প্রকাশ : ২২ মে ২০২৪ ০৬:২৯ এএম
ডোমারে বেবি তরমুজ চাষ করে স্বাবলম্বী সামিউন বেগম
নীলফামারী প্রতিনিধি: পরিবেশবান্ধব মালচিং পেপার ব্যবহার করে বেবি তরমুজ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন সামিউন বেগমের পরিবার।
নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার জাল্লির মোড় এলাকার এবাদ আলী ও তার স্ত্রী সামিউন বেগম ১৬ শতক জমিতে রঙ্গিলা, সুগার কিং ও জেব্রা কিং জাতের বেবি তরমুজ চাষ করেছেন।
সামিউন বেগম ও তার স্বামী এবাদ আলী সমন্বিত কৃষি ইউনিট কৃষিখাতের আওতায় পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) এর অর্থায়নে এবং সেলফ-হেল্প অ্যান্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম (শার্প) এর সার্বিক সহযোগিতায় মাচা পদ্ধতিতে বেবি তরমুজ চাষ শুরু করেন। খরচ হয় ১৭ হাজার টাকা। আর এ ক্ষেতের তরমুজ ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রয় হবে বলে জানান সামিউন বেগম।
সামিউন বেগম বলেন, ‘শার্প এর সহযোগিতায় এবং পরামর্শে আমি বেবি তরমুজ চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি। প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রতিকূলতায় এ জাতের তরমুজের কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা না থাকায় সাফল হয়েছি।’
সেলফ-হেল্প অ্যান্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম (শার্প) এর কৃষি কর্মকর্তা মেহবুব-উল সহিদ বলেন, ‘সরকারি কৃষি অফিসের পাশাপাশি পিকেএসএফে অর্থায়নে এবং শার্প এর সার্বিক সহযোগিতায় আমরা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ডোমার উপজেলার কৃষকদের উচ্চমূল্যের ফসল হিসেবে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করি। মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করায় ফলন হবে বিষমুক্ত। আশা করছি, মালচিং পদ্ধতিতে মাচায় তরমুজ চাষ এ এলাকায় আরও সম্প্রসারিত হবে।’
ডোমার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই অঞ্চলে এই প্রথমবারের মতো বেবি তরমুজ চাষ হয়েছে। আমরা কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষের জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকি। উপজেলা কৃষি আফিসের পাশাপাশি বেশ কিছু এনজিও কাজ করে আসছে। বিশেষ করে শার্প কৃষকদের মাঝে উচ্চ ফলনশীল বীজ দিচ্ছে। পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে কৃষকদের বেবি তরমুজ চাষে শার্প ভূমিকা রাখছে। এই পরিবারকে দেখে আশেপাশের অনেকেই এই তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছে।’
...
প্রকাশ : ১ বছর আগে
আপডেট : ১ বছর আগে
ডোমারে বেবি তরমুজ চাষ করে স্বাবলম্বী সামিউন বেগম