অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালেন সাবেক মেয়র মনজুর আলম
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম ফিরিঙ্গীবাজার টেকপাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৮৪ পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম।
১৬ এপ্রিল বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের সমবেদনা জানান তিনি।
এসময় তাদের ঘর নির্মাণের জন্য ২০ হাজার ইট, ৫০ বস্তা সিমেন্ট, অগ্নিকাণ্ডে আহতকে নগদ ১০ হাজার টাকা এবং ক্ষতিগ্রস্ত ৮৪ পরিবারের প্রত্যেককে চাউল, লুঙ্গি, শাড়ী ও শার্ট উপহার প্রদান করেন সাবেক এই মেয়র।
ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে ৩৩নং ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, ৩৪নং পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর লুৎফুন্নেছা দোভাষ বেবী, সাবেক অধ্যক্ষ বাদশা আলম, সমাজসেবক ফরিদুল আলম মুরাদসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম ফিরিঙ্গীবাজার টেকপাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৮৪ পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম।১৬ এপ্রিল বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের সমবেদনা জানান তিনি।এসময় তাদের ঘর নির্মাণের জন্য ২০ হাজার ইট, ৫০ বস্তা সিমেন্ট, অগ্নিকাণ্ডে আহতকে নগদ ১০ হাজার টাকা এবং ক্ষতিগ্রস্ত ৮৪ পরিবারের প্রত্যেককে চাউল, লুঙ্গি, শাড়ী ও শার্ট উপহার প্রদান করেন সাবেক এই মেয়র।ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে ৩৩নং ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, ৩৪নং পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর লুৎফুন্নেছা দোভাষ বেবী, সাবেক অধ্যক্ষ বাদশা আলম, সমাজসেবক ফরিদুল আলম মুরাদসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি প্রতিনিধি: রাঙামাটি জেলার বাঘাছড়িতে অস্ত্রসহ প্রসিতপন্থী ইউপিডিএফের পাঁচ সন্ত্রাসীকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।২৯ জানুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় বাঘাইছড়ির অচলচুগ বনবিহার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়। বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন বাঘাইছড়ি সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আউয়াল। তিনি জানান, যৌথ অভিযানের মাধ্যমে ইউপিডিএফের এই চাঁদাবাজদের আটক করা হয়েছে।বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ ইসতিয়াক আহাম্মেদ জানান, সেনাবাহিনীর সহায়তা নিয়ে আমরা যৌথ অভিযান পরিচালনা করে বাঘাইছড়ির মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের অচলচুগ বনবিহার এলাকা থেকে ৫ জনকে আটক করি।অস্ত্রসহ আটক ৫ সন্ত্রাসী হলো, বিপ্লব চাকমা (৩৩), মিঠন চাকমা (২৮), রিটন চাকমা (৩৩), রত্ন চাকমা (২৩) ও পদ্মা রঞ্জন চাকমা (৪২)।এ সময় আটকদের কাছ থেকে ১টি এলজি, ২টি কার্তুজ, ২টি মোটরসাইকেলসহ আমেরিকান ডলার, ভারতীয় রুপী ও চাঁদা আদায়ের রশিদ পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন ওসি।নিরাপত্তাবাহিনী সূত্র জানিয়েছে, আটকরা সকলেই প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চুক্তি বিরোধী আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফের সক্রিয় সদস্য। সাম্প্রতিক সময়ে এই সংগঠনের সশস্ত্র শাখার সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের পাশাপাশি স্থানীয় পাহাড়ি বাসিন্দাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে চাঁদাবাজি ও সশস্ত্র তৎপরতা বৃদ্ধি করায় স্থানীয় পাহাড়ি অধিবাসীরা ব্যাপক হয়রানি-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে এমন তথ্য পেয়েই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সোমবার সন্ধ্যায় উপরোক্ত ৫ সন্ত্রাসীকে অস্ত্রসহ আটক করেছে যৌথবাহিনী।
