এইচ এম জহিরুল ইসলাম মারুফ: যাকাত ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রোকন। ঈমানের পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য ইবাদত হল সালাত ও যাকাত। কুরআন মজীদের বহু স্থানে সালাত-যাকাতের আদেশ করা হয়েছে এবং আল্লাহর অনুগত বান্দাদের জন্য অশেষ ছওয়াব, রহমত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধিরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আর সেই যাকাত প্রদানের ক্ষেত্রে এর নেসাব জানা আবশ্যক।নিম্নে তার মৌলিক কিছু নিয়মকানুন আলোচনা করা হলো:-১. স্বর্ণের ক্ষেত্রে যাকাতের নিসাব হল বিশ মিসকাল (আধুনিক হিসাবে সাড়ে সাত ভরি)। -সুনানে আবু দাউদ : ১/২২১, মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক : ৭০৭৭, ৭০৮২।২. রুপার ক্ষেত্রে নিসাব হল দু’শ দিরহাম। (আধুনিক হিসাবে সাড়ে বায়ান্ন তোলা)। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৪৪৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৯৭।এ পরিমাণ সোনা-রুপা থাকলে যাকাত দিতে হবে।৩. প্রয়োজনের উদ্ধৃত্ত টাকা-পয়সা বা বাণিজ্য-দ্রব্যের মূল্য যদি সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার সমপরিমাণ হয় তাহলে যাকাতের নিসাব পূর্ণ হয়েছে ধরা হবে এবং এর যাকাত দিতে হবে।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক : ৬৭৯৭, ৬৮৫১।৪. যদি সোনা-রুপা, টাকা-পয়সা কিংবা বাণিজ্য-দ্রব্য- এগুলোর কোনটি পৃথকভাবে নিসাব পরিমাণ না থাকে, কিন্তু এসবের একাধিক সামগ্রী এ পরিমাণ রয়েছে, যা একত্র করলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার সমমূল্য বা তার চেয়ে বেশি হয় তাহলে এক্ষেত্রে সকল সম্পদ হিসাব করে যাকাত দিতে হবে।- মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা : ৬/৩৯৩।যেমন -ক) কারো কাছে নিসাবের কম সোনা এবং নিসাবের কম রুপা আছে, কিন্তু যে পরিমাণ সোনা আছে তার মূল্য মজুদ রুপার সাথে যোগ করলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার সমমূল্য হয় বা তার চেয়ে বেশি হয়। তাহলে সোনা-রুপার মূল্য একত্রে হিসাব করে যাকাত আদায় করতে হবে। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা : ৯৯৭৯, রদ্দুল মুহতার : ২/৩০৩।খ) কারো কাছে কিছু স্বর্ণালংকার আর কিছু উদ্বৃত্ত টাকা কিংবা বাণিজ্যদ্রব্য আছে যা একত্র করলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার সমমূল্য বা তার চেয়ে বেশি হয়। এর যাকাত দিতে হবে। -রদ্দুল মুহতার : ২/৩০৩গ) কারো কাছে নিসাবের কম রুপা আর কিছু উদ্বৃত্ত টাকা বা বাণিজ্যদ্রব্য আছে যা একত্র করলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার সমমূল্য বা তার চেয়ে বেশি হয়। এরও যাকাত দিতে হবে। -আদ্দুররুল মুখতার : ২/৩০৩।৫. নিসাবের অতিরিক্ত সোনা-রুপা, টাকা-পয়সা ও বাণিজ্যদ্রব্যের যাকাত আনুপাতিক হারে দিতে হবে। -মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক : ৭০৩২, ৭০৭৪, ৭০৭৫, আদ্দুররুল মুখতার : ২/২৯৯।৬. কারো কাছে সোনা-রুপা, টাকা-পয়সা কিংবা বাণিজ্যদ্রব্য পৃথকভাবে বা সম্মিলিতভাবে নিসাব পরিমাণ ছিল, বছরের মাঝে এ জাতীয় আরও কিছু সম্পদ কোনো সূত্রে পাওয়া গেল এক্ষেত্রে নতুন প্রাপ্ত সম্পদ পুরাতন সম্পদের সঙ্গে যোগ হবে এবং পুরাতন সম্পদের বছর পূর্ণ হওয়ার পর সমুদয় সম্পদের যাকাত দিতে হবে। বছরের মাঝে যা যোগ হয়েছে তার জন্য পৃথক বছর পূর্ণ হওয়া লাগবে না। