রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: টানা বর্ষণের কারণে সৃষ্ট বন্যায় অনেকদিন ডুবে ছিলো চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার অধিকাংশ সড়ক। বন্ধ ছিলো যান চলাচল। এখন সড়কগুলো থেকে পানি নেমে গেছে। পানি নামার পর বেরিয়ে আসছে সড়কের ভাঙাচোরা ও ক্ষত-বিক্ষত চেহারা। যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কগুলো। ফলে বন্যার টানা দুর্ভোগের পর প্লাবন কবলিত এই এলাকার সাধারণ মানুষের ভোগান্তি এখন চরমে পৌঁছেছে।জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ভারী বৃষ্টি ও পানিতে তলিয়ে গ্রামীণ পর্যায়ের আভ্যন্তরীণ ৮০টি সড়কের প্রায় ১১৭ কিলোমিটার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রাথমিকভাবে ক্ষতি ধরা হয়েছে প্রায় ১৩২ কোটি টাকা।উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল কবলিত হয়ে পড়ে। বেতাগী,পদুয়া, শিলক, চন্দ্রঘোনা-কদমতলী, পারুয়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক হাঁটুপানি থেকে বুক সমান পানিতে তলিয়ে যায়। এখন সড়ক থেকে পানি নেমে গেছে। পানি নেমে যাওয়ায় বিভিন্ন সড়কের ভাঙাচোরা, ক্ষতবিক্ষত চেহারা এখন ভেসে উঠেছে। অনেক সড়কের পাকা পিচ উঠে গিয়ে লাল ইটের খোয়া বেরিয়ে গেছে। কোনো স্থানের পিচ, খোয়াসহ মাটি ভেসে গেছে। কোনো কোনো স্থানে ছোটবড় অনেক গর্ত তৈরি হয়েছে। কোথাও রাস্তার পাশ ভেঙে পড়েছে।ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর মধ্যে আছে, লালানগর ইউপি-রাজারহাট সড়ক, দোভাষীবাজার-নিচিন্তাপুর সড়ক, শিলক ইউপি- বুহ্যচক্র হাট সড়ক, কাটাখালি-চন্দ্রঘোনা ইউপি সড়ক, লালানগর ইউপি অফিস-হোছনাবাদ সড়ক, পোমরা ইউপি- মালিরহাট সড়ক, আবদুল হামিদ সড়ক- ত্রিপুরা সুন্দরী, ক্ষেত্রবাজার- পশ্চিম সরফভাটা কালুরঘাট চরনদ্বীপ সড়ক, মজুমদারখীল সড়ক, নজরুর পাড়া সড়ক, সাতগড়িয়া পাড়া সড়ক, চন্দ্রঘোনা সেবা খোলা সড়ক, সৈয়দ আহমদ ক্লার্ক সড়ক, খাঁ মসজিদ সড়ক, কোদালা সন্দীপ পাড়া দক্ষিণ ধোপাঘাট সড়ক, সৈয়দ হোসাইন তালুকদার সড়ক, আবদুল ওয়াহেদ তালুকদার সড়ক, নজু মিয়া তালুকদার সড়ক, গোলা বাড়ি সড়ক, আশরাফ আলী সড়ক, সরফভাটা আশ্রয়ণ প্রকল্প সড়ক, কালু শাহ সড়ক, বেতাগী রামগতির হাট-গোচরা সড়ক, মহাজন বাড়ি সড়ক, মির্জাখীল তিন সৌদিয়া সড়ক, রাজীব আলী সড়ক, দোভাষী বাজার-কোদালা ফরেস্ট বিট সড়ক, আরএইচডি থানা পরিষদ সড়ক, আবদুল গনি চৌধুরী সড়ক, রাজাপাড়া-নাথ পাড়া সড়ক, পশ্চিম শিলক বৌদ্ধ বিহার হিমাংশু ডাক্তার বাড়ি সড়ক, দুধু মিয়া সড়ক, শিলক মিনা গাজীর টিলা কাজী পাড়া সড়ক, তৈলাভাঙ্গা সড়ক, মিনাগাজীর টিলা দক্ষিণ পাড়া সড়ক, কাটাখালি-কর্ণফুলী নদী ঘাট সড়ক, গুনগুনীয়া বেতাগী সড়ক, কোদালা চা- বাগান সড়ক, পশ্চিম কদমতলী সড়ক, মধ্যম কদমতলী সড়ক, কদমতলী-কর্ণফুলী নদী ঘাট সড়ক, পোমরা আশ্রয়ণ প্রকল্প সড়ক, কোকানিয়া সড়ক, শাহেদ আলী সড়ক, কাটাখালি বাজার পারুয়া ইউপি সড়ক, সাহাব্দী নগর সড়ক, উত্তর পারুয়া সড়ক, কর্মকার পাড়া সড়ক, শান্তি নিকেতন সড়ক, হাফেজ আরিফ আলী সড়ক, জান মোহাম্মদ পাড়া সড়ক, সাহা পাড়া সড়ক, মরিয়মনগর আমির কুলাল পাড়া সড়ক, কাজী বাড়ি সড়ক, মুন্সী পাড়া সড়ক, বনগ্রাম কলাবাইজ্যাঘোনা সড়ক, কালিন্দীরানী সড়ক, পদুয়া-শিলক সড়ক, জয়নগর সড়ক, নারিশ্চা- বড়খোলা পাড়া সড়ক, পশ্চিম খুরুশিয়া