প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৩ ০১:৪১ পিএম
কমতে শুরু করেছে তিস্তার পানি: ভাঙ্গনে দিশেহারা স্থানীয়রা
লালমনিরহাট প্রতিনিধি: তিস্তা পানি কমে বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। ১৭ জুলাই সোমবার তিস্তা ব্যারেজে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৮২ সেন্টিমিটার। যা স্বাভাবিকের (৫২ দশমিক ১৫ সে.মি.) চেয়ে ৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ হঠাৎ বাড়তে থাকে। পরদিন সকালে ডালিয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তিস্তার পানি। ফলে তিস্তার চরাঞ্চল ও তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়ে প্রায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। নষ্ট হয় কৃষকের ফসল, ভেসে যায় পুকুরের মাছ।
এ দিকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। তিস্তার বাম তীরের সদর উপজেলার চর গোকুন্ডা, কুলা ঘাট, আদিতমারী উপজেলার কুটিরপাড়, চন্ডিমারী, বালাপাড়া এলাকায় নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।
বন্যাকবিলত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজামান আহমেদ। তিনি বলেন, বন্যায় মানুষ যেন কষ্ট না পায় সে দিকে লক্ষ্যে রাখছেন ডিসি ও ইউএনওরা। এছাড়া দূর্গত এলাকায় শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আশা করছি তিস্তা পাড়ের মানুষের কষ্ট একদিন থাকবে না। আদিতমারীতে ৫০ কেটি টাকায় একটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে, সেখানকার মানুষ এখন অনেক ভালো আছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, বৃষ্টিপাত না হওয়া এবং উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি আসা বন্ধ হওয়ায় দ্রুত কমেছে তিস্তার পানি। গতকাল সকালে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় তিস্তাপাড়ের চর ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে নদীর পানি নামতে শুরু করেছে। এখনো বেশি কিছু এলাকার ঘর-বাড়িতে নদীর পানি রয়েছে। আপাতত লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির কোনো শঙ্কা নেই বলে তিনি জানান।
...
প্রকাশ : ২ বছর আগে
আপডেট : ২ বছর আগে
কমতে শুরু করেছে তিস্তার পানি: ভাঙ্গনে দিশেহারা স্থানীয়রা