নাইক্ষ্যংছড়ির ৭ গ্রাম জনশূন্য

নাইক্ষ্যংছড়ির ৭ গ্রাম জনশূন্য

...

প্রকাশ : ১ বছর আগে

আপডেট : ৪ মাস আগে

নাইক্ষ্যংছড়ির ৭ গ্রাম জনশূন্য

নাইক্ষ্যংছড়ির ৭ গ্রাম জনশূন্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াই ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে। তাদের ছোড়া গুলি ও মর্টারশেল সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে এসে পড়ছে। এরইমধ্যে এক বাংলাদেশিসহ দুজন নিহত হয়েছে আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। ফলে আতঙ্কে জনশূন্য হয়ে পড়েছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ঘুমধুম ইউনিয়নের সাতটি গ্রাম।৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার আনোয়ার হোসেন।সীমান্ত এলাকা থেকে সরে আসা মানুষদের জন্য উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সোমবার থেকে এ পর্যন্ত সাতটি পাড়ার ৪০টি পরিবারের শতাধিক লোক আশ্রয় নিয়েছেন এই আশ্রয় কেন্দ্রে।এদিকে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ২৪০ পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি)।জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহ মুজাহিদ উদ্দিন বলেন, বান্দরবান-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান পরিস্থিতির কারণে ছাত্রছাত্রী ও সীমান্তে অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী ২৪০ পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সীমান্তবর্তী স্কুলগুলো বন্ধ ও সবাইকে আতঙ্কিত না হয়ে সজাগ থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বিকেল ৩টায় নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত পয়েন্ট পরির্দশন করে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদে যান তারা। পরে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে জলপাইতলী এলাকা যান তারা। সেখানে মিয়ানমারের ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে নিহত হোসনে আরার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন ডিসি। সেই সঙ্গে প্রশাসনে পক্ষ থেকে হোসনে আরার পরিবারকে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেন। পরির্দশন শেষে সার্বিক অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জেলা প্রশাসক।প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে চলমান সংঘর্ষে গোলাগুলি, মর্টারশেল ও বোমা বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে পুরো সীমান্ত এলাকা। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন, কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন থেকে শুরু করে টেকনাফের হোয়াইক্যং এবং হ্নীলা ইউনিয়ন পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি ও মর্টারশেলের বিকট শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে তুমব্রু সীমান্তে দুজনের মৃত্যুতে আতঙ্ক আরও বেড়েছে।মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের সামনে টিকতে না পেরে রাখাইন রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যরা। সবশেষ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) নতুন করে উখিয়া, টেকনাফ এবং তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বিজিপি সদস্যসহ দেশটির অন্যান্য বাহিনীর ১৪৯ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এ নিয়ে তিনদিনে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন বিজিপির ২৬৪ জন সদস্য।অন্যদিকে সীমান্তে উত্তেজনাকে কাজে লাগিয়ে ওপারের সশস্ত্র গোষ্ঠীর লোকজনও অস্ত্র নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অনুপ্রবেশ করছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার উখিয়ার পালংখালী সাতটি পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় অস্ত্রসহ ২৪ জনকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। অনুপ্রবেশে বাধা দিতে গিয়ে চারজন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের ছোড়া হাতবোমার আঘাতে আহত হয়েছেন।
  • শেয়ার করুন-

সংশ্লিষ্ট

সৈয়দপুরে বিভিন্ন দাবিতে রংপুর বিভাগীয় ইটভাটা মালিক সমিতির সমাবেশ

সৈয়দপুরে বিভিন্ন দাবিতে রংপুর বিভাগীয় ইটভাটা মালিক সমিতির সমাবেশ

ফকিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী নিহত

ফকিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী নিহত

নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

সাংবাদিক রিজুর ওপর হামলার প্রতিবাদে খোকসায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

সাংবাদিক রিজুর ওপর হামলার প্রতিবাদে খোকসায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

মিয়ানমার থেকে ভেসে আসছে গোলাগুলি শব্দ

মিয়ানমার থেকে ভেসে আসছে গোলাগুলি শব্দ

মিয়ানমার থেকে ভেসে আসছে গোলাগুলি শব্দ

মিয়ানমার থেকে ভেসে আসছে গোলাগুলি শব্দ

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি

থাইল্যান্ড সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ শহর মায়াওয়াদ্দির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে মিয়ানমার জান্তা

থাইল্যান্ড সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ শহর মায়াওয়াদ্দির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে মিয়ানমার জান্তা

মন্তব্য করুন