ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে আইনের তোয়াক্কা না করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন এলাকা, ফসলি জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তুলছে ইট ভাটা। ইট ভাটাগুলোতে নেই কোন সরকারি অনুমোদন ও পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এ সমস্ত ইটভাটাগুলো চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের । অবৈধ ইট ভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া, গ্যাস ও ধুলায় জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে। এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের নেয়ার দাবি অবৈধ ইনভার্টার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ ।সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের আজোয়াটারী গ্রামের বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে মেসার্স ডব্লিউএএইস ব্রিকস ফিল্ড, এবি ব্রিকস, মেসার্স এমএসএইচ ব্রিকস, বড়ভিটা ইউনিয়নের নওদাবশ এলাকায় সাইফুর রহমান সরকারি কলেজের পাশে মেসার্স এএমবি, ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের খামারের বাজার এলাকায় মেসার্স কেএমবি এবং শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের জকুরটল এলাকায় মেসার্স জেএমএস নামে ছয়টি ইটভাঁটা গড়ে উঠেছে। এসব ইটভাঁটার একটিরও নেই পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র। পরিবেশ অধিদফতরে নামমাত্র আবেদন করে শুধু সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে চলছে ইট পোড়ানোর কাজ। শুধু তাই নয়, ইটভাঁটার আয়তন দুই একরের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার নিয়ম থাকলেও বিস্তৃত এলাকা দখলে নিয়েছেন ভাঁটা মালিকরা। ভরাট করেছেন পানি নিষ্কাশনের পথ।ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পাহাড়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং লোকালয় থেকে তিন কি.মি. দূরত্বের মধ্যে কোন ইটভাটা নির্মাণ না করার আইনগত নিষেধ থাকলেও ফুলবাড়ীতে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কৃষিজমি, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিতভাবে ৬টি ইটভাটা স্থাপন করে প্রতিনিয়ত ইট তৈরি করছেন ইটভাটার মালিকরা। ভাঁটা মালিকদের বেপরোয়া ভাবের কারণে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোর শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ। ফসলি জমির মাটি কেটে ইট তৈরি ও দীর্ঘমেয়াদি উর্বরতা হারানোর কারণে ফলন হ্রাসের আশঙ্কায় পড়েছেন কৃষকরা।একাধিক কৃষক জানান, ভাঁটা মালিকরা জমি ভাড়া নিয়ে ইট পোড়ানোর কাজ করছেন। এসব ইটভাঁটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় গত ৫ বছর ধরে বোরো এবং আমন আবাদের ফলন বিঘাপ্রতি ৬-৭ মণ কমে এসেছে। ভাঁটার কালো ধোঁয়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে এখানকার সুপারি বাগানের। ধোঁয়ার বিষক্রিয়ায় কয়েক বছর ধরে এই এলাকায় সুপারির ফলন ব্যাপকভাবে কমে গেছে। তা ছাড়া আম, কাঁঠাল, নারিকেলসহ বিভিন্ন ফলের ফলনও কমে গেছে। এছাড়া কৃষকরা জানান প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই ইট তৈরির মহোৎসব চলছে ভাটাগুলোতে।একাধিক ভাটার মালিকের সাথে কথা হলে তারা জানান, হঠাৎ করে পরিবেশ অধিদফতরের লাইসেন্স বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা পরিবেশ অধিদফতরের লাইসেন্স ছাড়াই ভাটা চালাচ্ছি তবে আবেদন করা হয়েছে।ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ জানান, ছয়টি ইটভাটা রয়েছে যার একটিরও কাগজপত্র ঠিক নেই, কাগজপত্রগুলো যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদফতর কুড়িগ্রামের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিমের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমাদের নিজস্ব কোন ম্যাজিস্ট্রেট নেই ডিসি অফিসের মাধ্যমে আমাদের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হয়। তবে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৪:৩৬ এএম
শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি: ‘মাদারীপুরের শিবচরে স্কুল থেকে শিক্ষা সফরে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একত্রে মদ্যপান করছেন। শিক্ষার্থী বিদেশি মদের বোতল থেকে শিক্ষককে মদ ঢেলে দিচ্ছেন। আবার শিক্ষকের সামনেই শিক্ষার্থীরা আনন্দ উল্যাস করে মদ্যপান করছেন।’- এমন ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকে ছড়িয়ে পরেছে।২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের শিকদার হাট উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃক শিক্ষা সফরে নারায়নগঞ্জের সোনার গাঁও থেকে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।জানা যায়, শনিবার ভোরে বিদ্যালয়ের ১৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ৪১ জন শিক্ষার্থী শিক্ষা সফরের উদ্দেশ্য নারায়নগঞ্জের সোনার গাঁও যায়। তবে সাথে নেওয়া হয়নি কোনো শিক্ষার্থীর অভিভাবক।ভিডিও ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষা সফর শেষে এলাকায় ফেরার পর সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মদ্যপানের ভিডিও ছরিয়ে পরে। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায় বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মো. ওয়ালিদ মদের বোতল হাতে নিয়ে মদ ঢালছেন এবং শিক্ষার্থীদের হাতে মদের বোতল দিচ্ছেন। এমন ভিডিও দেখে অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন, আমার বন্ধুরা শিক্ষা সফরে গিয়েছিলো। ওরা ফেসবুক স্টোরি দিয়েছে। আমি ভিডিওতে দেখেছি ওরা ফরেন বোতল মদ পান করেছে। তবে ওরা স্যার ম্যাডামদের সামনেই খেয়েছে মদ। মদ পান করছে সরোয়ার, রবিউল, মোস্তফা, এদের ভিডিও দেখেছি।