পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: ঈদ ও পহেলা বৈশাখের দীর্ঘ ছুটি শেষে নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন নাড়ীর টানে বাড়িতে আসা মানুষেরা। সরকারি ছুটি শেষ হওয়ার দু’দিন অতিবাহিত হলেও রেল পথে চাপ কমেনি যাত্রীদের।নিরাপদ ভ্রমণের লক্ষে চার লাইনের জংশন খ্যাত দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী প্রতিটি ট্রেনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।যাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় টিকিট কেটেও নিজ আসনে যেতে পারেননি অসংখ্য যাত্রী। কিছু যাত্রী ট্রেনের ভিতরে উঠতে না পারলেও বিনাটিকেট জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের ট্রেনের ছাদে করে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।এদিকে, নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে রেল কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন যাত্রীরা। তাদের আশা কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের ভোগান্তি কমাবে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪ ০১:৩১ পিএম
সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশে মই দিয়ে ডিভাইডার পার হচ্ছেন যাত্রীরা। বিনিময়ে ৫ টাকা প্রদান করতে হচ্ছে যাতায়াতকারী যাত্রীদের। ঝুঁকিপূর্ণভাবে এভাবে ডিভাইডার পার হওয়ার কারণে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্প্রতি মই ব্যবহার করে পারাপারের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায় ৫ টাকার নিয়ে মই বসিয়ে যাত্রী পারাপার করানো হচ্ছে।১৭ মার্চ রোববার দুপুরে মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ের সড়ক ও জনপথ অধিদফতর অফিসের সামনে এমন ঘটনা ঘটেছে।জানা যায়, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে দূরপাল্লার যানবাহনগুলো সরাসরি যেন ঢাকায় যেতে পারে সেজন্য চার লেনের ঢাকামুখী সড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুর ব্রিজ থেকে কুয়েতপ্লাজা এলাকা পর্যন্ত উঁচু ডিভাইডার দিয়ে দুই লেন বিভক্ত করে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে আঞ্চলিক যানবাহন চলাচলের জন্য আরও দুই লেন রাখা হয়। এতদিন দূরপাল্লার লেন থেকে আঞ্চলিক লেনে যাত্রীদের চলাচলের জন্য সওজ কার্যালয়ের সামনে একটি গেট খোলা রাখা ছিল। ওইখানে দূরপাল্লার যানবাহনগুলো শিমরাইল মোড়ের যাত্রীদের নামিয়ে দিতো। কিন্তু গত দুই মাস ধরে তা বন্ধ করে রেখেছে সহজ কর্তৃপক্ষ। দূরপাল্লার যানবাহনগুলো এখনো সেই স্থানেই যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে।এদিকে ওই গেইটি বন্ধ করার ফলে গত দুইমাস ধরেই যাত্রীরা এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। এই সুযোগে কয়েকজন অসাধু পরিবহন শ্রমিক ডিভাইডারের দুই পাশে মই টানিয়ে টাকার বিনিময়ে যাত্রীদের ডিভাইডার পার করে দিচ্ছেন। কাঁচপুর হাইওয়ে শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ একেএম শরফুদ্দিন বলেন, আমাদের হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে, কিন্তু সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। আমরা খতিয়ে দেখছি কারা সড়কের মাঝে এসব কাজ করছে, যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস বলেন, এর আগেও একাধিকবার এভাবে মই বসিয়ে যাত্রী পারাপার করা হয়েছিল। পরে আমরা আনসার দিয়ে মইগুলো জব্দ করি। বিষয়টি নিয়ে আমরা হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। আমরা ও পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিকবার পরিবহন গুলোকে সার্ভিস লেন দিয়ে চলাচলে বাধ্য করা হলেও তারা তা মানছে না।
১৭ মার্চ ২০২৪ ০২:৫৪ পিএম