কালী পাহাড় সড়ক, নারিশ্চা পশ্চিম পাড়া সড়ক, মোবারক টিলা সড়ক, বনগ্রাম-সাব স্টেশন সড়ক, হারুয়াল সড়ক, পূর্ব খুরুশিয়া সড়ক, পেকুয়া সড়ক, এরশাদ নগর সড়ক, বেতাগী নন্দীপাড়া সড়ক, খুরুশিয়া আবদুল হামিদ সড়ক, রাণীরহাট-কাউখালি সড়ক, জঙ্গল বগাবিলী সড়ক, শিয়ালবুক্কা সড়ক, হালিমপুর হানিফ শাহ সড়ক, সোনাগাঁও হাইস্কুল সড়ক, নজির আহমদ সড়ক, হাজী পাড়া সুবেদার বাড়ি সড়ক, আবদুল আলী সড়ক, আবদুল লতিফ কবিরাজ সড়ক ও নেজাম শাহ পাড়া সড়ক। বেতাগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিউল আলম বলেন, ইউনিয়নের চারটি সড়ক বিধ্বস্ত হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়কগুলো মেরামত করলে মানুষের দুর্ভোগ কমবে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মো. দিদারুল আলম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ৮০ সড়কের মধ্যে ৭টিতে কার্পেটিং রয়েছে। সড়কগুলো পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়নি। তবে মানুষের চলাচলে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। বিধ্বস্ত সড়কের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। নতুন সড়ক নির্মাণ কিংবা মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি পাঠাবো।
২১ আগস্ট ২০২৩ ০৮:১১ এএম
রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: টানা বর্ষণের কারণে সৃষ্ট বন্যায় অনেকদিন ডুবে ছিলো চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার অধিকাংশ সড়ক। বন্ধ ছিলো যান চলাচল। এখন সড়কগুলো থেকে পানি নেমে গেছে। পানি নামার পর বেরিয়ে আসছে সড়কের ভাঙাচোরা ও ক্ষত-বিক্ষত চেহারা। যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কগুলো। ফলে বন্যার টানা দুর্ভোগের পর প্লাবন কবলিত এই এলাকার সাধারণ মানুষের ভোগান্তি এখন চরমে পৌঁছেছে।জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ভারী বৃষ্টি ও পানিতে তলিয়ে গ্রামীণ পর্যায়ের আভ্যন্তরীণ ৮০টি সড়কের প্রায় ১১৭ কিলোমিটার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রাথমিকভাবে ক্ষতি ধরা হয়েছে প্রায় ১৩২ কোটি টাকা।উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল কবলিত হয়ে পড়ে। বেতাগী,পদুয়া, শিলক, চন্দ্রঘোনা-কদমতলী, পারুয়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক হাঁটুপানি থেকে বুক সমান পানিতে তলিয়ে যায়। এখন সড়ক থেকে পানি নেমে গেছে। পানি নেমে যাওয়ায় বিভিন্ন সড়কের ভাঙাচোরা, ক্ষতবিক্ষত চেহারা এখন ভেসে উঠেছে। অনেক সড়কের পাকা পিচ উঠে গিয়ে লাল ইটের খোয়া বেরিয়ে গেছে। কোনো স্থানের পিচ, খোয়াসহ মাটি ভেসে গেছে। কোনো কোনো স্থানে ছোটবড় অনেক গর্ত তৈরি হয়েছে। কোথাও রাস্তার পাশ ভেঙে পড়েছে।ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর মধ্যে আছে, লালানগর ইউপি-রাজারহাট সড়ক, দোভাষীবাজার-নিচিন্তাপুর সড়ক, শিলক ইউপি- বুহ্যচক্র হাট সড়ক, কাটাখালি-চন্দ্রঘোনা ইউপি সড়ক, লালানগর ইউপি অফিস-হোছনাবাদ সড়ক, পোমরা ইউপি- মালিরহাট সড়ক, আবদুল হামিদ সড়ক- ত্রিপুরা সুন্দরী, ক্ষেত্রবাজার- পশ্চিম সরফভাটা কালুরঘাট চরনদ্বীপ সড়ক, মজুমদারখীল সড়ক, নজরুর পাড়া সড়ক, সাতগড়িয়া পাড়া সড়ক, চন্দ্রঘোনা সেবা খোলা সড়ক, সৈয়দ আহমদ ক্লার্ক সড়ক, খাঁ মসজিদ সড়ক, কোদালা সন্দীপ পাড়া দক্ষিণ ধোপাঘাট