কক্সবাজার প্রতিনিধি: মুক্তিপণ না পেয়ে চার বছরের শিশুকে হত্যা করেছে অপহরকারীরা। ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে শিশু আবিদের মরদেহ একটি পরিত্যক্ত ইটভাটার পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়।শিশু আবিদ সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের জুমছড়ির মোহাম্মদ ইসলামের পুত্র।জানা গেছে, শুক্রবার সকালে নয়াপাড়া ও ঘাটকুলিয়াপাড়ার মধ্যবর্তী একটি পরিত্যক্ত ইটভাটার পুকুরে ভাসমান অবস্থায় স্থানীয় লোকজন শিশু আবিদের মরদেহ দেখতে পায়। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। এশার নামাজের পর জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।শিশু পুত্রের পিতা মোহাম্মদ ইসলাম জানান, আমার স্ত্রীর মোবাইলে অপরিচিত একটি মোবাইল নাম্বার (০১৯৯০৯১৪৮৭৫) থেকে রাত সাড়ে এগারোটায় ফোন করে ছেলে আবিদকে অপহরণ করা হয়েছে জানিয়ে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানালে মেরে ফেলবে বলে জানায়। তার পরিবারের আর্থিক দূরাবস্থার কথা জানালেও মন গলেনি অপহরণকারীদের।শুক্রবার শিশুটির মরদেহ উদ্বার করে পুলিশ। বিকালে এ ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে তিনজনকে আটক করে তারা।আটকরা হলো, প্রতিবেশী কবির আহমেদের পুত্র মোহাম্মদ হোসেন এবং তাদের আত্মীয় জাকির হোসেনের দুই পুত্র রিফাত ও আরাফাত।কক্সবাজার মডেল থানার অপারেশন অফিসার মোহাম্মদ ক্যায়সার হামিদ জানান, ইটভাটার পাশে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয় জনতা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। সদর মডেল থানার সরকারি পরিদর্শক ইব্রাহিম মরদেহের সুরতহাল তৈরি করেন। মরদেহ পরিববারে কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।এঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয় জনতা এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারপুর্বক সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০১:২১ পিএম
মালদ্বীপ প্রতিনিধি: অপহরণের পাঁচ দিন পর এক প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিককে উদ্ধার করেছে মালদ্বীপ পুলিশ। তিনি দেশটিতে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে গাড়িচালক হিসেব কাজ করেন। পাশাপাশি ভাঙ্গারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অপহরণকারীরা অপহৃতের মোবাইল ব্যবহার করে বাংলাদেশে পরিবারের কাছে ৮ লাখ টাকা দাবি করে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে।অপহৃত প্রবাসী জলিল মিয়ার বাড়ি বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার কালিয়াম পাড়া গ্রামে। তিনি জানান, মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থানীয় নাগরিকদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে মালদ্বীপ পুলিশ।৩৫ বছর বয়সী প্রবাসী বাংলাদেশি জলিল মিয়াকে অপহরণ করে তার পরিবার এবং প্রবাসী বন্ধুদের কাছে আট লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। অপহৃত জলিল মিয়ার দুই মেয়ের কাছ থেকে এই তথ্য জানা যায়। এছাড়াও মালদ্বীপের স্থানীয় পত্রিকায় এই খবর প্রকাশিত হয়। অপহরণ চক্রের মূল হোতা আরিফসহ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি মালদ্বীপ পুলিশ। তবে তারা নিশ্চিত করেছেন যে ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা সকলেই প্রবাসী বাংলাদেশি।অপহৃতের স্ত্রী বাংলাদেশ থেকে ফোন দিয়ে মালদ্বীপে অবস্থানরত এক আত্মীয় রাকিবকে জলিল মিয়া অপহরণের বিষয়টি জানান। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশ দূতাবাস ও মালদ্বীপ পুলিশকে অবহিত করে রিপোর্ট দায়ের করেন। এর পর অপহৃত বাংলাদেশিকে উদ্ধারে পুলিশ অভিযান শুরু করে। এরই মধ্যে বাংলাদেশি ব্যক্তিকে নির্যাতন থেকে রক্ষা করতে দেশ থেকে তার পরিবার অনলাইনের মাধ্যমে অপহরকারীদের কাছে ৫০ হাজার টাকা পাঠান এবং মালদ্বীপ প্রবাসী রুবেলের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা বিকাশের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়।