নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে ফিরে পরিকল্পিত গুজব আর প্রোপ্যাগান্ডা জবাব দিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। শুধুমাত্র হীন রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য তাকে নিয়ে গুজব ছড়িয়েছিলো একটি মহল। শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই নয়, গুজব ছড়ানোর সামনে ছিলেন একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শো উপস্থাপকও। তবে সব গুজব মিথ্যা প্রমাণ করে তিনি দেশে ফিরে তরুণ উদ্ভাবকদের হাতে তুলে দিলেন জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২৩। ‘সজীব ওয়াজেদ জয়ের সম্পদ যুক্তরাষ্ট্রে বাজেয়াপ্ত’ , ‘ইন্টারপোলের মাধ্যমে সজীব ওয়াজেদ জয় গ্রেফতার’, ‘ভিসা নিষেধাজ্ঞায় জয়’, জয়ের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের কড়া চিঠি’, ‘যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে পালিয়েছেন জয়’ – এমন অনেক অপপ্রচার চালানো হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। যদিও তিনি বিভিন্ন সময় যুক্তরাষ্ট্রে তার অবস্থানের বার্তা নানাভাবে জানিয়েছিলেন।সর্বশেষ তিনি তার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে একটি পারিবারিক ছবি পোস্ট করেছেন ভার্জিনিয়ার একটি গলফ ক্লাবে। মায়ের জন্মদিনে উপলক্ষে গত ২৯ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ছবি প্রকাশ করেন সজীব ওয়াজেদ। এই ছবিতে দেখা যায়, সজীব ওয়াজেদ তার পরিবার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে উপস্থিত হয়েছেন তার গলফ ক্লাবে। ছবির ক্যাপশনে সজীব ওয়াজেদ লেখেন, ‘ভার্জিনিয়ায় গল্ফ ক্লাবে পরিবারের সঙ্গে মায়ের জন্মদিনের ডিনার।’ এই ছবির মাধ্যমে সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়ে দেন, পরিবারসহ তিনি যুক্তরাষ্ট্রেই রয়েছেন। শুধু সমালোচনার জন্যই মিথ্যা বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল তার বিরুদ্ধে। অন্যদিকে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ বা ট্রেজারার বিভাগও খুঁজছে না।সেই ছবি পোস্টের মাত্র ৮ ঘণ্টার মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টটিতে কমেন্ট করছেন অনেকেই। সেই সঙ্গে অনেকেই গুজব রটনাকারীদের সমালোচনা করছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, ‘এভাবে মাঝে মধ্যে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া উচিত, না হলে যেভাবে তারা (গুজব রটনাকারীরা) শুরু করেছিলো।’ গুজবকারীদের সমালোচনা করে অনেকেই বলেছেন, ‘সত্য সামনে আসবেই। সমালোচনা-গুজব সব ব্যর্থ সত্যের কাছে। প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।’ছবি পোস্টের পর অপপ্রচার চালানো বন্ধ হয়নি বরং ছবিটি এডিট করে কিংবা ছবির তথ্য সম্পর্কে ভুয়া এনালাইসিস করে বুঝানোর চেষ্টা কড়া হয়েছে ছবিটি অনেক আগে তোলা। যদিও প্রযুক্তিবিদদের মতে, ফেসবুকে আপলোড করা ছবির তথ্য পুনরায় ডাউনলোড করে উদ্ধার করা সম্ভব না। ‘ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতার শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়’, গত ২৪ অক্টোবর এমন শিরোনামে ভিডিও প্রকাশ করা হয় একটি ফেসবুক পেজ থেকে। এটি প্রচারিত হয় বিএনপি-জামায়াতসংশ্লিষ্ট বেশ কিছু পেজ ও প্রোফাইল থেকে। শুধু তাই নয়, চলতি বছর এমন আরও অনেক গুজব ছড়ানো হয়েছে জয়কে নিয়ে।সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে অসংখ্য গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ ও কারণ ছাড়াই ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে এমন সব অদ্ভুত ভিডিও। এসব ভিডিও বেশিরভাগই তৈরি করা হচ্ছে দেশের বাইরে থেকে।সজীব ওয়াজেদ জয়ের অবস্থান নিয়ে যখন অপপ্রচার তুঙ্গে তখন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতি গুজববাজ গোষ্ঠী গত বেশ কিছু দিন ধরে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে একটি গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। তারা বলছে, সজীব ওয়াজেদ জয় নাকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নেই, কারণ তাকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এদের নিম্নমানের রুচি এবং মিথ্যাচারের কোনো সীমা নেই। এদের রাজনীতি ঘুরপাক খায় নোংরামি, রুচিহীনতা এবং মিথ্যাচারের আবর্তে।জয়কে নিয়ে অপপ্রচার চালানো হয়েছে কথিত নর্থইস্ট নিউজে। সেখানে চন্দন নন্দী নামে এক সাংবাদিক লিখেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পুত্রবধূ ভার্জিনিয়ায় নতুন বাড়ি কিনলেন, কিন্তু ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ছবিতে ‘নিখোঁজ’!