স্টাফ রিপোর্টার, ফরিদপুর: ফরিদপুরে নকল শিশু খাদ্য ও ঔষধ কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুজিবুল ইসলাম।৪ এপ্রিল শনিবার দুপুরে শহরের মাহমুদপুর এলাকায় অভিযানে বিপুল পরিমাণ নকল শিশু খাদ্য কোমল পানিও, জুস ও বিভিন্ন ধরনের ঔষধ জব্দ করা হয়।প্রশাসন বলছে, দীর্ঘদিন ধরে একটি অসাধু চক্র নকল ঔষধ ও শিশু খাদ্য তৈরি করে বাজারজাত করছে, এমন অভিযোগ ছিল প্রশাসনের কাছে। চক্রটির সন্ধানে বেশ তৎপর ছিল জেলা প্রশাসন।অবশেষে শনিবার ৪ এপ্রিল দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিসমিল্লাহ শাহ দরগার পাশে নুরুজ্জামান মোল্যার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখানে প্রায় ৫ হাজার পিচ বিভিন্ন ধরনের জুস (ডিংক), চকলেট, কোমল পানীয় ও ঔষধ জব্দ করা হয়। যার কোন বৈধতা নেই।অভিযানের খবর পেয়ে সেখান থেকে কারখানার মালিক পালিয়ে যায়। তবে ৪ ড্রাম ভর্তি পানীয়, ৭ হাজার লেভেল, ৫ হাজার বোতল, ৪ হাজার চকলেট, রোবো লেভেল ৩ হাজার ও স্পিড রোবো লেভেল ১০ হাজার জব্দ করা হয়।ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মুজিবুল ইসলাম জানান, নকল ঔষধ কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ শিশু খাদ্য ও ঔষধ জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সময় পুলিশের একটি টিম ও স্যানেটারি ইন্সপেক্টর বজলুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
০৪ মে ২০২৪ ০১:৫২ পিএম
মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি: চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভেজাল ও অনুমোদনহীন মাঠায় বাজার সয়লাব হয়ে পড়েছে। এগুলোতে বিএসটিআইয়ের নকল সিল ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয় এসব মাঠা। এ মাঠা পান করে পবিত্র রমজানে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন রোজাদাররা।এ মাঠা পান করে অনেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে চিকিৎসকরা জানান। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌরসভার ছেংগারচর বাজার, দশানী লঞ্চঘাট, মোহনপুর বেড়ীবাঁধ, নতুন বাজার, আমিরাবাদ বাজার, সাহেব বাজার, কালিপুর বাজার ও কালির বাজারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের এসব ভেজাল মাঠা উৎপাদন করা হচ্ছে।কলাকান্দা ইউনিয়নের দশানী লঞ্চ ঘাট ও পৌরসভার ছেংগারচর বাজারের আশেপাশে বাসা-বাড়িতে কারখানা গড়ে তুলে ভেজাল মাঠা তৈরি হয়। পরে ভেজাল মাঠা বিভিন্ন দোকান, পাড়া-মহল্লা ও রাস্তার মোড়ে বিক্রি করা হয়। মাঠার বোতলের গায়ে কোনো লেভেল নেই, নেই কোনো উৎপাদন ও মেয়াদাত্তীর্ণের তারিখ।ছেংগারচর বাজারের থানা রোড চৌরাস্তা, কলেজের মোড়, নতুন বাজারের ফল পট্টি, কালির বাজার চৌরাস্তা, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ১ লিটার ১২০ টাকা, ৫০০ মিলি ৬০ টাকা ও ২৫০ মিলি ৩০ টাকায় বিক্রয় করা হয়।মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (আরএমও) ডা. হাসিবুর রহমান বলেন, নিম্নমানের মাঠা পান করলে বদহজম, পেট ফাঁপা, পেট ব্যথা, ডায়রিয়াসহ নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চাঁদপুর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নূর হোসেন রুবেল বলেন, মেয়াদ ও লেভেল ছাড়া মাঠা বিক্রয়ের কোনো সুযোগ নেই। মতলব উত্তরের কয়েকটি স্থানে বাড়িতে বাড়িতে মাঠা তৈরি করে বিক্রয় করা হয়। বাড়িগুলো নির্দিষ্ট করে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
২০ মার্চ ২০২৪ ০৯:৩০ এএম