নীলফামারী প্রতিনিধি: পরিবেশবান্ধব মালচিং পেপার ব্যবহার করে বেবি তরমুজ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন সামিউন বেগমের পরিবার।নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার জাল্লির মোড় এলাকার এবাদ আলী ও তার স্ত্রী সামিউন বেগম ১৬ শতক জমিতে রঙ্গিলা, সুগার কিং ও জেব্রা কিং জাতের বেবি তরমুজ চাষ করেছেন।সামিউন বেগম ও তার স্বামী এবাদ আলী সমন্বিত কৃষি ইউনিট কৃষিখাতের আওতায় পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) এর অর্থায়নে এবং সেলফ-হেল্প অ্যান্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম (শার্প) এর সার্বিক সহযোগিতায় মাচা পদ্ধতিতে বেবি তরমুজ চাষ শুরু করেন। খরচ হয় ১৭ হাজার টাকা। আর এ ক্ষেতের তরমুজ ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রয় হবে বলে জানান সামিউন বেগম।সামিউন বেগম বলেন, ‘শার্প এর সহযোগিতায় এবং পরামর্শে আমি বেবি তরমুজ চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি। প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রতিকূলতায় এ জাতের তরমুজের কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা না থাকায় সাফল হয়েছি।’সেলফ-হেল্প অ্যান্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম (শার্প) এর কৃষি কর্মকর্তা মেহবুব-উল সহিদ বলেন, ‘সরকারি কৃষি অফিসের পাশাপাশি পিকেএসএফে অর্থায়নে এবং শার্প এর সার্বিক সহযোগিতায় আমরা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ডোমার উপজেলার কৃষকদের উচ্চমূল্যের ফসল হিসেবে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করি। মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করায় ফলন হবে বিষমুক্ত। আশা করছি, মালচিং পদ্ধতিতে মাচায় তরমুজ চাষ এ এলাকায় আরও সম্প্রসারিত হবে।’ডোমার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই অঞ্চলে এই প্রথমবারের মতো বেবি তরমুজ চাষ হয়েছে। আমরা কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষের জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকি। উপজেলা কৃষি আফিসের পাশাপাশি বেশ কিছু এনজিও কাজ করে আসছে। বিশেষ করে শার্প কৃষকদের মাঝে উচ্চ ফলনশীল বীজ দিচ্ছে। পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে কৃষকদের বেবি তরমুজ চাষে শার্প ভূমিকা রাখছে। এই পরিবারকে দেখে আশেপাশের অনেকেই এই তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছে।’
২২ মে ২০২৪ ০৬:২৯ এএম
নীলফামারী প্রতিনিধি: পরিবেশবান্ধব মালচিং পেপার ব্যবহার করে বেবি তরমুজ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন সামিউন বেগমের পরিবার।নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার জাল্লির মোড় এলাকার এবাদ আলী ও তার স্ত্রী সামিউন বেগম ১৬ শতক জমিতে রঙ্গিলা, সুগার কিং ও জেব্রা কিং জাতের বেবি তরমুজ চাষ করেছেন।সামিউন বেগম ও তার স্বামী এবাদ আলী সমন্বিত কৃষি ইউনিট কৃষিখাতের আওতায় পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) এর অর্থায়নে এবং সেলফ-হেল্প অ্যান্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম (শার্প) এর সার্বিক সহযোগিতায় মাচা পদ্ধতিতে বেবি তরমুজ চাষ শুরু করেন। খরচ হয় ১৭ হাজার টাকা। আর এ ক্ষেতের তরমুজ ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রয় হবে বলে জানান সামিউন বেগম।সামিউন বেগম বলেন, ‘শার্প এর সহযোগিতায় এবং পরামর্শে আমি বেবি তরমুজ চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি। প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রতিকূলতায় এ জাতের তরমুজের কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা না থাকায় সাফল হয়েছি।’