সড়ক, সৈয়দ হোসাইন তালুকদার সড়ক, আবদুল ওয়াহেদ তালুকদার সড়ক, নজু মিয়া তালুকদার সড়ক, গোলা বাড়ি সড়ক, আশরাফ আলী সড়ক, সরফভাটা আশ্রয়ণ প্রকল্প সড়ক, কালু শাহ সড়ক, বেতাগী রামগতির হাট-গোচরা সড়ক, মহাজন বাড়ি সড়ক, মির্জাখীল তিন সৌদিয়া সড়ক, রাজীব আলী সড়ক, দোভাষী বাজার-কোদালা ফরেস্ট বিট সড়ক, আরএইচডি থানা পরিষদ সড়ক, আবদুল গনি চৌধুরী সড়ক, রাজাপাড়া-নাথ পাড়া সড়ক, পশ্চিম শিলক বৌদ্ধ বিহার হিমাংশু ডাক্তার বাড়ি সড়ক, দুধু মিয়া সড়ক, শিলক মিনা গাজীর টিলা কাজী পাড়া সড়ক, তৈলাভাঙ্গা সড়ক, মিনাগাজীর টিলা দক্ষিণ পাড়া সড়ক, কাটাখালি-কর্ণফুলী নদী ঘাট সড়ক, গুনগুনীয়া বেতাগী সড়ক, কোদালা চা- বাগান সড়ক, পশ্চিম কদমতলী সড়ক, মধ্যম কদমতলী সড়ক, কদমতলী-কর্ণফুলী নদী ঘাট সড়ক, পোমরা আশ্রয়ণ প্রকল্প সড়ক, কোকানিয়া সড়ক, শাহেদ আলী সড়ক, কাটাখালি বাজার পারুয়া ইউপি সড়ক, সাহাব্দী নগর সড়ক, উত্তর পারুয়া সড়ক, কর্মকার পাড়া সড়ক, শান্তি নিকেতন সড়ক, হাফেজ আরিফ আলী সড়ক, জান মোহাম্মদ পাড়া সড়ক, সাহা পাড়া সড়ক, মরিয়মনগর আমির কুলাল পাড়া সড়ক, কাজী বাড়ি সড়ক, মুন্সী পাড়া সড়ক, বনগ্রাম কলাবাইজ্যাঘোনা সড়ক, কালিন্দীরানী সড়ক, পদুয়া-শিলক সড়ক, জয়নগর সড়ক, নারিশ্চা- বড়খোলা পাড়া সড়ক, পশ্চিম খুরুশিয়া কালী পাহাড় সড়ক, নারিশ্চা পশ্চিম পাড়া সড়ক, মোবারক টিলা সড়ক, বনগ্রাম-সাব স্টেশন সড়ক, হারুয়াল সড়ক, পূর্ব খুরুশিয়া সড়ক, পেকুয়া সড়ক, এরশাদ নগর সড়ক, বেতাগী নন্দীপাড়া সড়ক, খুরুশিয়া আবদুল হামিদ সড়ক, রাণীরহাট-কাউখালি সড়ক, জঙ্গল বগাবিলী সড়ক, শিয়ালবুক্কা সড়ক, হালিমপুর হানিফ শাহ সড়ক, সোনাগাঁও হাইস্কুল সড়ক, নজির আহমদ সড়ক, হাজী পাড়া সুবেদার বাড়ি সড়ক, আবদুল আলী সড়ক, আবদুল লতিফ কবিরাজ সড়ক ও নেজাম শাহ পাড়া সড়ক। বেতাগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিউল আলম বলেন, ইউনিয়নের চারটি সড়ক বিধ্বস্ত হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়কগুলো মেরামত করলে মানুষের দুর্ভোগ কমবে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মো. দিদারুল আলম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ৮০ সড়কের মধ্যে ৭টিতে কার্পেটিং রয়েছে। সড়কগুলো পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়নি। তবে মানুষের চলাচলে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। বিধ্বস্ত সড়কের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। নতুন সড়ক নির্মাণ কিংবা মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি পাঠাবো।
২১ আগস্ট ২০২৩ ০৮:১১ এএম
শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কে সংস্কার কাজের জন্য দুই মাস ধরে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)।১৫ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় শরীয়তপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূঁইয়া রেদওয়ানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সদর উপজেলার বুড়িরহাট বাজারের একটি অংশ ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা সদরের একটি অংশ সংস্কারের জন্য ১৫ আগস্ট থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত সড়কটি দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে হালকা যানবাহন ও যাত্রীবাহী বাস বিকল্প রুট হিসেবে বুড়িরহাট-ডামুড্যা ও ডামুড্যা-নারায়ণপুর সড়ক ব্যবহার করে চলাচল করতে পারবে।