খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: মাদকাসক্ত অবস্থায় দিনাজপুরের খানসামায় বাবাকে ছুরিকাঘাতের চেষ্টাকালে মজিবর রহমান (২৫) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্বজনরা। আটক যুবক বর্তমানে কারাগারে বলে জানা যায়।১২ এপ্রিল শুক্রবার সকালে উপজেলার আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব বাসুলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ১৩ এপ্রিল শনিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত মজিবর রহমান (২৫) ওই এলাকার ৮০ বছর বয়সী সাবান আলী ছেলে। সে একটি এনজিওতে বর্তমানে কর্মরত রয়েছে।থানা পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে মাদকাসক্ত অবস্থায় ওই গ্রামের সাবান আলীর ছেলে মজিবর রহমান বাবাকে গালিগালাজ করতে থাকে। সাবান আলী ছেলের এমন আচরণ সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদ জানালে বাপ-ছেলের মধ্যে তর্ক-বির্তকের এক পর্যায়ে মজিবর রহমান ছুরি দিয়ে তার বাবাকে আঘাত করার চেষ্টা করে। এতে সাবান আলী গুরুতর আহত হন।এই সময় প্রতিবেশী শাহিন ইসলাম (২২) ও অবিল আলী (৪০) এগিয়ে আসলে তাদেরকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে। এতে আশপাশের মানুষ আতঙ্কিত হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে খানসামা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মজিবরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।তারা আরও বলেন, এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক বিক্রি ও অনলাইন জুয়ার কারণে ভুল্লির বাজার ও বটতলা বাজার এলাকায় এমন ঘটনা প্রায় প্রতিনিয়তই দেখা যায়। এ কারণে এলাকায় চুরি ছিনতাইয়ের প্রবণতা বেড়ে গেছে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রতিবেশী বলেন, মজিবর রহমান দীর্ঘদিন থেকে মাদক সেবন করে অস্বাভাবিক আচরণ করে আসছে। এতে প্রায় সময়ই তাদের পরিবারে ঝগড়াঝাটি হয়। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে না আসলে এদিন তার বাবা বড় দুর্ঘটনার কবলে পড়তো। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ও পুলিশের কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।অভিযুক্ত ওই ছেলের বাবা সাবান আলী বলেন, এমন ছেলের হাতে কোন বাবা নিরাপদ নয়। তাই সংশোধনের সুযোগ দিতে থানা পুলিশে খবর দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছি। বিষয়টি নিশ্চিত করে খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে বাবাকে ছুরিকাঘাতের চেষ্টার সময় মাদকাসক্ত অবস্থায় অভিযুক্ত যুবককে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সাথে মাদক নির্মুলে সকলের সহযোগিতা চান তিনি।
১৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:১৪ এএম
মাগুরা প্রতিনিধি: ৮ সন্তানের জনক রমজান মন্ডল। এরমধ্যে চার পুত্র ও চার কন্যা। বয়স ৯০ এর কাছাকাছি। বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার মঘি ইউনিয়নের আরোয়াকান্দি গ্রামে। স্ত্রী লালমতি। বয়স ৮০ ছুই ছুই।উভয়ের শরীরেই বাসা বেধেছে নানান জটিল রোগ । চিকিৎসার জন্য বেশ কিছু টাকার প্রয়োজন । বাবা মায়ের চিকিৎসা করাতে হবে। পিতা রমজান মন্ডলের বাড়িতে আট ভাই-বোন একত্রিত হয় । জমি বিক্রি করে বাবার চিকিৎসা করা যেতে পারে, এ বিষয়ে ছয় ভাই বোন একমত পোষণ করে।কিন্তু বিপত্তিবাধে তখনই যখন বড় ভাই বাবার মেজ ভাই শহীদ জমি বিক্রি করে বাবা মায়ের চিকিৎসা করাতে দ্বিমত পোষণ করে। শুরু হয় কথা কাটাকাটি। একপর্যায়ে রূপ নেয় সহিংসতায়। উভয়পক্ষের মধ্যে শুরু হয় মারামারি। পরবর্তীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়। এ সময় আহতদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।