প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারী ২০২৪ ১০:৪৬ এএম
যমুনা চরে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে শতাধিক যুবকের কর্মসংস্থান
চৌহালী (সিরাজগঞ্জে) প্রতিবেদক: সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার দুর্গম চরে এক সময় বাহন হিসেবে চলতো শুধু গরুর গাড়ি। তবে গেল কয়েক বছর ধরে এই চরের মানুষের বাহনের অন্যতম ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল।
উপজেলার হাটাইল, হাঁপানিয়া, ছোল, দত্তকান্দি, মুরাদপুর, ফুলহারা ও বোয়ালকান্দি চরের অন্তত শতাধিক যুবক ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছেন।
যমুনা নদী বেষ্টিত চৌহালী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে চারটি ইউনিয়নে আংশিক চর ও দুইটি ইউনিয়নে পুরোটাই চরাঞ্চল। এসব চরে যেতে নৌকায় চড়তে হয়। বর্তমানে যমুনা নদী ছোট হয়ে নৌপথ কমেছে। বেড়েছে পায়ে হাঁটার পথ। এই চরের বালু, কাঁদা আর হাঁটুপানিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল। চরযাত্রা অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে মোটরসাইকেলগুলো। চরের চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলেও তারা এমন সংকীর্ণ পথের দক্ষ চালক। এনজিও কর্মী মো. সাইফ উদ্দিন বলেন, মোটরসাইকেল আমাদের চরাঞ্চলে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা সহজ করে দিয়েছে। ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল থাকায় চরের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত অনেক সুবিধা হয়ছে।
ছোল গ্রামের যুবক মো.আনিছুর রহমান জানান, মোটরসাইকেল চালিয়ে প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা আয় হয় তার। নদীপাড় থেকে গ্রামের দূরত্ব অনুযায়ী একজন আরোহী ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দেন। যারা গ্রামে নিয়মিত আসেন তারা ফোন নম্বর রাখেন। ফোন করলেই তারা নদীপাড়ে চলে যানি এবং আরোহীকে নিয়ে আসেন।
হাঁপানিয়া গ্রামের মো. রিপন মিয়া বলেন, কিছুদিন আগেও এসব চরে ৫, ৬টি মোটরসাইকেল ছিলো। এখন প্রায় শতাধিক মোটরসাইকেল ভাড়ায় চলছে। এ অঞ্চলে যমুনায় মাছ শিকার আর কৃষি কাজ ছাড়া তেমন কোন কর্মসংস্থান নেই। ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে আমাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
...
প্রকাশ : ১ বছর আগে
আপডেট : ১ বছর আগে
যমুনা চরে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে শতাধিক যুবকের কর্মসংস্থান