সরোয়ার আমিন বাবু, চট্টগ্রাম: যান্ত্রিক সভ্যতার মাঝেও হারিয়ে যায়নি মানুষের আবেগ অনুভূতি। আধুনিক যান্ত্রিক জীবনযাপনেও মানুষ এখনো ভালোবাসতে চায় প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি ও অনাবিল সৌন্দর্যকে। ফুলকে ভালবেসে করতে চায় সুন্দরের আরাধনা। ফুলের সৌরভে তাই তো তারা ছুটে এসেছে ফুলের রাজ্যে। মেতে উঠেছে ফুলের মেলা ফ্লাওয়ার ফেস্টিভ্যালে। হাজারও মানুষের আগমনে ও ফুলের সৌরভে পৃথিবী যেন হয়ে উঠেছে কাব্যময়। ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, ম্যাগনলিয়া, শিউলি, হাসনাহেনা, অপরাজিতা, চেরী, জাকারান্ডা, উইলো, উইস্টেরিয়া সহ হাজারো ফুলের সৌরভে সুরভিত হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামে ডিসি পার্কে শুরু হওয়া এই ফ্লাওয়ার ফেস্টিভ্যাল। নানা প্রজাতির দেশী-বিদেশী ১২৭ প্রজাতির কয়েক লক্ষ ফুলের সমারোহে ইতোমধ্যে সেজেছে ডিসি পার্ক। আরও থাকছে নেদারল্যান্ডস হতে আনা বাল্ব হতে জেলা প্রশাসনের নিজেদের ব্যবস্থাপনায় ফুটানো সাড়ে পাঁচ হাজার টিউলিপ। এ সকল ফুলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে প্রত্যেক প্রজাতির ফুলের পাশেই লেখা থাকবে তাদের নাম ও বৃত্তান্ত। ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় ডিসি পার্কের এই ফুলের রাজ্যে ঢল নেমেছে হাজারও দর্শনার্থীর। ফুলের সৌন্দর্য ও সৌরভ যেন টেনে এনেছে শিশু-কিশোর এমনকি বড়দেরও। চট্টগ্রাম জেলা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ডিসি পার্কে এই মাসব্যাপী ফুল উৎসব উদ্বোধন করা হয়। ফুল উৎসব চলবে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। 'ফুলের মতো আপনি ফুটাও গান' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বেলুন উড়িয়ে ও ফিতা কেটে ফুল উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মন্ত্রী পরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। চট্টগ্রাম জেলা জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ফুল উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো: তোফায়েল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ১৯৪ একর জমি মাদকের আখড়া থেকে ফুলের আখড়াতে রূপান্তরকরণে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমিকা প্রশংসনীয়। অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও ফ্লাওয়ার ফেস্টিবলের জমকালো আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী ইশতেহারে পর্যটনকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এই ফুল উৎসবের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা চেতনাকে সামনে নিয়ে যাওয়ার অবারিত সুযোগ রয়েছে। সামনের প্রজন্মের জন্য আমাদেরকেই পরিবেশ ও সুযোগ তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসনের একজন প্রতিনিধি হিসেবে অন্যান্য জেলা প্রশাসকগণকেও এই ধরনের আয়োজন করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, অবৈধ দখল, মাদক অভয়ারণ্যকে ফুলের বাগিচা বানানো হয়েছে। পর্যটনকে কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলে অর্থনৈতিক বিকাশে ভূমিকা রাখার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন তিনি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, এই উদ্যোগ যেন ক্ষণিকের উদ্যোগ না হয় এবং এর ধারাবাহিকতা যাতে বজায় থাকে সেই আহবানে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বাইরে থেকে যারা ডিসি পার্কে আসবে, তাদের জন্য হাউজিং ব্যবস্থা করার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, পরবর্তী প্রজন্মকে সুন্দর ও জঙ্গিবাদকে সমূলে নির্মূল করতে এই ধরনের কালচারাল আয়োজন বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। ভূমিদস্যুদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, সরকারি জায়গা কেউ দখলে রাখতে পারবে না। জায়গা ক্রমান্বয়ে উদ্ধার করে জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করা হবে। অনুষ্ঠানের সভাপতি জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ডিসি পার্ক, নৌকা জাদুঘর, পর্যটন বাস ও ফুল ডে ট্যুর, স্কুল বাস, বার্ড পার্ক; এই ৬টি প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও প্রতি উপজেলায় পার্ক, খেলার মাঠ করার মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। সরকারি জমি উদ্ধার করে এই সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি সকল এমপি ও সচিবকে ধন্যবাদ জানান যারা এসে উক্ত অনুষ্ঠান সাফল্যমন্ডিত ও বৃক্ষরোপণ করেছেন। মাসব্যাপী এ আয়োজনকে আরও আকর্ষণীয় করতে ফুলের প্রদর্শনীর পাশাপাশি কয়েকটি সেল্ফি জোন করা হয়েছে। পর্যটকদের জন্য থাকছে সাম্পান বাইচের আয়োজন। আবহমান বাংলার ঐতিহ্য রক্ষার্থে থাকবে বিভিন্ন সময়ের ১৫টি নৌকা প্রদর্শনী। চট্টগ্রাম জেলার চিত্রশিল্পীদের প্রায় ২০০টি চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর জন্য থাকবে। আগত দর্শনার্থীদের নিজেদের ছবির ক্যারিকেচার আঁকার ব্যবস্থা থাকবে। বিনোদন প্রেমীদের জন্য থাকবে সানসেট ভিউ পয়েন্ট, পিজিওন কর্ণার, স্যুভেনির শপ, দিঘীতে কায়াকিং এর ব্যবস্থা, লোনা পানির ঝর্ণা। আগত দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ট্যুরিস্ট শেড, নামাজের ব্যবস্থা, বিভিন্ন ধরনের খাবারের স্টল সহ পর্যাপ্ত শৌচাগারের ব্যাবস্থা থাকবে। শিশু- কিশোরদের বিনোদনের জন্য নাগরদোলা, দোলনা, সীসঅ, স্প্রিং টয়, মেরিগো রাউন্ড, দোলনা, প্লে পেন, ফুট ট্রাম্পোলাইন সহ থাকবে নানা আয়োজন। পুরো ফুল উৎসবকে জাঁকজমকপূর্ণ করতে আয়োজন করা হবে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতির অংশগ্রহণে মাল্টি কালচারাল বিশেষ আয়োজন, ঘুড়ি উৎসব, ফায়ার ওয়ার্কস, ভায়োলিন শো, পুতুল নাচ, জাদু প্রদর্শনী। এছাড়া প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার শিল্পীদের পরিবেশনায় থাকবে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। প্রসংগত গত বছরের ৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে মাদকের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়ে জেলা প্রশাসন ১৯৪.১৩ একর খাস জায়গা অবৈধ দখলদারদেরকে উচ্ছেদ করে উদ্ধার করে। উদ্ধার করা জায়গায় মাত্র একমাসের মধ্যে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী চট্টগ্রামে প্রথম ফুল উৎসবের আয়োজন করা হয়। সে সময় ১২২ প্রজাতির ফুলের চমকপ্রদ প্রদর্শনীর মাধ্যমে উদযাপন করা হয়েছিলো ফুল উৎসব ২০২৩। দশদিন ব্যাপী এ ফুল উৎসবে প্রতিদিন গড়ে চল্লিশ হাজার পর্যটক ভ্রমন করেন ডিসি পার্ক। মানুষের এমন স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ জেলা প্রশাসনকে অনুপ্রেরণা যোগায়। এমন অনুপ্রেরণা থেকেই প্রতিবছর এ আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজার উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২০ এর দক্ষিণের লাল পাহাড়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা বাহিনীর আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করেছে র্যাব-১৫। এ সময় ২২টি বিভিন্ন প্রকারের অস্ত্র, ৬০টি গুলির তাজা বোলেট, ৪টি মাইন বোম, ৬টি মোবাইল, ৬টি শটগানের কার্তুজ, ৭টি খালি খোসা এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারসহ ৩ আরসা সদস্যকে আটক করা হয়।২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।আটকরা হলেন, আরসা কমান্ডার উসমান, ইমান হোসেন এবং নেচার। তাদের সকলেই মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে।কর্ণেল সাজ্জাদ হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দক্ষিণের লাল পাহাড়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারদ ও মাইন বোম নিয়ে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমাদের র্যাব সদস্যরা সকাল থেকে কৌশলে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের এক পর্যায়ে ৩ আরসা সদস্যকে আটকসহ অস্ত্র, গুলি, মাইন বোম উদ্ধার করা হয়েছে।তিনি আরও জানান, আটকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরণের আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরসা বাহিনীর যে কোন অপরাধমূলক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আবু সালাম চৌধুরীসহ র্যাবের কর্মকর্তাবৃন্দ।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালেন সাবেক মেয়র মনজুর আলম