গুজব ছড়ানো হয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে জয়ের নিয়োগ নিয়েও। বলা হয়- কোটি কোটি টাকা বেতন নেন সজীব ওয়াজেদ জয়। অথচ প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার নিয়োগপত্রে বলা হয়েছে- ‘এই নিয়োগ খন্ডকালীন এবং অবৈতনিক’।জয়কে নিয়ে গুজব চালানো হচ্ছে, এটি প্রমাণিত হয় তার ছবি পোস্ট করার আগেই। কারণ প্রথমে গুজব চালানো হয়– জয়কে যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশ করতে দিচ্ছে না সেদেশে। এরপর আবার বলা হয়– জয় যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতার। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে না দিলে সেদেশে গ্রেফতার করা হয় কিভাবে- এ থেকেই প্রমাণিত হয় যে, একটি গোষ্ঠী উদ্দেশমূলকভাবে জয়কে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সামাজিক মাধ্যম পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার পর থেকে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে গুজবের ডানা মেলে আরও বিস্তরভাবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীপক্ষ যুৎসই আন্দোলন না গড়তে পেরে বারবার ছড়িয়েছে নানা গুজব। এছাড়া বিরোধী রাজনীতিবিদরাও গুজবের আগুনে ঢেলেছেন ঘি। গুজব ছড়িয়েছেন একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের একজন টকশো উপস্থাপকও। এছাড়া সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে গুজব ছড়িয়েছেন এক সময়ের ডাকসাইটে ছাত্রনেতা বর্তমানে একটি দলের নেতৃত্বে থাকা মাহমুদুর রহমান মান্নাও।দেশে ফিরে ১৮ নভেম্বর শনিবার মানবিক কাজের মাধ্যমে সমাজে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে দেশের সেরা ১২ যুব সংগঠনকে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ তুলে দিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে দেশের ৭৫০টিরও বেশি সংগঠনের মধ্য থেকে ছয় ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেয়ার আয়োজক আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সিআরআই’র অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘ইয়াং বাংলা’। সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) প্রধানও সজীব ওয়াজেদ জয়। এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আগামী দশ থেকে পনেরো বছর পরে দেশে বিএনপি-জামায়াত নামে কোনো দল থাকবে না। জয়ের দেশে ফেরা খবরে কেউ কেউ ফেসবুকে লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ঢাকায় এসেছেন। উনার দেশে আগমনের মাধ্যমে পিনাকী ভট্টাচার্য, ইলিয়াস হোসেন, কনক সারওয়ারদের মতো অতিকথন আর অতিরঞ্জিত তথ্য ছড়ানো ভিডিও কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের গ্রহণযোগ্যতা পুরোপুরি নষ্ট হলো। চন্দন নন্দীর মতো মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে এরা লাখো মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। অতিরঞ্জিত তথ্য ছড়িয়ে লাখো মানুষকে সাময়িক উত্তেজিত করে হতাশা সৃষ্টি করেছে এরা। দেশে কিছু ঘটলে বা ঘটার সম্ভাবনা থাকলে সেটা সময় হলেই সবাই দেখতে পারবে, না ঘটলে সেটাও সঠিক সময়মতো সবাই প্রত্যক্ষ করবে। তৎপরিবর্তে এসব ইউটিউবাররা অলিক ভবিষ্যদ্বাণী করে মানুষকে দিবাস্বপ্নে বিভোর রেখে মোটিভেশনের বদলে পর্বতসম হতাশ করে ছেড়েছে। চন্দন নন্দীদের প্রোপাগান্ডা থেকে নিজেকে হেফাজত করুন। এদের আলাদা এজেন্ডা আছে।
১৯ নভেম্বর ২০২৩ ১০:৪৬ এএম
মো. ওমর ফারুক, সাভার: বাংলাদেশের তরুণদের সমস্যা সমাধানে চিন্তা করতে পারে। আর এ জন্য তরুণদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে যেই উন্নতি হয়েছে, তা আগে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আগামী ১০-১৫ বছরে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।১৮ নভেম্বর শনিবার জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের সপ্তম আসরের চূড়ান্ত পর্বে পুরস্কার বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।এবার ৬টি ক্যাটাগরিতে মোট ১২টি সংগঠনকে প্রদান করা হয় জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। ইয়াং বাংলার পক্ষ থেকে ২০১৫ সাল থেকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হচ্ছে।সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আমি বাংলাদেশের তরুণদের প্রতি, আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। অনেক প্রশ্ন আছে, বাংলাদেশের অনেক সমস্যা আছে। এই সমস্যা সেই সমস্যা। তবে আমার যে বিষয়ে গর্ব হয়, আপনারা শুধু সমস্যা নিয়ে চিন্তা করেন না। আপনারা সমস্যার সমাধান চিন্তা করছেন। সমাধান বের করছেন ও বাস্তবায়ন করছেন। আমি শুরু থেকে বাংলার তরুণদের বলছি, আমরা দেশ হিসেবে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছি। বাংলাদেশের তরুণরাও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। নিজের উদ্যোগে নিজের কর্মসংস্থান আপনারা বের করে নিতে পারেন। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় যত সমস্যা আছে, দুর্নীতি বলেন, বা অন্য কোন সমস্যা। এই সমস্যাও আপনারা সমাধান করতে পারেন। শুধু সরকার পারে তা না, আমরা সবাই সব সমস্যা মোকাবিলা করতে পারি।এ সময় জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী ও শীর্ষ বাছাই হওয়া সকল সংগঠনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি। সজীব ওয়াজেদ বলেন, ৭০০ এর বেশি সংগঠন আবেদন করেছে। সবাইকে আমরা পুরস্কৃত করতে পারিনি। কিন্তু সবার জয়ই বাংলার জয়। আপনাদেরও অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। এত বছর ধরে ইয়াং বাংলার অ্যাওয়ার্ড করছি, পুরষ্কার দিচ্ছি। আমি নিজেই অত্যন্ত গর্বিত যে, সংগঠনগুলো এতো বেড়েছে। আমরা শুরু করেছিলাম, মাত্র কয়েকশো। এখন সাতশোর বেশি আবেদন এসেছে। আপনারা যেভাবে কাজ করছেন সব জেলায়। যেভাবে ছড়িয়ে যাচ্ছেন, পরিশ্রম করছেন। যে স্বীকৃতি পাচ্ছেন, জাতিসংঘ, ইউনেস্কো সবখানে। তা দেখে খুব গর্ব হয়। বাংলাদেশের তরুণরা দেশকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন।তরুণদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য যেভাবে কাজ করছেন। মানুষের জন্য, পরিবেশের জন্য যে চিন্তা করছেন, পরিশ্রম করছেন, তা অসাধারণ। আমাদের স্বপ্ন ছিল, তরুণরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আপনারাই হচ্ছেন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। আমাদের চিন্তা হচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান নয় শুধু, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে। আপনারা সেটা দেখিয়ে দিচ্ছেন। গত ১৫ বছর ধরে উন্নয়নের যে ধারা, বাংলাদেশ যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা শুরু করেছিলাম, বাংলাদেশ তখন ছিল দরিদ্র দেশ। এখন হয়ে গেছি মধ্যম আয়ের দেশ।তরুণরা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের যে পাথফাইন্ডার আছেন, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। স্বাধীনতার আগে থেকে আপনারা দেখিয়েছেন, বাংলাদেশের চেতনা, স্বাধীনতার চেতনা। এই তরুণরা আপনাদেরই সন্তান। আপনাদের প্রতি আমার ব্যক্তিগত কৃতজ্ঞতা। আমাদের জুরি যারা পরিশ্রম করেছেন। সংখ্যা বাড়ছে, আপনাদের পরিশ্রম বাড়ছে। আপনাদের প্রতি আমার ব্যক্তিগত কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।নির্বাচনের সময় নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে বাংলাদেশ জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন সমস্যা, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস। জ্বালাও পোড়াও। নিরীহ মানুষের ওপর আক্রমণ। এই সমস্যাও কিন্তু দূর করা যায়। আমরা জানি গত তিন নির্বাচন ধরে তাদের এই নির্যাতন, প্রত্যেক নির্বাচনের মাস দু’য়েক আগে তারা এই জ্বালাও পোড়াও শুরু করে। এটার মোকাবিলা কি? খুব সহজ। মোকাবিলা হচ্ছে, সামনের নির্বাচনে ভোট দেবেন। যারা জ্বালাও-পোড়াও করছে, তাদের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। যারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তাদের ভোট দেবেন। নৌকায় ভোট দেবেন।অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। বিজয়ী ১২ তরুণদের সংগঠন হলো- উইমেনস ড্রিমার ক্রিকেট অ্যাকাডেমি, স্বপ্ন: এক চিলতি হাসির জন্য, ঋতু হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং ফাউন্ডেশন, এফএপিএ বাংলাদেশ, ক্লিয়ার কনসেপ্ট, টিম অ্যাটলাস, নুপম ফাউন্ডেশন, আলট্রাস্টিক পিউপিলস ইয়ুথ অর্গানাইজেশন (এপিওয়াইও), ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশ (ডব্লিউএসআরটিবিডি), ইকো-নেটওয়ার্ক গ্লোবাল, অভিনন্দন ফাউন্ডেশন ও টঙ্গের গান।জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার পাওয়া সংগঠনগুলো ছাড়াও ৩০০টির বেশি সংগঠন নিয়ে ইয়াং বাংলা বর্তমানে তারুণ্যের সর্ববৃহৎ প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। এই সংগঠনগুলোসহ ইয়াং বাংলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক ও ৩ লাখের বেশি সদস্য। ২০২২ সালের মে মাসে ইয়াং বাংলার সদস্য হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তারুণ্যের বৃহত্তম প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা ২০১৫ সাল থেকে প্রদান করে আসছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। এর আগের ছয় আসরে ১৪৫ তরুণদের নেতৃত্বাধীন সংগঠনকে সম্মানিত করা হয়েছে এই অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়েছে তাদের সাফল্যের গল্প।