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা : ১০৩২৫, ১০৩২৭।৭. বছরের শুরু ও শেষে নিসাব পূর্ণ থাকলে যাকাত আদায় করতে হবে। মাঝে নিসাব কমে যাওয়া ধর্তব্য নয়। অবশ্য বছরের মাঝে সম্পূর্ণ সম্পদ নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর পুনরায় যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয় তবে ঐ সময় থেকে নতুন করে বছরের হিসাব আরম্ভ হবে এবং এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর যাকাত আদায় করতে হবে। -মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক : ৭০৪২, আদ্দুররুল মুখতার : ২/৩০২।আল্লাহ তায়াআলা সঠিকভাবে সমস্ত সম্পদ হিসাব-নিকাশ করে সঠিক নিয়মে যথাযথভাবে যাকাত আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।(লেখক : মুহাদ্দিস - জামিয়া ইসলামিয়া মারকাযুদ দ্বীন, তিতাস, কুমিল্লা)
০৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৩:২০ এএম
এইচ এম জহিরুল ইসলাম মারুফ: যাকাত ইসলামের একটি অপরিহার্য ইবাদত। এজন্য শুধু মুসলিমগণকেই যাকাত আদায়ের জন্য ইসলাম ধর্মে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কোন বিধর্মী যাকাতের জন্য সম্বোধিত নয়। সমাজ ও রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সমতা প্রতিষ্ঠায় যাকাতের ভূমিকা অপরিসীম।যাদের উপর যাকাত ফরয-সুস্থমস্তিষ্ক, আযাদ (স্বাধীন), বালেগ মুসলমান নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে যাকাত আদায় করা তার ওপর ফরয হয়ে যায়। (সূত্র- আদ্দুররুল মুখতার : ২/২৫৯, বাদায়েউস সানায়ে : ২/৭৯-৮২)এছাড়া অসুস্থমস্তিষ্কের মুসলিমের ওপর এবং নাবালেগ শিশু-কিশোরের ওপর যাকাত আদায় করা ফরয নয়। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা :৬/৪৬১-৪৬২, রদ্দুল মুহতার : ২/২৫৯)যেসব জিনিসের উপর যাকাত ফরয-সব ধরনের সম্পদ ও সামগ্রীর ওপর যাকাত ফরয হয় না। শুধু সোনা-রুপা, টাকা-পয়সা, পালিত পশু (নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী) এবং ব্যবসার পণ্যের ওপর যাকাত ফরয হয়। নিন্মে যেসব জিনিসের উপর যাকাত ফরয তাদের একটা বিবরণ দেওয়া হলো-* স্বর্ণরৌপ্যের অলংকার সর্বদা বা কালেভদ্রে ব্যবহৃত হোক কিংবা একেবারেই ব্যবহার না করা হোক সর্বাবস্থাতেই তার যাকাত দিতে হবে। (সুনানে আবু দাউদ ; ১/২৫৫) অলংকার ছাড়া সোনা-রুপার অন্যান্য সামগ্রীর ওপরও যাকাত ফরয হয়। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক : ৭০৬১)* জামা-কাপড় কিংবা অন্য কোনো সামগ্রীতে সোনা-রুপার কারুকাজ করা থাকলে তা-ও যাকাতের হিসাবের অন্তর্ভুক্ত হবে এবং যে পরিমাণ সোনা-রুপা কারুকাজে লেগেছে অন্যান্য যাকাতযোগ্য সম্পদের সঙ্গে তারও যাকাত দিতে হবে। (মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক : ৭০৬৬)* সোনা-রুপা ছাড়া অন্য কোনো ধাতুর অলংকার ইত্যাদির উপর যাকাত ফরয নয়। তদ্রূপ হিরা, মণি-মুক্তা ইত্যাদি মূল্যবান পাথর ব্যবসাপণ্য না হলে সেগুলোতেও যাকাত ফরয নয়। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা : ৬/৪৪৭-৪৪৮)* মৌলিক প্রয়োজন থেকে উদ্ধৃত্ত টাকা-পয়সা নিসাব পরিমাণ হলে এবং এক বছর স্থায়ী হলে বছর শেষে তার যাকাত আদায় করা ফরয হয়। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক : ৭০৯১,৭০৯২)* তদ্রূপ ব্যাংক-ব্যালেন্স, ফিক্সড ডিপোজিট, বন্ড, সার্টিফিকেট ইত্যাদিও নগদ টাকা-পয়সার মতোই। এসবের ওপরও যাকাত ফরয হয়। টাকা-পয়সা ব্যবসায় না খাটিয়ে এমনি রেখে দিলেও তাতে যাকাত ফরয হয়। (আদ্দুররুল মুখতার : ২/২৬৭, রদ্দুল মুহতার : ২/২৬২,৩০০)* হজ্বের উদ্দেশ্যে কিংবা ঘর-বাড়ি নির্মাণ, ছেলে-মেয়ের বিয়ে-শাদি ইত্যাদি প্রয়োজনের জন্য যে অর্থ সঞ্চয় করা হচ্ছে তা অন্যান্য যাকাতযোগ্য সম্পদের সাথে যুক্ত হয়ে নিসাব পরিমাণ হলে এবং নিসাবের ওপর এক বছর অতিবাহিত হলে যাকাত ফরয হবে। বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তা যদি খরচ হয়ে যায় তাহলে যাকাত ফরয হবে না। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক : ৭০৩২, মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা - ১০৩২৫)* দোকান-পাটে যা কিছু বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে রাখা থাকে তা বাণিজ্য-দ্রব্য। এর মূল্য নিসাব পরিমাণ হলে যাকাত আদায় করা ফরয। (সুনানে আবু দাউদ : ১/২১৮, সুনানে কুবরা বায়হাকী : ৪/১৫৭)* ব্যবসার নিয়তে কোনো কিছু ক্রয় করলে তা স্থাবর সম্পত্তি হোক যেমন জমি-জমা, ফ্ল্যাট কিংবা অস্থাবর যেমন মুদী সামগ্রী, কাপড়-চোপড়, অলংকার, নির্মাণ সামগ্রী, গাড়ি, ফার্নিচার, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী, হার্ডওয়ার সামগ্রী, বইপুস্তক ইত্যাদি, তা বাণিজ্য-দ্রব্য বলে গণ্য হবে এবং মূল্য নিসাব পরিমাণ হলে যাকাত দেওয়া ফরয হবে। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭১০৩, ৭১০৪)আল্লাহ তায়ালা সকল মুসলিম উম্মাহকে সহিহ নিয়তে সঠিকভাবে হিসেব পূর্ণ করে যাকাত আদায় করার তাওফিক দান করুন।
০৩ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:০০ এএম
সিলেট প্রতিনিধি: প্রতিবারের ন্যায় এবারও সিলেট নগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর শাখার “দারিদ্র বিমোচনে যাকাত-ফিতরা ভূমিকা ও স্থানীয়ভাবে ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ” শীর্ষক সেমিনারে স্থানীয়ভাবে ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ করেছে।২০ মার্চ বুধবার বাদ যোহর সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনের হলরুমে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সর্বনিম্ন ফিতরা ১০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫৬১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং যাকাতদাতাদের সুবিধার্থে বাজার মনিটরিং করে যাকাতের সর্বনিম্ন পরিমাণ (রূপা মূল্য) ১,১০,২৫০ টাকার উপর হিসেব করে যাকাত দিতে হবে।সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতখার আহমদ চৌধুরী। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপ-পরিচালক ও বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির মহাসচিব শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।মহানগর সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাবের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, দরগাহে হযরত শাহজালাল রহ. মাদরাসার মুহাদ্দিস আতাউল হক জালালাবাদী, প্রধান মুফতি আবু খয়ের বিথঙ্গলী, সিলেট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোস্তাক আহমদ খান, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস মুফতি মাওলানা আব্দুল মুছাব্বির, ইমাম সমিতি সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা এহসান উদ্দিন, নয়াসড়ক মাদরাসার মুফতি জুবায়ের আহমদ, শায়খুল হাদীস মাওলানা আশরাফ আলী মিয়াজানী, কুদরত উল্লাহ হাফিজিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মিফতাহ উদ্দিন, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন গাজী রহমত উল্লাহ, সিলেট বারের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুফতি আব্দুর রহমান, জমিয়ত নেতা মাওলানা খলিলুর রহমান, মুফতী আব্দুর রহমান শাহজাহান।শাখা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাসুম আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তরা বলেন, যাকাত ইসলামের মৌলিক বিধান। এ বিধানকে লঙ্ঘন করা মারাত্মক অপরাধ। দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে যাকাতের ভূমিকা অপরিসীম। অনেক দেশ যাকাতভিত্তিক ইসলামি অর্থনীতির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে বিশ্বের শীর্ষে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের মত ক্ষুদ্র দেশে প্রতি বছর সঠিকভাবে যাকাত উত্তোলন করলে বছরে ৮৬ হাজার কোটি টাকা যাকাত উত্তোলন হবে। যা দেশের মূল বাজেটের বৃহৎ একটি অংশ। যাকাতের সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অল্প দিনেই দেশকে দারিদ্র থেকে মুক্ত করা সম্ভব।বক্তাগণ আরও বলেন, নামাজ এবং যাকাত ইসলামী সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম। বাংলাদেশে সরকার কর্তৃক নামাজের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক রূপরেখা না থাকলেও সামাজিক বা মহল্লা কেন্দ্রিক মসজিদ পরিচালনা সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। তেমনিভাবে নামাজের মতো মহল্লা-এলাকা-ইউনিয়ন কেন্দ্রিক যাকাত ফান্ডে যাকাত উত্তোলন করে তা সঠিকভাবে বিতরণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে পারলে সমাজ থেকে বেকারত্ব দূর হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর শাখা এ বারের সেমিনারে সিলেটের সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুফতীয়ানে কেরাম, উলামা মাশায়েখ, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের ও ইমাম-খতিবগণের সাথে আলোচনা ক্রমে ও সিলেট নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজার যাচাই করে ৬০ টাকা হিসাবে আটা ১৬৫০ গ্রামের মূল্য ১০০ টাকা ও খেজুর (মধ্যম) ৩০০ টাকা দরে ৩৩০০ (এক সা’) গ্রামের মূল্য ১০০০ টাকা, কিসমিস ৬০০ টাকা হিসাবে ১,৯৮০ টাকা ও পনির ৯০০ টাকা বাজার দরে ২,৯৭০ টাকা এবং মেডজুল এ গ্রেড খেজুর ১৭০০ টাকা হিসাবে ৫৬১০ টাকা নির্ধারণ করে ফিৎরার ঘোষণা করা হয়।সেমিনারে বক্তারা আগামী শুক্রবার জুম্মার বয়ানে যাকাত-ফিতরা বিষয়ে আলোচনা করার জন্য সিলেটের সকল ইমাম খতিবদের প্রতি আহ্বান জানান।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আব্দুস শহিদ, মাওলানা আহমদ হোসাইন, মাওলানা নূর আহমদ কাসেমী, মাওলানা শাহ আলম, মাওলানা আব্দুস সালাম, মাওলানা এখলাছুর রহমান, মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, মাওলানা ছুহাইব আহমদ, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুস সামাদ, মুফতি জসিম উদ্দিন, মাওলানা আব্দুল্লাহ শাহজাহান, মাওলানা শরীফ উদ্দিন, মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান, মাওলানা মঈন উদ্দিন হোসাইন, মাওলানা আব্দুর রহমান, মুফতি ইলিয়াস আহমদ, আলহাজ বিপ্লবী মুজিবুর রহমান, মাওলানা রায়হান উদ্দিন, মাওলানা আবিদ হাসান, মাওলানা মাহফুজ আহমদ, মাওলানা আতাউর রহমান, মুফতি আব্দুর রহিম মাহির, মাওলানা জাহাঙ্গীর আলমসহ নগরীর ৪২টি ওয়ার্ডের দায়িত্বশীলগণ।