সংশ্লিষ্ট
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম ফিরিঙ্গীবাজার টেকপাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৮৪ পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম।১৬ এপ্রিল বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের সমবেদনা জানান তিনি।এসময় তাদের ঘর নির্মাণের জন্য ২০ হাজার ইট, ৫০ বস্তা সিমেন্ট, অগ্নিকাণ্ডে আহতকে নগদ ১০ হাজার টাকা এবং ক্ষতিগ্রস্ত ৮৪ পরিবারের প্রত্যেককে চাউল, লুঙ্গি, শাড়ী ও শার্ট উপহার প্রদান করেন সাবেক এই মেয়র।ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে ৩৩নং ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, ৩৪নং পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর লুৎফুন্নেছা দোভাষ বেবী, সাবেক অধ্যক্ষ বাদশা আলম, সমাজসেবক ফরিদুল আলম মুরাদসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি প্রতিনিধি: রাঙামাটি জেলার বাঘাছড়িতে অস্ত্রসহ প্রসিতপন্থী ইউপিডিএফের পাঁচ সন্ত্রাসীকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।২৯ জানুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় বাঘাইছড়ির অচলচুগ বনবিহার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়। বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন বাঘাইছড়ি সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আউয়াল। তিনি জানান, যৌথ অভিযানের মাধ্যমে ইউপিডিএফের এই চাঁদাবাজদের আটক করা হয়েছে।বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ ইসতিয়াক আহাম্মেদ জানান, সেনাবাহিনীর সহায়তা নিয়ে আমরা যৌথ অভিযান পরিচালনা করে বাঘাইছড়ির মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের অচলচুগ বনবিহার এলাকা থেকে ৫ জনকে আটক করি।অস্ত্রসহ আটক ৫ সন্ত্রাসী হলো, বিপ্লব চাকমা (৩৩), মিঠন চাকমা (২৮), রিটন চাকমা (৩৩), রত্ন চাকমা (২৩) ও পদ্মা রঞ্জন চাকমা (৪২)।এ সময় আটকদের কাছ থেকে ১টি এলজি, ২টি কার্তুজ, ২টি মোটরসাইকেলসহ আমেরিকান ডলার, ভারতীয় রুপী ও চাঁদা আদায়ের রশিদ পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন ওসি।নিরাপত্তাবাহিনী সূত্র জানিয়েছে, আটকরা সকলেই প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চুক্তি বিরোধী আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফের সক্রিয় সদস্য। সাম্প্রতিক সময়ে এই সংগঠনের সশস্ত্র শাখার সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের পাশাপাশি স্থানীয় পাহাড়ি বাসিন্দাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে চাঁদাবাজি ও সশস্ত্র তৎপরতা বৃদ্ধি করায় স্থানীয় পাহাড়ি অধিবাসীরা ব্যাপক হয়রানি-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে এমন তথ্য পেয়েই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সোমবার সন্ধ্যায় উপরোক্ত ৫ সন্ত্রাসীকে অস্ত্রসহ আটক করেছে যৌথবাহিনী।
