাকি, টোপা, মাথলা, ডালি, খলইসহ আরও অনেক কিছুই। তবে বর্তমান সময়ে বাঁশের দাম বেশি হওয়া ও অন্যদিকে পণ্যের দাম কম থাকায় তারা পড়েছেন চরম বিপাকে। সরকারিভাবে ঋণের ব্যবস্থা করা হলে এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পটি টিকিয়ে রাখা যাবে বলে মনে করেন তারা।বিসিক শিল্পনগরী উপ ব্যবস্থাপক মো. নুরেল হক জানান, জেলার বিসিক শিল্পের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প বজায় রাখতে দেয়া হচ্ছে পরামর্শ ও ঋণ।
১৪ আগস্ট ২০২৩ ০৬:৪৯ এএম