অপহৃত জলিল মিয়ার নিকট আত্মীয় মালদ্বীপ প্রবাসী রাকিব জানান, গত ৩ অক্টোবর জলিলকে মালদ্বীপের তিলাফুশি আইল্যান্ড থেকে এনে রাজধানী মালে আটকে রেখে, তারই ফোন থেকে কল করে টাকা দাবি করেন। কিন্তু জলিল মিয়া কোথায় আছে জানতে চাইলে অপরপ্রান্ত থেকে ফোন কেটে দেন। তারপর আমি বাংলাদেশ দূতাবাস এবং মালদ্বীপ পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ৫ দিনপর তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। উদ্ধারের পর জলিল মিয়াকে তার কোম্পানির সহযোগিতায় দেশে পাঠানো হয়। তিনি আরও বলেন, ঘটনার সাথে আমাদের বাংলাদেশিরা জড়িত ছিলেন।অপহৃত জলিল মিয়ার নিজ এলাকার মালদ্বীপ প্রবাসী রুবেলের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা বিকাশের মাধ্যমে নিয়েছেন বলে মুঠোফোনে নিশ্চিত করেন প্রবাসী রুবেল। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, তাকে জলিল মিয়ার ফোন নাম্বার থেকে কল করে বলেছিল জলিল এক্সিডেন্ট করেছে, তাকে ট্রিটমেন্ট দিতে টাকা লাগবে, এখনি টাকাটা দ্রুত পাঠিয়ে দিতে। তারপর পরই ৬ লাখ টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠান তিনি।এ বিষয়ে মালদ্বীপের বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর মো. সোহেল পারভেজ জানান, জলিল মিয়ার বিষয়টি জানার পরপরই আমরা মালদ্বীপ পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। এ ধরনের অপরাধমূলক কাজে যুক্ত না হওয়ার জন্য মালদ্বীপে বসবাসরত সকল প্রবাসীকে সতর্ক করেন তিনি। এতে মালদ্বীপের কঠোর আইনের মুখোমুখি হওয়াসহ প্রবাসে বাংলাদেশের সম্মান ক্ষুণ্ন হবে বলেও জানান তিনি। অপহৃরিত জলিল মিয়ার বড় মেয়ে জুলি আক্তার জানান, আমার আব্বু ২০১৬ সালে মালদ্বীপ গিয়েছিলেন। তিনি চাকুরির পাশাপাশি ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। আব্বুর সাথে টাঙ্গাইল জেলার, ঘাটার উপজেলার, গোবিন্দপুর গ্রামের মো. আরিফ মিয়ার সাথে পরিচয় হয়, তার পিতার নাম ছিলো আবদুল জলিল। পরিচয়ের পর থেকে বন্ধুত্ব তারপর ২ লাখ টাকা দার নেন। দারের টাকা ফেরত চাওয়াতে বিরোধ শুরু হয়। এরপর আব্বুকে একদিন রাতে কল দিয়ে মালে আসতে বলে। মালে পৌঁছা মাত্রই আব্বুকে কৌশলে একটি রুমে নেওয়া হয়, সাথে সাথে তারা আব্বুর হাত-পা-মুখ বেঁধে ফেলে। সেখানে লোক ছিল ছয় জন। শুধু আরিফ ব্যতীত অন্যদের কাউকে আব্বু কোনদিন দেখে নাই এবং চিনতও না। সারারাত হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আব্বুকে আটকে রাখে। এরপর থেকে আব্বুর সাথে যোগাযোগ ছিলো না আমাদের। অনেক চেষ্টা করি, কিন্তু কোন যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। দুদিন পর আব্বুর নাম্বার থেকে কল করে ৮ লাখ টাকা দিতে বলে, না হলে আব্বুকে মেরে ফেলবে বলে জানায়। আমরা দিতে সম্মত হই তারপর তারা দুটি বিকাশ নাম্বার পাঠায়। এ দুই নাম্বারে ৫০ হাজার টাকা পাঠাই। বাকিটা আব্বুর আরেক বন্ধুর কাছ থেকে নেবে বলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এরপর আমরা সখিপুর থানায় গিয়ে জিডি করতে চাইলে কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার এনামুল স্যার জানান, তিনি এই কেস নিতে পারবেন না। কারণ, এটা দেশের বাইরের ঘটনা। তারপর আমরা যে নাম্বারে ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়েছিলাম ওই নাম্বারটির বিরুদ্ধে জিডি করি। অপহৃত জলিল মিয়ার ছোটো মেয়ে যুথি আক্তার জুঁই জানান, আমি এবং আমার পরিবার এখানো বিপদ মুক্ত নই। আব্বু চলে আসার পরও অপরাধীরা বিভিন্ন নাম্বার থেকে কল করে হুমকি দিচ্ছে। আমি আমার আব্বুর সাথে যা হয়েছে তার ন্যায় বিচার চাই।
১২ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:২০ এএম