সরোয়ার আমিন বাবু, চট্টগ্রাম: যান্ত্রিক সভ্যতার মাঝেও হারিয়ে যায়নি মানুষের আবেগ অনুভূতি। আধুনিক যান্ত্রিক জীবনযাপনেও মানুষ এখনো ভালোবাসতে চায় প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি ও অনাবিল সৌন্দর্যকে। ফুলকে ভালবেসে করতে চায় সুন্দরের আরাধনা। ফুলের সৌরভে তাই তো তারা ছুটে এসেছে ফুলের রাজ্যে। মেতে উঠেছে ফুলের মেলা ফ্লাওয়ার ফেস্টিভ্যালে। হাজারও মানুষের আগমনে ও ফুলের সৌরভে পৃথিবী যেন হয়ে উঠেছে কাব্যময়। ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, ম্যাগনলিয়া, শিউলি, হাসনাহেনা, অপরাজিতা, চেরী, জাকারান্ডা, উইলো, উইস্টেরিয়া সহ হাজারো ফুলের সৌরভে সুরভিত হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামে ডিসি পার্কে শুরু হওয়া এই ফ্লাওয়ার ফেস্টিভ্যাল। নানা প্রজাতির দেশী-বিদেশী ১২৭ প্রজাতির কয়েক লক্ষ ফুলের সমারোহে ইতোমধ্যে সেজেছে ডিসি পার্ক। আরও থাকছে নেদারল্যান্ডস হতে আনা বাল্ব হতে জেলা প্রশাসনের নিজেদের ব্যবস্থাপনায় ফুটানো সাড়ে পাঁচ হাজার টিউলিপ। এ সকল ফুলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে প্রত্যেক প্রজাতির ফুলের পাশেই লেখা থাকবে তাদের নাম ও বৃত্তান্ত। ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় ডিসি পার্কের এই ফুলের রাজ্যে ঢল নেমেছে হাজারও দর্শনার্থীর। ফুলের সৌন্দর্য ও সৌরভ যেন টেনে এনেছে শিশু-কিশোর এমনকি বড়দেরও। চট্টগ্রাম জেলা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ডিসি পার্কে এই মাসব্যাপী ফুল উৎসব উদ্বোধন করা হয়। ফুল উৎসব চলবে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। 'ফুলের মতো আপনি ফুটাও গান' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বেলুন উড়িয়ে ও ফিতা কেটে ফুল উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মন্ত্রী পরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। চট্টগ্রাম জেলা জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ফুল উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো: তোফায়েল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ১৯৪ একর জমি মাদকের আখড়া থেকে ফুলের আখড়াতে রূপান্তরকরণে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমিকা প্রশংসনীয়। অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও ফ্লাওয়ার ফেস্টিবলের জমকালো আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী ইশতেহারে পর্যটনকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এই ফুল উৎসবের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা চেতনাকে সামনে নিয়ে যাওয়ার অবারিত সুযোগ রয়েছে। সামনের প্রজন্মের জন্য আমাদেরকেই পরিবেশ ও সুযোগ তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসনের একজন প্রতিনিধি হিসেবে অন্যান্য জেলা প্রশাসকগণকেও এই ধরনের আয়োজন করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, অবৈধ দখল, মাদক অভয়ারণ্যকে ফুলের বাগিচা বানানো হয়েছে। পর্যটনকে কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলে অর্থনৈতিক বিকাশে ভূমিকা রাখার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন তিনি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, এই উদ্যোগ যেন ক্ষণিকের উদ্যোগ না হয় এবং এর ধারাবাহিকতা যাতে বজায় থাকে সেই আহবানে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বাইরে থেকে যারা ডিসি পার্কে আসবে, তাদের জন্য হাউজিং ব্যবস্থা করার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, পরবর্তী প্রজন্মকে সুন্দর ও জঙ্গিবাদকে সমূলে নির্মূল করতে এই ধরনের কালচারাল আয়োজন বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। ভূমিদস্যুদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, সরকারি জায়গা কেউ দখলে রাখতে পারবে না। জায়গা ক্রমান্বয়ে উদ্ধার করে জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করা হবে। অনুষ্ঠানের সভাপতি জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ডিসি পার্ক, নৌকা জাদুঘর, পর্যটন বাস ও ফুল ডে ট্যুর, স্কুল বাস, বার্ড পার্ক; এই ৬টি প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও প্রতি উপজেলায় পার্ক, খেলার মাঠ করার মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। সরকারি জমি উদ্ধার