শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রফিকুল নামক এক পিকআপ চালক গাঁজা ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। এ সময়ে তার কাছে থাকা ১৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ।৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাত ৮টার দিকে শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ি এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এক অভিযানে তাকে আটক করা হয়।রাজশাহী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিচালক জিল্লুর রহমান জানান, গোপন সংবাদে জানতে পারি লালমনিরহাটের বুড়িমারী থেকে একটি পিকআপ ভ্যানে করে বিপুল পরিমাণ গাঁজা নিয়ে ওই পিকআপ চালক শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। পরে আমরা শাহজাদপুরের দিলরুবা বাসস্যান্ডে আগে থেকেই অবস্থান নেই এবং ১৪ কেজি গাঁজাসহ পিকআপ চালক রফিকুলকে হাতেনাতে আটক করি।আটক পিকআপ চালকের বিরুদ্ধে শাহজাদপুর থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০২:০৩ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক: র্যানকন গ্রুপের অধীনে গাজীপুরের কাসিমপুরের বড় ভবানীপুরে অবস্থিত র্যানকন অটো ইন্ডাটিস লিমিটেডের কারখানায় উৎপাদিত হচ্ছে ১ টনের আধুনিক মানের পিকআপ ‘রোয়ার’। টেকসই ফ্রেম, শক্তিশালী ইঞ্জিন ও চিত্তাকর্ষক টোয়িং ক্ষমতাসম্পন্ন এই পিকআপ পরিবহন খাতে বিপ্লব ঘটাতে যাচ্ছে। নতুন বছরের শুরুতেই রোয়ারের প্রথম ইউনিট সফলভাবে উৎপাদিত হয়েছে। র্যানকন অটোমোবাইলস লিমিটেডের ব্যানারে তৈরি হচ্ছে এই পিকআপটি।এ উপলক্ষে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন র্যানকন অটোমোবাইলস লিমিটেডের চিফ বিজনেস অফিসার আরমান রশিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন রোয়ারের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস্টার লি।এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরমান রশিদ বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে গত কয়েক বছরে পরিবহন চাহিদাও বেড়েছে। গত কয়েক বছরে দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হয়েছে, সেতু নির্মাণ হয়েছে এবং বৃহৎ কারখানা বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বাণিজ্যিক পরিবহনের চাহিদাও এখন ঊর্ধ্বমুখী। তাই আমরা বিশ্বাস করি দেশের বাণিজ্যিক পরিবহনে আলোড়ন ফেলবে এই রোয়ার পিকআপ।রোয়ারের টেকসই ফ্রেম, শক্তিশালী ইঞ্জিন ও চিত্তাকর্ষক টোয়িং ক্ষমতার পাশাপাশি প্রশস্ত অভ্যন্তরীণ এবং উন্নত প্রযুক্তি বৈশিষ্ট্য অন্য পরিবহনগুলোর তুলনায় স্বতন্ত্রতা দেবে। এই পিকআপে পারিবারিক যানবাহন এবং বাণিজ্যিক যানবাহনের (যাত্রী এবং পণ্যসম্ভার) দ্বৈত বৈশিষ্ট্য রয়েছে।রোয়ারের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস্টার লি বলেন, পরিবহন খাতে বাংলাদেশ বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। যে কারণে ব্যবসার পরিধি বাড়ছে, জিডিপি বাড়ছে। এই সবকিছুর সাথে বাণিজ্যিক পরিবহন জড়িত। এসব বিষয় মাথায় রেখে আমরা পরিকল্পনা করেছি রোয়ার পিকআপ নিয়ে। আমরা বিশ্বাস করি, এটি পরিবহন খাতে সাড়া ফেলবে।উৎপাদকরা আশা করছেন, দেশে বর্তমানে সকল ছোট পিকআপের মধ্যে গাড়ির দাম, মান ও সক্ষমতা বিবেচনায় নিলে এই রোয়ার ১ টন গাড়িটি সেরা হিসেবে স্থান পাবে। এটি অতিরিক্ত ক্ষমতা সম্পন্ন, মজবুত এবং আরামদায়ক। রোয়ারের মাইলেজ ও লোড ক্যাপাসিটি অসাধারণ, এবং এর পার্টস্ সহজেই স্থানীয় বাজারে পাওয়া যাবে। পাওয়ার স্টিয়ারিং চালকদের দেয় গাড়ির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ, যার ফলে গাড়ির মোড় ঘোরানো যায় খুব সহজে।গাড়িটির অন্যান্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, মজবুত বডি, চেসিস ও মজবুত বাম্পার। এছাড়াও রোয়ারে ফুয়েল খরচ কম এবং গতি ভাল। এতে ভার্টিক্যাল, ইনলাইন, ওয়াটার কুলিং ফোরস্ট্রোক ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। সিলিন্ডার রয়েছে ৪টি। এতে হাইড্রোলিক ব্রেক সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। রয়েছে ফ্রন্ট ডিক্স বা রেয়ার ড্রাম এবং সেন্ট্রাল ড্রাম ব্রেক।পিকআপ ট্রাক বা পিকআপ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহৃত একটি পরিবহন। বাণিজ্যিক ও পরিবহণ প্রেক্ষাপটের কারণে বাংলাদেশেও পিকআপ সর্বাধিক জনপ্রিয় সেগমেন্ট এবং এর চাহিদা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। র্যানকন গ্রুপের হাত ধরে ‘রোয়ার’ পিকআপ বাংলাদেশের বাজারে সর্বোচ্চ আস্থা অর্জনে সক্ষম হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট সকলে।
১২ জানুয়ারী ২০২৪ ০৬:৪৬ এএম