২১ মার্চ ২০২৪ ০২:৫৯ এএম
সিলেট প্রতিনিধি: প্রতিবারের ন্যায় এবারও সিলেট নগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর শাখার “দারিদ্র বিমোচনে যাকাত-ফিতরা ভূমিকা ও স্থানীয়ভাবে ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ” শীর্ষক সেমিনারে স্থানীয়ভাবে ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ করেছে।২০ মার্চ বুধবার বাদ যোহর সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনের হলরুমে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সর্বনিম্ন ফিতরা ১০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫৬১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং যাকাতদাতাদের সুবিধার্থে বাজার মনিটরিং করে যাকাতের সর্বনিম্ন পরিমাণ (রূপা মূল্য) ১,১০,২৫০ টাকার উপর হিসেব করে যাকাত দিতে হবে।সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতখার আহমদ চৌধুরী। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপ-পরিচালক ও বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির মহাসচিব শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।মহানগর সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাবের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, দরগাহে হযরত শাহজালাল রহ. মাদরাসার মুহাদ্দিস আতাউল হক জালালাবাদী, প্রধান মুফতি আবু খয়ের বিথঙ্গলী, সিলেট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোস্তাক আহমদ খান, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস মুফতি মাওলানা আব্দুল মুছাব্বির, ইমাম সমিতি সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা এহসান উদ্দিন, নয়াসড়ক মাদরাসার মুফতি জুবায়ের আহমদ, শায়খুল হাদীস মাওলানা আশরাফ আলী মিয়াজানী, কুদরত উল্লাহ হাফিজিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মিফতাহ উদ্দিন, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন গাজী রহমত উল্লাহ, সিলেট বারের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুফতি আব্দুর রহমান, জমিয়ত নেতা মাওলানা খলিলুর রহমান, মুফতী আব্দুর রহমান শাহজাহান।শাখা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাসুম আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তরা বলেন, যাকাত ইসলামের মৌলিক বিধান। এ বিধানকে লঙ্ঘন করা মারাত্মক অপরাধ। দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে যাকাতের ভূমিকা অপরিসীম। অনেক দেশ যাকাতভিত্তিক ইসলামি অর্থনীতির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে বিশ্বের শীর্ষে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের মত ক্ষুদ্র দেশে প্রতি বছর সঠিকভাবে যাকাত উত্তোলন করলে বছরে ৮৬ হাজার কোটি টাকা যাকাত উত্তোলন হবে। যা দেশের মূল বাজেটের বৃহৎ একটি অংশ। যাকাতের সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অল্প দিনেই দেশকে দারিদ্র থেকে মুক্ত করা সম্ভব।