শরীয়তপুর সওজ সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর-শরীয়তপুর আঞ্চলিক সড়কটির দৈর্ঘ্য ৩৫ কিলোমিটার। সড়কটিতে এক হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে চারলেনের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সড়কটির বিভিন্ন স্থান সোজাকরণ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাজারের পাশ দিয়ে সড়কটি সরিয়ে নেওয়া হবে। চারলেন প্রকল্পের বাইরে থাকায় সড়কের সদর উপজেলার বুড়িহাট বাজারের ৩০০ মিটার অংশ ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা সদরের ৭০০ মিটার অংশ সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওই দুটি স্থানে এক কিলোমিটার সড়ক আরসিসি দিয়ে নির্মাণ করা হবে। ওই অংশের নির্মাণ কাজ চলার সময় কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারবে না।চাঁদপুর-শরীয়তপুর আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার বিভিন্ন যানবাহন চট্টগ্রাম অঞ্চলে চলাচল করে। বুড়িরহাট থেকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা সদর পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়ক বন্ধ থাকবে। হালকা যানবাহন চালকদের ডামুড্যা উপজেলা সড়ক ব্যবহার করে ভেদরগঞ্জের নারায়ণপুর এলাকায় চাঁদপুর-শরীয়তপুর সড়কে উঠতে হবে। ওই সড়কটির দৈর্ঘ্য অন্তত ১৪ কিলোমিটার। আর পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে ২ মাস। ট্রাকগুলো এ সময় পদ্মাসেতু হয়ে চলাচল করবে।শরীয়তপুর সওজের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শরীফুল ইসলাম বলেন, বুড়িরহাট বাজার ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার এক কিলোমিটার সড়কে বৃষ্টির পানি জমে নষ্ট হয়ে গেছে। তাই সেখানে সড়ক উঁচু করে আরসিসি ঢালাই দিয়ে সাড়ে ৫ মিটার প্রশস্ত করে সংস্কার করা হবে। দুই-এক দিনের মধ্যে নষ্ট হয়ে যাওয়া অংশটিতে ঢালাইয়ের কাজ শুরু করবে। পরে চলাচলের উপযোগী হলে সড়কটি দিয়ে সব ধরনের গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এ কারণে আপাতত এই সময়ে সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।শরীয়তপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূঁইয়া রেদওয়ানুর রহমান জানান, চাঁদপুর-শরীয়তপুর সড়কের দুটি স্থানে সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে। ওই অংশটি চলমান চারলেন প্রকল্পের বাইরে থাকায় আলাদাভাবে আরসিসি ঢালাই দিয়ে সংস্কার করা হচ্ছে। এ কারণে সেখানে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হালকা যানবাহন চালকরা বিকল্প একটি এলজিইডির সড়ক ব্যবহার করতে পারবেন। আর ট্রাক চালকদের এ পথ পরিহার করে পদ্মাসেতু দিয়ে চলাচল করতে হবে।এ বিষয়ে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহাম্মেদ বলেন, সড়কের দুটি অংশে সংস্কার কাজ করার সময় সেখানে যানবাহন চলাচলের পরিস্থিতি থাকবে না। তাই বাধ্য হয়ে দুই মাস ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সময়ে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো পদ্মাসেতু হয়ে চলাচল করতে পারবে। সড়কটি সংস্কারের স্বার্থে এটুকু দুর্ভোগ সবাইকেই মেনে নিতে হবে।
১৬ আগস্ট ২০২৩ ০৫:১৮ এএম