প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৪ ০৯:৫৯ এএম
ভালুকায় পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই, হুমকিতে জনস্বাস্থ্য
ভালুকা (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা: ভালুকা পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ও উন্মুক্ত স্থানে ডাক্তারি পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই করে মাংস বিক্রি করছে স্থানীয় কসাই ও এক শ্রেণির মৌসুমী মাংস বিক্রেতা। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় গরু ছাগল জবাইয়ের পূর্বে ভেটেরিনারী পাবলিক হেলথ সার্ভিস প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে রোগমুক্ত পশু জবাই করার লক্ষ্যে প্রতিটি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ কসাইদের সংগ্রহ করার কথা থাকলেও তারা সেই নির্দেশ মানছে না।
পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১১ এর ধারা ২৭ এর প্রদত্ত ক্ষমতা বলে জবাই করার পূর্বে পরিদর্শন’ অর্থ ভেটেরিনারিয়ান বা ভেটেরিনারি কর্মকর্তা কতৃক জবাইয়ের পূর্বে গবাদিপশু বা পাখিজাতীয় প্রাণী জবাই উপযুক্ত কিনা তা পর্যবেক্ষণ করে সনদ প্রদান করবেন।
সরজমিনে গিয়ে ভালুকা পৌর এলাকার বেশ কয়েকটি মাংসের দোকান পরিদর্শনের সময় মাংস বিক্রয়ে বেশ অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। নিয়ম নীতির তোয়ক্কা না করে জবাই করা এসব রোগাক্রান্ত পশুর মাংস খেয়ে প্রতিনিয়ত হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে এলাকার জনস্বাস্থ্য।
থানার মোড়ে রাজিব নামে এক কসাই একটি বকনা গরু জবাই করার সময় তার কাছে গরুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার ডাক্তারি সনদ দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেননি। একই মোড়ে ফারুক ও সোহাগ মিয়া, ভালুকা মধ্য বাজারে সবুজ মিয়া, হাসপাতাল মোড়ে তারেক কসাই, কোর্ট ভবন এলাকার মনসুর ও কলেজ বাজারের শহীদ একই পদ্ধতি অবলম্বন করে মাংস বিক্রি করছে।
কসাই সবুজ মিয়া জানান, বর্তমানে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। এসব মাংস বিক্রেতাদের সবারই একই কথা, তারা পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই দীর্ঘ দিন যাবৎ পশু জবাই করে মাংস বিক্রি করে আসছেন। এতে তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মতিউর রহমান জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারী হাসপাতালে জনবল সংকট ও ভেটেরিনারী সার্জন না থাকায় নিয়মিত গবাদিপশুর স্বাস্ব্য পরীক্ষা সম্ভব হয় না। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেটেরিনারী পাবলিক হেলথ সার্ভিসের আওতায় একজন ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর আছে যে পশুর স্বাস্থ্য বিষয়ে নিয়মিত কসাইদের পরামর্শ প্রদান করে থাকে।
...
প্রকাশ : ১ বছর আগে
আপডেট : ১ বছর আগে
ভালুকায় পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই, হুমকিতে জনস্বাস্থ্য