বক্তাগণ আরও বলেন, নামাজ এবং যাকাত ইসলামী সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম। বাংলাদেশে সরকার কর্তৃক নামাজের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক রূপরেখা না থাকলেও সামাজিক বা মহল্লা কেন্দ্রিক মসজিদ পরিচালনা সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। তেমনিভাবে নামাজের মতো মহল্লা-এলাকা-ইউনিয়ন কেন্দ্রিক যাকাত ফান্ডে যাকাত উত্তোলন করে তা সঠিকভাবে বিতরণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে পারলে সমাজ থেকে বেকারত্ব দূর হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর শাখা এ বারের সেমিনারে সিলেটের সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুফতীয়ানে কেরাম, উলামা মাশায়েখ, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের ও ইমাম-খতিবগণের সাথে আলোচনা ক্রমে ও সিলেট নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজার যাচাই করে ৬০ টাকা হিসাবে আটা ১৬৫০ গ্রামের মূল্য ১০০ টাকা ও খেজুর (মধ্যম) ৩০০ টাকা দরে ৩৩০০ (এক সা’) গ্রামের মূল্য ১০০০ টাকা, কিসমিস ৬০০ টাকা হিসাবে ১,৯৮০ টাকা ও পনির ৯০০ টাকা বাজার দরে ২,৯৭০ টাকা এবং মেডজুল এ গ্রেড খেজুর ১৭০০ টাকা হিসাবে ৫৬১০ টাকা নির্ধারণ করে ফিৎরার ঘোষণা করা হয়।সেমিনারে বক্তারা আগামী শুক্রবার জুম্মার বয়ানে যাকাত-ফিতরা বিষয়ে আলোচনা করার জন্য সিলেটের সকল ইমাম খতিবদের প্রতি আহ্বান জানান।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আব্দুস শহিদ, মাওলানা আহমদ হোসাইন, মাওলানা নূর আহমদ কাসেমী, মাওলানা শাহ আলম, মাওলানা আব্দুস সালাম, মাওলানা এখলাছুর রহমান, মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, মাওলানা ছুহাইব আহমদ, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুস সামাদ, মুফতি জসিম উদ্দিন, মাওলানা আব্দুল্লাহ শাহজাহান, মাওলানা শরীফ উদ্দিন, মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান, মাওলানা মঈন উদ্দিন হোসাইন, মাওলানা আব্দুর রহমান, মুফতি ইলিয়াস আহমদ, আলহাজ বিপ্লবী মুজিবুর রহমান, মাওলানা রায়হান উদ্দিন, মাওলানা আবিদ হাসান, মাওলানা মাহফুজ আহমদ, মাওলানা আতাউর রহমান, মুফতি আব্দুর রহিম মাহির, মাওলানা জাহাঙ্গীর আলমসহ নগরীর ৪২টি ওয়ার্ডের দায়িত্বশীলগণ।
২১ মার্চ ২০২৪ ০২:৫৯ এএম
মেহেন্দিগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি: মেহেন্দিগঞ্জ দক্ষিণাঞ্চল যুব কল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টা আলহাজ্ব সাইফুর রহমান বলেছেন, ‘সুদের করালগ্রাস থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে দরকার যাকাত ভিত্তিক অর্থব্যবস্থা। আর যাকাত ভিত্তিক অর্থব্যবস্থা চালু করতে দরকার সৎ, যোগ্য ও আদর্শিক নেতৃত্ব।’১৬ মার্চ শনিবার বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চরগোপালপুর ও জাংগালিয়া ইউনিয়নের অসহায় দরিদ্র দুঃস্থ রোজাদারদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।পরিষদের সভাপতি নুরুল হক সোহরাবের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান মাসুদের পরিচালনায় এসময় দেড় শতাধিক রোজাদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিষদ নেতা ওমর ফারুক, ফাইজুল্লাহ, মাসুদ, আবু মুছা, আলি আকবর প্রমুখ।
১৭ মার্চ ২০২৪ ০৭:০০ এএম