নাটোরে গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ: স্বামী গ্রেফতার
পাবনা প্রতিনিধি: যৌতুকের জন্য নির্যাতনে নাটোরের লালপুরে এক গৃহবধুর মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। ২১ অক্টোবর শনিবার দিবাগত রাতে নাটোরের লালপুর উপজেলার বৈদনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধুর নাম সুরমা আক্তার (১৯)। সে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বাইপাস স্টেশনের অদুরে ডহরশৈলা গ্রামের সুজন আলীর মেয়ে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে নিহতের পরিবার।মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, চলতি বছড় ২২ মার্চ পারিবারিকভাবে সুরমার বিয়ে হয় লালপুরের আসিল আলীর সাথে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য সুরমার উপর চাপ দিচ্ছিলো আসিফ। এসময় সুরমার পরিবারের কাছে একটি মোটরসাইকেল বাবদ ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দাবি করছিলো সে। সে দাবি পুরন না হওয়ায় সুরমাকে প্রায়ই নির্যাতন করেতো আসিফ। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার দিবাগত রাতে সুরমাকে মারপিটের এক পর্যায়ে গলাটিপে হত্যা করে সে। পরে মৃত্যুর ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে একে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে আসিফ। খুনের পর ঘটনার দিন ভোর ৪ টা ৩০ মিনিটে ঘাতক আসিফ ফোন করে সুরমার মা আখি বেগমের মোবাইলে। এসময় সে বলে- ‘আপনাদের মেয়ে অসুস্থ্য, আপনারা আসেন’। পরে সুরমার পরিবার আসিফের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় সুরমার মরদেহ বারান্দায় শুইয়ে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে গ্রেফতার করে আসিফকে। এসময় সুরমার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। এদিকে সুরমাকে হত্যার অভিযোগে করা মামলা তুলে নিতে তার পরিবারের উপর চাপ প্রয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে।সুরমার বাবা সুজন আলী বলেন, আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। আমি আপোষ চাই না, আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই। আমাকে আসিফের পরিবার হুমকি দিচ্ছে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।ফোন করা হয় অভিযুক্ত আসিফের বাবা মো. হাসেম মন্ডলকে। তিনি বলেন, আমার ছেলে ও ছেলে বৌয়ের মধ্যে সাংসারিক বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিলো। সুরমা আত্মহত্যা করেছে বলে জেনেছি, তাকে হত্যা করা হয়েছে কি না তা আমি বলতে পারবো না।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লালপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. তাইবুর রহমান বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে নিহতের পরিবারের পক্ষে। মামলা এখনও তদন্তের পর্যায়ে আছে। আসামি আসিফকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।