মেহেরপুরে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম উর্ধ্বমুখী, দিশেহারা ক্রেতারা

মেহেরপুরে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম উর্ধ্বমুখী, দিশেহারা ক্রেতারা

...

প্রকাশ : ১ বছর আগে

আপডেট : ৪ মাস আগে

মেহেরপুরে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম উর্ধ্বমুখী, দিশেহারা ক্রেতারা

মেহেরপুরে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম উর্ধ্বমুখী, দিশেহারা ক্রেতারা

মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের নিত্যপণ্যের দাম প্রতিনিয়ত লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে। এ সপ্তাহে বেড়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দামও। কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও কয়েক সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী আদা, আলু ও চিনির দাম।গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মেহেরপুরের বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে প্রয়োজনের তুলনায় কম বাজার কিনে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। এখন খুচরা ব্যবসায়ীরাও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার দাম বাড়িয়ে চললেও নেই প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা।মেহেরপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা বাজারগুলোতে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, আদা, রসুন, আলু ও শাক-সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম কমেনি। গত কয়েক সপ্তাহের ধরেই এসব নিত্যপণ্যের দাম চড়া। আলু, টমেটো এবং কাঁচা মরিচের দাম থেমে থেমে বাড়ছে।বাজারে আলুর কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। পেঁয়াজ প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৭০-৯০ টাকা কেজিতে। প্রতি কেজি করলা এখন কেজি ১০০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা কেজি, ঢেঁড়স কেজিতে ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা কেজি ও পেঁপের কেজি ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিচিঙ্গা কেজিতে ৪০ টাকা, কাঁকরোল ৪০ টাকা এবং কচুমুখি কেজিতে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত দুই মাস ধরে ৪০০ টাকার উপরে আদার কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে রসুনের দাম কেজিতে প্রায় ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা কেজি দরে।এদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। সোনালি মুরগির দাম রাখা হচ্ছে প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৫৬০ টাকায়।মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ১ কেজি বা ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ প্রতি কেজি ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট সাইজের জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে। মাঝারি ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে।দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের রুই মাছের দাম প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। রুই মাছ ছোট সাইজের বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, বড় সাইজের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা কেজি দরে। পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, সিলভারকার্প বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। বাজারভেদে গরুর মাংস কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ টাকা কেজি দরে।সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে আসা এক ক্রেতা জানান, বেশিরভাগ পণ্যই অতিরিক্ত দামে কিনতে হচ্ছে। নিত্যপণ্যের দাম শুনে হতাশ হতে হচ্ছে ক্রেতাদের।এদিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে। চাহিদা অনুযায়ী সবজি পাচ্ছেন না তারা।
  • শেয়ার করুন-

সংশ্লিষ্ট

সৈয়দপুরে বিভিন্ন দাবিতে রংপুর বিভাগীয় ইটভাটা মালিক সমিতির সমাবেশ

সৈয়দপুরে বিভিন্ন দাবিতে রংপুর বিভাগীয় ইটভাটা মালিক সমিতির সমাবেশ

ফকিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী নিহত

ফকিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী নিহত

নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

সাংবাদিক রিজুর ওপর হামলার প্রতিবাদে খোকসায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

সাংবাদিক রিজুর ওপর হামলার প্রতিবাদে খোকসায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

বৈশাখী হাওয়া লেগেছে ইলিশ-মুরগির গায়ে

বৈশাখী হাওয়া লেগেছে ইলিশ-মুরগির গায়ে

রমজানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে শিক্ষার্থীরা

রমজানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে শিক্ষার্থীরা

কেরানীগঞ্জে সরকার নির্ধারিত মূল্যে মিলছে না নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য

কেরানীগঞ্জে সরকার নির্ধারিত মূল্যে মিলছে না নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য

লেবুর হালি ১০০ টাকা

লেবুর হালি ১০০ টাকা

রোজার আগেই নিত্যপণ্যের দামে আগুন, খেজুর এখন বিলাসী পণ্য

রোজার আগেই নিত্যপণ্যের দামে আগুন, খেজুর এখন বিলাসী পণ্য

মন্তব্য করুন