করে এই সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি সকল এমপি ও সচিবকে ধন্যবাদ জানান যারা এসে উক্ত অনুষ্ঠান সাফল্যমন্ডিত ও বৃক্ষরোপণ করেছেন। মাসব্যাপী এ আয়োজনকে আরও আকর্ষণীয় করতে ফুলের প্রদর্শনীর পাশাপাশি কয়েকটি সেল্ফি জোন করা হয়েছে। পর্যটকদের জন্য থাকছে সাম্পান বাইচের আয়োজন। আবহমান বাংলার ঐতিহ্য রক্ষার্থে থাকবে বিভিন্ন সময়ের ১৫টি নৌকা প্রদর্শনী। চট্টগ্রাম জেলার চিত্রশিল্পীদের প্রায় ২০০টি চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর জন্য থাকবে। আগত দর্শনার্থীদের নিজেদের ছবির ক্যারিকেচার আঁকার ব্যবস্থা থাকবে। বিনোদন প্রেমীদের জন্য থাকবে সানসেট ভিউ পয়েন্ট, পিজিওন কর্ণার, স্যুভেনির শপ, দিঘীতে কায়াকিং এর ব্যবস্থা, লোনা পানির ঝর্ণা। আগত দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ট্যুরিস্ট শেড, নামাজের ব্যবস্থা, বিভিন্ন ধরনের খাবারের স্টল সহ পর্যাপ্ত শৌচাগারের ব্যাবস্থা থাকবে। শিশু- কিশোরদের বিনোদনের জন্য নাগরদোলা, দোলনা, সীসঅ, স্প্রিং টয়, মেরিগো রাউন্ড, দোলনা, প্লে পেন, ফুট ট্রাম্পোলাইন সহ থাকবে নানা আয়োজন। পুরো ফুল উৎসবকে জাঁকজমকপূর্ণ করতে আয়োজন করা হবে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতির অংশগ্রহণে মাল্টি কালচারাল বিশেষ আয়োজন, ঘুড়ি উৎসব, ফায়ার ওয়ার্কস, ভায়োলিন শো, পুতুল নাচ, জাদু প্রদর্শনী। এছাড়া প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার শিল্পীদের পরিবেশনায় থাকবে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। প্রসংগত গত বছরের ৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে মাদকের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়ে জেলা প্রশাসন ১৯৪.১৩ একর খাস জায়গা অবৈধ দখলদারদেরকে উচ্ছেদ করে উদ্ধার করে। উদ্ধার করা জায়গায় মাত্র একমাসের মধ্যে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী চট্টগ্রামে প্রথম ফুল উৎসবের আয়োজন করা হয়। সে সময় ১২২ প্রজাতির ফুলের চমকপ্রদ প্রদর্শনীর মাধ্যমে উদযাপন করা হয়েছিলো ফুল উৎসব ২০২৩। দশদিন ব্যাপী এ ফুল উৎসবে প্রতিদিন গড়ে চল্লিশ হাজার পর্যটক ভ্রমন করেন ডিসি পার্ক। মানুষের এমন স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ জেলা প্রশাসনকে অনুপ্রেরণা যোগায়। এমন অনুপ্রেরণা থেকেই প্রতিবছর এ আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজার উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২০ এর দক্ষিণের লাল পাহাড়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা বাহিনীর আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করেছে র্যাব-১৫। এ সময় ২২টি বিভিন্ন প্রকারের অস্ত্র, ৬০টি গুলির তাজা বোলেট, ৪টি মাইন বোম, ৬টি মোবাইল, ৬টি শটগানের কার্তুজ, ৭টি খালি খোসা এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারসহ ৩ আরসা সদস্যকে আটক করা হয়।২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।আটকরা হলেন, আরসা কমান্ডার উসমান, ইমান হোসেন এবং নেচার। তাদের সকলেই মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে।কর্ণেল সাজ্জাদ হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দক্ষিণের লাল পাহাড়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারদ ও মাইন বোম নিয়ে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমাদের র্যাব সদস্যরা সকাল থেকে কৌশলে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের এক পর্যায়ে ৩ আরসা সদস্যকে আটকসহ অস্ত্র, গুলি, মাইন বোম উদ্ধার করা হয়েছে।তিনি আরও জানান, আটকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরণের আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরসা বাহিনীর যে কোন অপরাধমূলক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আবু সালাম চৌধুরীসহ র্যাবের কর্মকর্তাবৃন্দ।
মন্তব্য করুন