১২ এপ্রিল শুক্রবার আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মাগুরা সদর উপজেলার মঘী ইউনিয়নের আরোয়াকান্দি গ্রামে রমজান মন্ডলের নিজ বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। পিটিয়ে আহত করা হয় রমজান মন্ডল, তার স্ত্রী লালমতি, ছেলে ওহাব মন্ডল ও মেয়ে মিতা বেগমকে।ভুক্তভোগী রমজান মন্ডলের দাবি, তার নিজের এবং স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য সম্পত্তি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিলে তার ৬ ছেলে মেয়ে একমত হলেও বাধা দেয় বড় ছেলে বাবর মন্ডল ও মেজো ছেলে শহীদ মন্ডল। শুরু হয় কথা কাটাকাটি । কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার বড় ও মেজ ছেলে এবং তাদের ছেলেরা তাকে, তার স্ত্রী, সেজ ছেলে ও ছোট মেয়েকে পিটিয়ে আহত করা হয়। রমজান মন্ডলের স্ত্রী লালমতি বেগম তার স্বামীর বক্তব্যের সত্যতা স্বীকার করেন।রমজান মন্ডলের সেজো ছেলে ওহাব মন্ডল জানান , বাবা মায়ের চিকিৎসা সংক্রান্ত অর্থ সংগ্রহের জন্য জমি বিক্রিকে কেন্দ্র করে তার বড় ভাই ও মেজ ভাই এবং তাদের ছেলেরা তাকে তার ছোট বোনকে এবং তার বাবা-মাকে পিটিয়ে আহত করেছে।রমজান মন্ডলের ছোট মেয়ে মিতা বেগম বলেন, জমি বিক্রির বিষয়ে কথোপকথনের এক পর্যায়ে তার বড় ভাই বাবর মন্ডল তার পিতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জমি লিখে দিবি তা না হলে লাশ ফেলে দিব। আগে জমি লিখে দিতে হবে তারপরে চিকিৎসা।১২ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় এই ঘটনার জেরে শনিবার আনুমানিক সকাল সাড়ে সাতটায় বাবর মন্ডল শহীদ মন্ডল এবং তার ছেলেরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছোট ভাই ইউনুসের উপর অতর্কিত হামলা করেন এবং তাকে গুরুতর জখম করেন বলে জানিয়েছেন রমজান মন্ডলের ছোট ছেলে ইউনুছ মন্ডল।এ ঘটনায় অভিযুক্ত শহীদ মন্ডল এবং সাগর মন্ডল মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চিকিৎসীন নিয়েছেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা ক্যামেরার সামনে আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
১৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:৪৭ এএম
নীলফামারী প্রতিনধি: নীলফামারীতে ছেলের বিয়ের দিনে অসুস্থ হয়ে নুর আমিন (৫০) নামের এক বাবা মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি পেশায় একজন চা বিক্রেতা ছিলেন।১২ এপ্রিল শুক্রবার রাতে নীলফামারী শহরের প্রগতি পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নুর আমিন শহরের বড় বাজারে দীর্ঘ দিন যাবৎ চা বিক্রয় করেন।স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই মাস আগে নীলফামারীর সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার আব্দুল খালেকের মেয়ের সঙ্গে চা বিক্রেতা নুর আমিনের ছেলে সোহাগ ইসলামের বিয়ে সম্পন্ন হয়। শুক্রবার রাতে বিয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ছেলের বউকে ঘরে তোলার কথা ছিল।এ কারণে সবধরনের প্রস্তুতিও শেষ করেন নুর আমিন। বাড়িতেও আত্মীয় স্বজনে ভরপুর। সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা দ্রুত নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরীক্ষনিরীক্ষা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মুহূর্তেই আনন্দের বাড়িতে নেমে আসে বিষাদের ছায়া।নীলফামারী পৌরসভার ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রত্না রানী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বরণ করেন তিনি। ছেলের বিয়ের দিনে হঠাৎ বাবার মৃত্যুর ঘটনায় এলাকার শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৪৪ এএম