কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি: মাদারীপুরের কালকিনিতে পুত্র বধূর করা মামলায় পুলিশের তাড়া খেয়ে মোতালেব ঘরামী (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। নিহত মোতালেব ঘরামী কালকিনি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম মিনাজদী গ্রামের বাসিন্দা।১৭ এপ্রিল বুধবার গভীর রাতে পুলিশ আসামিদের ধরতে মোতালেব ঘরামীর বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় তার তিন ছেলেকে পুলিশ আটক করলেও মোতালেব ঘরামী দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর পশ্চিম মিনাজদী এলাকার গিয়াসউদ্দিন সরদারের বাড়ির সামনে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। স্থানীয়দের ধারণা, তার তিন ছেলে গ্রেফতারের খবর শুনে পুলিশের হাত থেকে পালাতে গিয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মোতালেব ঘরামী মারা যেতে পারে।পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মোতালেব ঘরামিকে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আশা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহতের ছেলে জুলহাস ঘরামীর স্ত্রী (পুত্রবধূ) ডাসার উপজেলার কাজী বাকাই ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাউতলী এলাকার ছোরপান সরদারের মেয়ে জিয়াসমিন। পুত্রবধূ জিয়াসমিন মোতালেব ঘরামীসহ তার তিন ছেলেকে আসামি করে থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করেন।এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোহরাফ ঘরামীকে বাড়িতে পাওয়া যায় নি। তবে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে সোহরাব ঘরমীর মৃত্যু হয়েছে এটি সঠিক না।
১৮ এপ্রিল ২০২৪ ১০:২০ এএম
পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীতে পরকীয়া প্রেমের জেরে প্রেমিক আবু জাফর মোল্লা (৬৫) কে হত্যার অভিযোগে প্রেমিকা রুনা বেগম (৪০) ও তার স্বামী ফয়জর মোল্লা ওরফে হুমায়ুন কবির (৫০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।২৬ মার্চ মঙ্গলবার ভোররাতে সদর উপজেলার জৈনকাঠি ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের আদালতে সোপার্দ করা হলে তারা বিচারকের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ২৭ মার্চ বুধবার রাত ৯টায় পটুয়াখালী সদর থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জসিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।ওসি বলেন, ১২ মার্চ কেশবপুর গ্রামে একটি মাঠের মধ্যে আবু জাফর মোল্লা (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মৃতদেহ পাওয়া যায়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। আত্মীয়-স্বজন প্রাথমিকভাবে এমন ধারনা করলেও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ও সার্বিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করে বিষয়টিকে হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করে। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে নিহত আবু জাফর মোল্লার ছেলে কবির মোল্লা বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৪। মামলা আমলে নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। প্রযুক্তি ও সোর্সের সহায়তায় মামলার রহস্য উদঘাটন করে বুধবার ভোর রাতে ফয়জর মোল্লা ও রুনা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়।জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।আসামিরা জানায়, মৃত জাফর মোল্লার সাথে রুনা বেগমের দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের কারণে রুনার পারিবারিক জীবনে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। মৃত জাফর মোল্লাকে রুনার স্বামী ফয়জর মোল্লা বার বার নিষেধ করলেও তিনি অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যান। ঘটনার দিন ১২ মার্চ মাগরিবের নামাজের পরে জাফর মোল্লা আসামি রুনা বেগমের ফোনে কল দিলে তাকে বাড়ির পিছনে ডাকে। বাড়ির পিছনে গেলে রুনা তাকে মাঠের মধ্যে নিয়ে যায়। রুনার স্বামী ফয়জর মোল্লা হাতে দা নিয়ে তাদের পিছু পিছু মাঠে যায়। ফয়জরকে দেখে জাফর মোল্লা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পালানোর চেষ্টা কালে ফয়জর মোল্লা তার গলা চেপে ধরে মাটিতে শুইয়ে ফেলে হাতে থাকা দায়ের উল্টা পিঠ দিয়ে গলায় আঘাত করে। এ সময়ে রুনা ভিকটিমের দু' হাত চেপে ধরে রাখে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পরে তারা মরদেহ ফেলে রেখে বাড়িতে চলে আসে।
২৮ মার্চ ২০২৪ ০৭:০০ এএম