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন বলেন, আমার বাড়ি সদরপুর। আমি আগের দিন ঢাকাতে গিয়ে অবস্থান করেছি। শিক্ষা সফরে আমি যোগ দিয়েছি ঢাকা থেকে। এর আগে বাসের মধ্যে কি হয়েছে তা আমি জানি না। দায়িত্বে ছিলেন শিউলি ম্যাডাম। আমি বাসে উঠার পর এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।এ ব্যাপারে বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খাঁন বলেন, শিক্ষা সফরের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মদ খেয়ে নেচেছে বিষয়টি শুনেছি ও ভিডিও দেখেছি।এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার খন্দকার মাকসুদুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমার উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবগত করে ব্যবস্থা নিবো।এ ব্যাপারে শিবচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, এটা কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য না। এ বিষয়ে নিয়ে তদন্ত কমিটি করে দিবো। যদি শিক্ষকরা এর সাথে জরিত থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০১:৫৪ পিএম
শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি: ‘মাদারীপুরের শিবচরে স্কুল থেকে শিক্ষা সফরে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একত্রে মদ্যপান করছেন। শিক্ষার্থী বিদেশি মদের বোতল থেকে শিক্ষককে মদ ঢেলে দিচ্ছেন। আবার শিক্ষকের সামনেই শিক্ষার্থীরা আনন্দ উল্যাস করে মদ্যপান করছেন।’- এমন ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকে ছড়িয়ে পরেছে।২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের শিকদার হাট উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃক শিক্ষা সফরে নারায়নগঞ্জের সোনার গাঁও থেকে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।জানা যায়, শনিবার ভোরে বিদ্যালয়ের ১৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ৪১ জন শিক্ষার্থী শিক্ষা সফরের উদ্দেশ্য নারায়নগঞ্জের সোনার গাঁও যায়। তবে সাথে নেওয়া হয়নি কোনো শিক্ষার্থীর অভিভাবক।ভিডিও ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষা সফর শেষে এলাকায় ফেরার পর সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মদ্যপানের ভিডিও ছরিয়ে পরে। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায় বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মো. ওয়ালিদ মদের বোতল হাতে নিয়ে মদ ঢালছেন এবং শিক্ষার্থীদের হাতে মদের বোতল দিচ্ছেন। এমন ভিডিও দেখে অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন, আমার বন্ধুরা শিক্ষা সফরে গিয়েছিলো। ওরা ফেসবুক স্টোরি দিয়েছে। আমি ভিডিওতে দেখেছি ওরা ফরেন বোতল মদ পান করেছে। তবে ওরা স্যার ম্যাডামদের সামনেই খেয়েছে মদ। মদ পান করছে সরোয়ার, রবিউল, মোস্তফা, এদের ভিডিও দেখেছি।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন বলেন, আমার বাড়ি সদরপুর। আমি আগের দিন ঢাকাতে গিয়ে অবস্থান করেছি। শিক্ষা সফরে আমি যোগ দিয়েছি ঢাকা থেকে। এর আগে বাসের মধ্যে কি হয়েছে তা আমি জানি না। দায়িত্বে ছিলেন শিউলি ম্যাডাম। আমি বাসে উঠার পর এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।এ ব্যাপারে বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খাঁন বলেন, শিক্ষা সফরের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মদ খেয়ে নেচেছে বিষয়টি শুনেছি ও ভিডিও দেখেছি।এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার খন্দকার মাকসুদুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমার উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবগত করে ব্যবস্থা নিবো।এ ব্যাপারে শিবচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, এটা কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য না। এ বিষয়ে নিয়ে তদন্ত কমিটি করে দিবো। যদি শিক্ষকরা এর সাথে জরিত থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০১:৫৪ পিএম
সেনবাগ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: ভাষা আন্দোলনের ৭২ বছর অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ২১টি মাদরাসা ৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখনো গড়ে ওঠেনি শহীদ মিনার।ভাষার জন্য ১৯৫২ সালে শহীদ হন আবুল বরকত ,রফিক উদ্দিন আহমদ, শফিউর রহমান,আবদুস সালাম, আবদুল জব্বার প্রমুখ। ভাষা দিবস দেশের গন্ডি পেরিয়ে আর্ন্তজাতিক অঙ্গণে স্বীকৃতি অর্জন করলেও নিজ দেশে উপেক্ষিত তারা।প্রতিবছর ২১ ফ্রেব্রুয়ারি এলে প্রাথমিক,মাধ্যমিক ও মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে শিক্ষাথীরা প্রভাত ফেরী করে ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করে। কিন্তু সেনবাগ উপজেলার ২১ মাদরাসা, ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৫টি ম্ধ্যামিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। বিশেষ করে উপজেলার ২১ মাদরাসায় শহীদ মিনার না থাকায় শিক্ষাথীরা জানতে পারছে না ভাষা দিবস ও ভাষা শহীদের সঠিক ইতিহাস।এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্বাস আলী উপজেলার ১১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫টিতে শহীদ মিনার না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।এ ছাড়াও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফা হোসেন সেনবাগের ২৮ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫টিতে শহীদ মিনার নেই বলে নিশ্চিত করেন।এব্যাপারে যোগাযোগ করলে সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিসান বিন মাজেদ জানান, যেসব স্কুল, মাদরাসায় শহীদ মিনার নেই সেগুলিতে আগামীতে শিক্ষা কমিটির মাধ্যমে শহীদ মিনার নির্মাণের প্রদক্ষেপ নিবেন বলে নিশ্চিত করেন।
২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১২:৩৩ পিএম