সেলফ-হেল্প অ্যান্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম (শার্প) এর কৃষি কর্মকর্তা মেহবুব-উল সহিদ বলেন, ‘সরকারি কৃষি অফিসের পাশাপাশি পিকেএসএফে অর্থায়নে এবং শার্প এর সার্বিক সহযোগিতায় আমরা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ডোমার উপজেলার কৃষকদের উচ্চমূল্যের ফসল হিসেবে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করি। মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করায় ফলন হবে বিষমুক্ত। আশা করছি, মালচিং পদ্ধতিতে মাচায় তরমুজ চাষ এ এলাকায় আরও সম্প্রসারিত হবে।’ডোমার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই অঞ্চলে এই প্রথমবারের মতো বেবি তরমুজ চাষ হয়েছে। আমরা কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষের জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকি। উপজেলা কৃষি আফিসের পাশাপাশি বেশ কিছু এনজিও কাজ করে আসছে। বিশেষ করে শার্প কৃষকদের মাঝে উচ্চ ফলনশীল বীজ দিচ্ছে। পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে কৃষকদের বেবি তরমুজ চাষে শার্প ভূমিকা রাখছে। এই পরিবারকে দেখে আশেপাশের অনেকেই এই তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছে।’
২২ মে ২০২৪ ০৬:২৯ এএম
পাবনা প্রতিনিধি: মাচায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে স্বাবলম্বী কৃষকেরা। পাবনা সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নের পূর্ব মল্লিকপাড়ায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।জানা যায়, পল্লী-কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সহযোগিতায় সমন্বিত কৃষি ইউনিট কৃষি খাতের আওতায় প্রোগ্রামস ফর পিপলস ডেভেলপমেন্ট (পিপিডি) কর্তৃক বাস্তবায়িত বেড়া শাখার আওতায় কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। গেল বছর সাঁথিয়ার করমজা গ্রামের কৃষক আবুল খায়ের নতুন জাতের এই তরমুজ ছয় একর জমিতে চাষ করেন। এতে মোটামুটি লাভবান হওয়া এ বছর মোট ১২ জন কৃষক উদ্বুদ্ধ হয়ে এক হেক্টর জমিতে চাষ করছেন এই নতুন জাতের তরমুজ।প্রতিটি তরমুজের ওজন গড়ে ২-৩ কেজি হয়। সাইজে ছোট হওয়ায় সকলের ক্রয় ক্ষমতার নাগালে থাকে। এই তরমুজ খেতে অনেক সুস্বাদু পুষ্টিকর। এই তরমুজ চাষে ব্যবহৃত হচ্ছে মালচিং পেপার। এই পেপারে ফসল চাষ করলে মাটির আর্দ্রতা ঠিকঠাক থাকে, জমিতে আগাছার পরিমাণ হয় না বললেই চলে এবং রোগবালাইও তুলনামূলক কম হয়।কৃষকরা বলেন, আশা করছি, এই তরমুজ বিক্রি করে অনেক টাকা আয় করতে পারব। চাষাবাদের এই নতুন পদ্ধতি দেখে কৃষকরা অনেক আনন্দিত। আগামীতে এই প্রযুক্তিতে তরমুজ চাষ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে বলে কৃষকরা মনে করছেন।কৃষক আবুল খায়ের বলেন, গেল বছর প্রথমে আমি ৬ একর জমিতে এই পদ্ধতিতে মাচায় তরমুজ চাষ করি। এতে মোটামুটি ভালো লাভ হয়। এবার আমি দুই বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আমার দেখাদেখি এবার অনেক কৃষক মাচায় তরমুজ চাষ করেছেন। একবার বেড তৈরি করলে তিনবার ফসল ফলানো যায় এতে খরচও কম হয়। এবছরও ভালো লাভ হবে বলে আশ করছি।পিপিডির কৃষি কর্মকর্তা অনুপ কুমার ঘোষ বলেন, মল্লিকপাড়ায় মালচিং পদ্ধতির মাধ্যমে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ ২০২৩ সালে মাত্র ২ জন কৃষকের মাধ্যমে ২০ শতক জমিতে প্লট আকারে শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে তা বেড়ে ১২ জন কৃষকের মাঝে প্রায় ১ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে এবং চাষিদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণও প্রদান করা হয়েছে। সর্বোপরি পিকেএসএফকে সাধুবাদ জানাচ্ছি আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য।সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জিত কুমার জানান, মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে কৃষকদের ব্যাপক আগ্রহ বাড়ছে। পিপিডির সাথে আমরাও কৃষকদের নিয়ে আমরা একাধিকবার উঠান বৈঠক করেছি। করমজা গ্রামের প্রতিটি তরমুজ চাষিদের উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিষমুক্ত চাষাবাদ করার পরামর্শের পাশাপাশি সকল পরামর্শ দিয়ে আসছি।
২৪ এপ্রিল ২০২৪ ০১:৫১ পিএম