১৮ নভেম্বর ২০২৩ ০২:০৪ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা এবং সিআরআই চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয় আজ ১৮ নভেম্বর শনিবার সাভারে একটি অনুষ্ঠানে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করবেন।সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে আজ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে তরুণ স্বপ্নদর্শীদের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টার স্বীকৃতি দিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় যুব পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান শুরু হবে।অনুষ্ঠানটি প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং ডিজিটাল মিডিয়াসহ ফেসবুক পেজে সম্প্রচারের পাশাপাশি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের গবেষণা শাখা সিআরআই তাদের ফেসবুক পেজে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।সারা দেশের ৭৫০টিরও বেশি সংগঠনের আবেদনের মধ্য থেকে ৬ ক্যাটাগরিতে এবার প্রদান করা হবে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান 'জয় বাংলা' বাংলাদেশের পরিচয়কে ধারণ করে। সেই স্লোগান ধারণ করে এই পুরস্কারটি তরুণদের মধ্যে এক স্বপ্ন বীজ বপন করে। মানবিক কাজ এবং সমাজে অবদানের জন্য বাংলাদেশের সেরা যুব সংগঠনগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় এই পুরস্কারের মাধ্যমে। তারুণ্যের বৃহত্তম প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা ২০১৫ সাল থেকে প্রদান করে আসছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। এর আগের ছয় আসরে ১৪৫ তরুণদের নেতৃত্বাধীন সংগঠনকে সম্মানিত করা হয়েছে এই অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়েছে তাদের সাফল্যের গল্প।এ বছর ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের সংগঠনগুলোকে ৬টি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। ক্যাটাগরিগুলো হলো দক্ষতা ও কর্মসংস্থান, শিল্প ও সংস্কৃতি, সম্প্রদায়ের সুস্থতা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, জলবায়ু এবং পরিবেশ উদ্ভাবন এবং যোগাযোগ। এই ক্যাটেগরির আওতাভুক্ত সংগঠনগুলো নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন, পিছিয়ে পড়া মানুষের ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থান ও উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা ও বিনোদন, জ্ঞান ও সক্ষমতা বিকাশ, অতিদরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক উদ্যোগ, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জরুরি সেবা প্রদান কর্মকা-ে নিয়োজিত রয়েছে।জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার পাওয়া সংগঠনগুলো ছাড়াও ৩০০টির বেশি সংগঠন নিয়ে ইয়াং বাংলা বর্তমানে তারুণ্যের সর্ববৃহৎ প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। এই সংগঠনগুলোসহ ইয়াং বাংলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক ও ৩ লাখের বেশি সদস্য। ২০২২ সালের মে মাসে ইয়াং বাংলার সদস্য হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সূত্র: বাসস।
১৮ নভেম্বর ২০২৩ ০২:০৪ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, এ বছর সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে সনাতন ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হলো, আওয়ামী লীগ দল হিসেবে কতটুকু অসাম্প্রদায়িক তা আরেকবার দেখলো বাংলাদেশ।নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ২৫ অক্টোবর বুধবার দেওয়া এক স্ট্যাটাসে সজীব ওয়াজেদ জয় সদ্য শেষ হওয়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা নিয়ে একথা বলেন।ওই স্ট্যাটাসে তিনি আরও বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে এদেশে ঠিক বিপরীত চিত্র ছিলো। সাম্প্রদায়িক হামলা, মানুষ হত্যা ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের সেই অন্ধকার যুগের সমাপ্তি টেনেছে।বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র নিজের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক আদর্শকে ধারণ করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে, এদেশের সকল সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করে বাংলাদেশে আবার এগিয়ে যাবে, এটাই হোক আমাদের সবার প্রতিজ্ঞা।
২৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:৫৯ এএম
নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে দেশে আজ প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি বিকাশমান। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে লক্ষ লক্ষ তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি তরুণ। সজীব ওয়াজেদ জয় এই তারুণ্যের উদ্যমতা ও সৃজনশীলতাকে বৃদ্ধি করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তরুণদের স্বপ্ন দেখানো ও তা বাস্তবায়নে এবং তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে তাঁর অসামান্য অবদান রয়েছে। তিনি তরুণ প্রজন্মকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করতে এবং এর সম্ভবনাকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে সুপরিকল্পিতভাবে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের এক শুভেচ্ছা বার্তায় ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নসারথি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ভিশনারি নেতৃত্ব সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মদিনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, আজ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুবর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের শুভ জন্মদিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির মহাসংগ্রামের মধ্যে সম্ভাবনার সোপানে অগ্নিগর্ভ দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরে মাতা শেখ হাসিনার সঙ্গে দীর্ঘ নির্বাসনে ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। সকল প্রতিকূলতা ও বাধা-বিপত্তি জয় করে তিনি উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন। তবে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও কোনো মোহ তাকে আচ্ছন্ন করতে পারেনি। মাতামহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে সকল মোহ ত্যাগ করে তিনি বাঙালির কাছে ফিরে আসেন। তাঁর লব্ধ জ্ঞান বাঙালি জাতির সমৃদ্ধির জন্য বিলিয়ে দেন।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা রাজনৈতিক মুক্তি অর্জন করি। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এনে দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর কন্যার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সজীব ওয়াজেদ জয় নিয়ত বিকাশমান প্রযুক্তির সহায়তায় সম্ভাবনার নবতর দিগন্ত উন্মোচন করেছেন, দেখিয়েছেন বিস্ময়কর সাফল্য, কোটি তরুণের হৃদয়ে নব প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়ে স্বপ্নজয়ের বীজ বপন করেছেন। ২০০৭ সালে তিনি ২৫০ তরুণ বিশ্বনেতার মধ্যে অন্যতম একজন হিসেবে বিবেচিত হন। সজীব ওয়াজেদ জয় প্রযুক্তির উৎকর্ষের এই যুগে নতুন প্রজন্মকে বিশ্বমানের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় অভিষিক্ত করেছেন।তিনি আরও বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল দর্শনের বিকশিত রূপটি বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক প্রতিনিয়ত উপভোগ করছে। তাঁর গৃহীত পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এলআইসিটি প্রকল্পে ১০টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উপর দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সারাদেশে প্রতিটি উপজেলা কারিগরি কলেজ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, প্রতিটি জেলায় শেখ কামাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও ইনকিউরেশন সেন্টার স্থাপনের মধ্য দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করে তোলা হচ্ছে।সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট এবং ১৮ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ মোবাইল ব্যবহার করছে। আইসিটি সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং করছে সাড়ে ৬ লক্ষ মানুষ। দেশে ৩৯টি হাইটেক পার্কে বেসরকারিভাবে ৩২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে, যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে ১৩ হাজার তরুণ-তরুণীর। ই-গভার্নেন্স পরিষেবার মাধ্যমে সরকারি সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারণ ও সহজপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশব্যাপী ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ৩০০-এর অধিক ধরনের সরকারি-বেসরকারি সেবা পাচ্ছে জনগণ। আইসিটি খাতে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ১.৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৫ সালে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নসারথি সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভিশনারি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে।সজীব ওয়াজেদ জয়ের দূরদর্শী পদক্ষেপে ডিজিটাল বাংলাদেশের ৫টি উদ্যোগ আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রসারণে অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশ। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অনন্য অবদানের জন্য এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন (অ্যাসোসিও) পুরস্কার-২০২১ লাভ করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। শুভেচ্ছা বার্তায় ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বের দেশে দেশে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক পরিবারের পরবর্তী প্রজন্ম তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য, মর্যাদা, জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হলেও বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর পরিবার তার ব্যতিক্রম। বঙ্গবন্ধু পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের সকল সদস্য মেধাবী ও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজেদের যোগ্য করে তোলার পরও তারা দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ। মাতৃভূমির প্রতি গভীর মমত্ববোধ, দেশপ্রেম এবং তাদের সাধারণ জীবন-যাপনের মধ্যে তার প্রতিফলন দেখা যায়। জাতির পিতার মহান আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা সকলে দেশের মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণের চিন্তা করেন এবং তা বাস্তবায়নে নিরবে-নিভৃতে কাজ করে যান।বঙ্গবন্ধু পরিবারের গর্বিত সদস্য সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি, তরুণ সমাজের আইকন, বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সুযোগ্য-দক্ষ-দেশপ্রেমিক-কর্মবীর সজীব ওয়াজেদ জয়ের শুভ জন্মদিন উপলক্ষে দেশবাসীর নিকট দোয়া প্রার্থনা এবং পরম করুণাময়ের নিকট তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন তিনি।
২৭ জুলাই ২০২৩ ১১:৩২ এএম
নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে দেশে আজ প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি বিকাশমান। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে লক্ষ লক্ষ তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি তরুণ। সজীব ওয়াজেদ জয় এই তারুণ্যের উদ্যমতা ও সৃজনশীলতাকে বৃদ্ধি করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তরুণদের স্বপ্ন দেখানো ও তা বাস্তবায়নে এবং তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে তাঁর অসামান্য অবদান রয়েছে। তিনি তরুণ প্রজন্মকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করতে এবং এর সম্ভবনাকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে সুপরিকল্পিতভাবে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের এক শুভেচ্ছা বার্তায় ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নসারথি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ভিশনারি নেতৃত্ব সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মদিনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, আজ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুবর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের শুভ জন্মদিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির মহাসংগ্রামের মধ্যে সম্ভাবনার সোপানে অগ্নিগর্ভ দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরে মাতা শেখ হাসিনার সঙ্গে দীর্ঘ নির্বাসনে ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। সকল প্রতিকূলতা ও বাধা-বিপত্তি জয় করে তিনি উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন। তবে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও কোনো মোহ তাকে আচ্ছন্ন করতে পারেনি। মাতামহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে সকল মোহ ত্যাগ করে তিনি বাঙালির কাছে ফিরে আসেন। তাঁর লব্ধ জ্ঞান বাঙালি জাতির সমৃদ্ধির জন্য বিলিয়ে দেন।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা রাজনৈতিক মুক্তি অর্জন করি। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এনে দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর কন্যার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সজীব ওয়াজেদ জয় নিয়ত বিকাশমান প্রযুক্তির সহায়তায় সম্ভাবনার নবতর দিগন্ত উন্মোচন করেছেন, দেখিয়েছেন বিস্ময়কর সাফল্য, কোটি তরুণের হৃদয়ে নব প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়ে স্বপ্নজয়ের বীজ বপন করেছেন। ২০০৭ সালে তিনি ২৫০ তরুণ বিশ্বনেতার মধ্যে অন্যতম একজন হিসেবে বিবেচিত হন। সজীব ওয়াজেদ জয় প্রযুক্তির উৎকর্ষের এই যুগে নতুন প্রজন্মকে বিশ্বমানের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় অভিষিক্ত করেছেন।তিনি আরও বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল দর্শনের বিকশিত রূপটি বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক প্রতিনিয়ত উপভোগ করছে। তাঁর গৃহীত পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এলআইসিটি প্রকল্পে ১০টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উপর দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সারাদেশে প্রতিটি উপজেলা কারিগরি কলেজ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, প্রতিটি জেলায় শেখ কামাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও ইনকিউরেশন সেন্টার স্থাপনের মধ্য দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করে তোলা হচ্ছে।সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট এবং ১৮ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ মোবাইল ব্যবহার করছে। আইসিটি সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং করছে সাড়ে ৬ লক্ষ মানুষ। দেশে ৩৯টি হাইটেক পার্কে বেসরকারিভাবে ৩২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে, যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে ১৩ হাজার তরুণ-তরুণীর। ই-গভার্নেন্স পরিষেবার মাধ্যমে সরকারি সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারণ ও সহজপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশব্যাপী ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ৩০০-এর অধিক ধরনের সরকারি-বেসরকারি সেবা পাচ্ছে জনগণ। আইসিটি খাতে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ১.৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৫ সালে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নসারথি সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভিশনারি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে।সজীব ওয়াজেদ জয়ের দূরদর্শী পদক্ষেপে ডিজিটাল বাংলাদেশের ৫টি উদ্যোগ আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রসারণে অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশ। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অনন্য অবদানের জন্য এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন (অ্যাসোসিও) পুরস্কার-২০২১ লাভ করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। শুভেচ্ছা বার্তায় ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বের দেশে দেশে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক পরিবারের পরবর্তী প্রজন্ম তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য, মর্যাদা, জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হলেও বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর পরিবার তার ব্যতিক্রম। বঙ্গবন্ধু পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের সকল সদস্য মেধাবী ও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজেদের যোগ্য করে তোলার পরও তারা দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ। মাতৃভূমির প্রতি গভীর মমত্ববোধ, দেশপ্রেম এবং তাদের সাধারণ জীবন-যাপনের মধ্যে তার প্রতিফলন দেখা যায়। জাতির পিতার মহান আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা সকলে দেশের মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণের চিন্তা করেন এবং তা বাস্তবায়নে নিরবে-নিভৃতে কাজ করে যান।বঙ্গবন্ধু পরিবারের গর্বিত সদস্য সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি, তরুণ সমাজের আইকন, বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সুযোগ্য-দক্ষ-দেশপ্রেমিক-কর্মবীর সজীব ওয়াজেদ জয়ের শুভ জন্মদিন উপলক্ষে দেশবাসীর নিকট দোয়া প্রার্থনা এবং পরম করুণাময়ের নিকট তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন তিনি।
২৭ জুলাই ২০২৩ ১১:৩২ এএম