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পুলিশ পরিচয়ে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে পরিবারের কাছ থেকে বিকাশে মুক্তিপণ আদায় করে ব্যবসায়ীকে মারধর করে পাট ক্ষেতে ফেলে যায় তারা।খবর পেয়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও ৭-৮ জন পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।৩১ জুলাই সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার চরাঞ্চল গাবসারা ইউনিয়নের পুংলিপাড়া ঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।জানা যায়, অপহরণের মূলহোতা উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খুপিপাড়া গ্রামের কায়সার মিয়া (২২), ভূঞাপুর পৌরসভার ছাব্বিশা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রাকিব মিয়া (২৫), একই পৌরসভার ফসলান্দির সিফাত মিয়া (১৯)। গ্রেফতার এ ৩ জনকে আদালতে প্রেরণ করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , গ্রেফতার কায়সার গোবিন্দাসী বাজারে স্বর্ণের দোকানের পাশাপাশি মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করে। ঘটনার দিন নিজ উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার ১০-১১ জন মাদকসেবীকে নিয়ে পুংলি এলাকায় মাদক সেবন করে তারা। এর পর রাতের বেলায় নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে এক কাপড় ব্যবসায়ীর পথরোধ করে। ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করার পর ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ সময় নগদ টাকা ও বিকাশের মাধ্যমে তিন লাখ টাকা লেনদেনের পর ব্যবসায়ীকে পাট ক্ষেতে ফেলে যায় অপহরণকারীরা। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া করলে ৭-৮ জন পালিয়ে গেলেও ৩ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে পুলিশ এসে তাদের গ্রেফতার করে ভূঞাপুর থানায় নিয়ে যায়।ভূঞাপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জুম্মন খান জানান, খবর পেয়ে ওই ঘটনায় ৩ জনকে আমরা গ্রেপ্তার করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ পরিচয়ে তারা ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করার পর মুক্তিপণ আদায়ের কথা স্বীকার করে।
০২ আগস্ট ২০২৩ ০২:২৪ এএম
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পুলিশ পরিচয়ে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে পরিবারের কাছ থেকে বিকাশে মুক্তিপণ আদায় করে ব্যবসায়ীকে মারধর করে পাট ক্ষেতে ফেলে যায় তারা।খবর পেয়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও ৭-৮ জন পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।৩১ জুলাই সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার চরাঞ্চল গাবসারা ইউনিয়নের পুংলিপাড়া ঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।জানা যায়, অপহরণের মূলহোতা উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খুপিপাড়া গ্রামের কায়সার মিয়া (২২), ভূঞাপুর পৌরসভার ছাব্বিশা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রাকিব মিয়া (২৫), একই পৌরসভার ফসলান্দির সিফাত মিয়া (১৯)। গ্রেফতার এ ৩ জনকে আদালতে প্রেরণ করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , গ্রেফতার কায়সার গোবিন্দাসী বাজারে স্বর্ণের দোকানের পাশাপাশি মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করে। ঘটনার দিন নিজ উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার ১০-১১ জন মাদকসেবীকে নিয়ে পুংলি এলাকায় মাদক সেবন করে তারা। এর পর রাতের বেলায় নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে এক কাপড় ব্যবসায়ীর পথরোধ করে। ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করার পর ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ সময় নগদ টাকা ও বিকাশের মাধ্যমে তিন লাখ টাকা লেনদেনের পর ব্যবসায়ীকে পাট ক্ষেতে ফেলে যায় অপহরণকারীরা। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া করলে ৭-৮ জন পালিয়ে গেলেও ৩ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে পুলিশ এসে তাদের গ্রেফতার করে ভূঞাপুর থানায় নিয়ে যায়।ভূঞাপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জুম্মন খান জানান, খবর পেয়ে ওই ঘটনায় ৩ জনকে আমরা গ্রেপ্তার করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ পরিচয়ে তারা ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করার পর মুক্তিপণ আদায়ের কথা স্বীকার করে।
০২ আগস্ট ২০২৩ ০২:২৪ এএম