গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ঘাতক স্বামী মোবারক হোসেনকে (৩৬) গ্রেফতার করেছে জয়দেবপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ছোট বোন রুমা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দয়ের করেন।১৮ নভেম্বর শনিবার সদর উপজেলার মনিপুর নামাপাড়া এলাকায় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় দিকে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত সিমা বেগম (৩৩) পাবনা জেলার ফরিদপুর থানা দেনুয়াঘাটা গ্রামের হারুন আর রসীদ মোল্লার মেয়ে।নিহতের ছোট বোন রুমা জানান, সদর উপজেলার মনিপুর নামাপাড়া গ্রামের স্থানীয় আবু সাঈদের ছেলে মোবারকের সাথে ১ বছর আগে বিয়ে হয় সিমার। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন অজুহাতে এবং নেশার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগে ছিলো। নগদ টাকা দাবিতে প্রায়ই সিমাকে মারধর করতো ঘাতক স্বামী মোবারক। ঘটনার দিন শনিবার সিমার উপর দিনভর দফায় দফায় অমানবিক নির্যাতন চালায় মোবারক। এক পর্যায়ে নির্যাতন সইতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে যায় সিমা। পরে এক আত্মীয়ের সহায়তায় প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিমাকে মৃত ঘোষণা করেন।স্থানীয়রা জানান, মোবারক ইতিপূর্বে ২টি বিয়ে করেছেন। তাদেরকে মারধোর করার কারনে তারা মোবারক কে ডিভোর্স দিয়ে চলে যায়। সীমা বেগমকে আনুমানিক ১ বছর আগে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন। সীমা বেগমেরও এটা দ্বিতীয় বিয়ে। সিমার প্রথম ঘরে মিরাজুল ইসলাম (১৩) নামে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সে তার মায়ের সাথেই থাকতো।এ বিষয়ে জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন জানান, সিমা বেগম নামে এক গৃহবধূকে স্বামী পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ঘাতক গ্রফতার করা হয়েছে এবং একটি হত্যা মামলা হয়েছে। পরে রোববার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
১৯ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:৫৯ এএম
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার ৬ দিন পর ঘাতক স্বামী বাবুল মিয়াকে (৩৮) গ্রেফতারর করেছে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। ১৯ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বাবুলকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে খুলনা জেলার কোতয়ালী থানার হাদিস পার্কের সামনে থেকে বাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার বাবুল মিয়া মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামের শেখ কাশেমের ছেলে।পুলিশ জানায়, প্রায় ৩ বছর আগে জেলার সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের চর নয়াবাড়ি গ্রামের মৃত ছইজুদ্দিনের মেয়ে রোকসানার সাথে (৩৮) বাবুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর রোকসানা সৌদি আরবে পাড়ি জমায়। সেখান থেকে তার আয়ের টাকায় স্বামীকে দিয়ে সদর উপজেলার পশ্চিম শানবান্ধা গ্রামে জমি কিনে একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। গত ৬ অক্টোবর রোকসানা দেশে আসেন এবং ঢাকার সাভারে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। গত ১৩ অক্টোবর বিকেলে নিজের বাড়ির কাজ দেখতে স্বামী বাবুলকে নিয়ে শানবান্ধা আসেন। রাতে নির্মানাধীন ঐ বাড়ির একটি কক্ষে তারা থাকেন। এসময় তাদের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। রোকসানা ঘুমিয়ে পড়লে বাবুল তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে তার মরদেহ বাড়ির মেঝেতে পুতে রেখে আত্মগোপনে চলে যান।আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধারপুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান জানান, ঐ বাড়ি থেকে মরদেহের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ ঘরের মেঝে খুঁড়ে রোকসানার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মানিকগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ জানান, বুধবার অজ্ঞাত পরিচয়ের মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। পরে রোকসানার বড় ভাই ফজল মিয়া মর্গে তার বোনের মরদেহ শনাক্ত করেন। ঐ দিনই তিনি সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় খুলনা থেকে বাবুলকে গ্রেফতার করা হয়। আসামীকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
২০ অক্টোবর ২০২৩ ০১:৩২ পিএম
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার ৬ দিন পর ঘাতক স্বামী বাবুল মিয়াকে (৩৮) গ্রেফতারর করেছে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। ১৯ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বাবুলকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে খুলনা জেলার কোতয়ালী থানার হাদিস পার্কের সামনে থেকে বাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার বাবুল মিয়া মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামের শেখ কাশেমের ছেলে।পুলিশ জানায়, প্রায় ৩ বছর আগে জেলার সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের চর নয়াবাড়ি গ্রামের মৃত ছইজুদ্দিনের মেয়ে রোকসানার সাথে (৩৮) বাবুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর রোকসানা সৌদি আরবে পাড়ি জমায়। সেখান থেকে তার আয়ের টাকায় স্বামীকে দিয়ে সদর উপজেলার পশ্চিম শানবান্ধা গ্রামে জমি কিনে একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। গত ৬ অক্টোবর রোকসানা দেশে আসেন এবং ঢাকার সাভারে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। গত ১৩ অক্টোবর বিকেলে নিজের বাড়ির কাজ দেখতে স্বামী বাবুলকে নিয়ে শানবান্ধা আসেন। রাতে নির্মানাধীন ঐ বাড়ির একটি কক্ষে তারা থাকেন। এসময় তাদের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। রোকসানা ঘুমিয়ে পড়লে বাবুল তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে তার মরদেহ বাড়ির মেঝেতে পুতে রেখে আত্মগোপনে চলে যান।আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধারপুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান জানান, ঐ বাড়ি থেকে মরদেহের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ ঘরের মেঝে খুঁড়ে রোকসানার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মানিকগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ জানান, বুধবার অজ্ঞাত পরিচয়ের মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। পরে রোকসানার বড় ভাই ফজল মিয়া মর্গে তার বোনের মরদেহ শনাক্ত করেন। ঐ দিনই তিনি সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় খুলনা থেকে বাবুলকে গ্রেফতার করা হয়। আসামীকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
২০ অক্টোবর ২০২৩ ০১:৩২ পিএম