প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৪ ০৮:৩৪ এএম
ইটনায় হাটে ক্রেতা কম, লোকসানে গরু বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা
ইটনা (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার ঢাকি ইউনিয়ন থেকে তিনটা গরু নিয়ে হাটে এসেছে খামারি জুবায়ের মিয়া। দীর্ঘ ৮ মাস নিজের হাতে লালন পালন করেছে ঈদের হাটে বিক্রির জন্য।
ইটনা উপজেলার আমিরগঞ্জ-জনতাগঞ্জ বাজারে গরু তুলেছে অনেক আশায়। গাড় লাল রঙের প্রতি গরুর দাম চেয়েছে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা, কিন্তু ক্রেতারা দাম বলছে দেড় লাখ। অপেক্ষার প্রহর শেষ করেও আশানুরূপ দাম না পেয়ে অবশেষে বাধ্য হয়ে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে জুবায়ের।
গরুর দাম জিজ্ঞেস করলে দীর্ঘশ্বাস ফেলে জুবায়ের জানায়, অনেক টাকা খরচ হয়েছে। বিক্রি না করলে ঋণের চাপ বেড়ে যাবে, যার জন্য বাধ্য হয়ে গরু বিক্রি করেছি।
আর একজন গরুর ব্যবসায়ী ফজল মিয়া। তিনি মদন উপজেলা থেকে ৪টা গরু নিয়ে এসেছেন। বেলা শেষ হচ্ছে কিন্তু এখনও একটা গরু বিক্রি করতে পারেনি। এই চিন্তায় চোখে মুখে পানি। এই খামারি জানান, ক্রেতাদের বাজেট অল্প যে দাম বলে এই দামে গরু কিনতেও পারেনি। কেনার দামে হলে গরু ছেড়ে দিতাম।
গরুর হাট ঘুরে এমন অনেক দৃশ্য চোখ পড়েছে। ছোট বড় মিলিয়ে হাট ভর্তি গরু কিন্তু বিক্রেতা নাই।
কোরবানির জন্য গরু কিনতে এসেছেন রাব্বি মিয়া। দাম আর বাজেটে মিল না হওয়ায় এখনও ঘুরছেন তিনি। রাব্বি মিয়া জানান, ৭৬ হাজার টাকা একটা দাম বলেছি কিন্তু ব্যবসায়ী ১ লক্ষ চাচ্ছেন।
হাওর অঞ্চলের বড় একটা গরুর হাট আজিমগঞ্জ-জনতাগঞ্জ গরুর হাট। হাটের ইজারাদার মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ জানান, এই হাটে বিভিন্ন উপজেলা থেকে গরু নিয়ে এসেছে ব্যবসায়ীরা। সপ্তাহে রোববার গরুর হাট বসে এই হাটে। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে একাধিক হাট বসানো হয়েছে। আজকেই শেষ গরুর হাট। তিনি আরও জানান, এই হাটে আনুমানিক ৬০০-৮০০ গরু-ছাগল উঠে এবং প্রায় ২০০ শতাধিক গরু বিক্রি হয় এই হাটে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, চলতি বছরের উপজেলায় গরুর খামারি বেড়েছে এবং কোরবানির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে গরু রয়েছে। ইন্ডিয়ান গরু ছাড়াই দেশীয় গরু দিয়ে চাহিদা পূরণ সম্ভব।
...
প্রকাশ : ১ বছর আগে
আপডেট : ৪ মাস আগে
ইটনায় হাটে ক্রেতা কম, লোকসানে গরু বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা