নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট নিয়ে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছে।৭ জুন শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বাংঙ্গড্ডা ইউপির কাদোবা (নিমুই) গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং অস্থায়ী কোরবানি পশুর হাট বন্ধ করার নিদের্শ দেয় উপজেলা প্রশাসন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুক্তিখোলা বাজারের গরুর হাট বন্ধ হওয়ায় কাদোবা গ্রামের হুমায়ুন কবির বজলু কাদোবা (নিমুই) গ্রামে তার মাছের ফিসারি মাটি দিয়ে ভরাট করে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে প্রতি শুক্রবার পশুর হাট বসান।৬ জুন বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসন অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটের ইজারা দেওয়ার জন্য টেন্ডার ছাড়েন। সেই অনুযায়ী জায়গার মালিক হিসেবে হুমায়ুন কবির বজলু ৬ হাজার টাকা দিয়ে টেন্ডার জমা দেন। তার সঙ্গে বাংঙ্গড্ডা গ্রামের সবুজ ২১ হাজার টাকার টেন্ডার জমা দেন। টাকা বেশি দেওয়ায় সবুজ হাটের ইজারা পান। ইজারা পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে লোকজন নিয়ে পশুর হাটে বাঁশ দিয়ে বাজারে সীমানা প্রাচীর করতে থাকেন তিনি।এ সময় হুমায়ুন তাদের বাধা দেন। ঘটনাটি মীমাংসার জন্য শুক্রবার বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান পশুর হাটে গিয়ে বাংঙ্গড্ডা ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মজুমদার, মেম্বার জামাল উদ্দিন ও সাবেক মেম্বার আব্দুল মালেককে নিয়ে বসেন।একপর্যায়ে হুমায়ুন ও সবুজের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি শুরু হয়। তাৎক্ষণিক সহকারী কমিশনার দুই পক্ষকে দুই দিকে পাঠিয়ে দেন। কাদোবা গ্রামের মোহাম্মদ বাংঙ্গড্ডা বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে সবুজের লোকজন তাকে রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে হুমায়ুনের লোকজন সবুজের লোকজনকে ধাওয়া দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়।আহতরা হলেন, কাদোবা গ্রামের মৃত, আব্দুল হামিদের ছেলে মোহাম্মদ (৩৫), মৃত মোহাম্মদের ছেলে মোবারক, গান্দাচী গ্রামের পলাশ, বাংঙ্গড্ডা গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে ইজাদার সবুজ।এমন অবস্থা দেখে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকিকে ঘটনাস্থলে এনে পুরো এলাকায় পুলিশ মোতায়ন করে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পাশাপাশি পশুর হাটটি বন্ধের নিদের্শ দেন।এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৮ জুন ২০২৪ ০৩:৪৭ এএম
নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইল পৌরসভার পক্ষ থেকে নতুন করে ‘নড়াইল পৌরসভার পশুর হাট’ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। পবিত্র ঈদ উল আজহাকে সামনে রেখে দীর্ঘকাল বন্ধ থাকার পর ৬ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে নড়াইল পৌর এলাকার গাড়ুচোরা এলাকায় এ হাটের উদ্বোধন করেন নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা।এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার কাউন্সিলর কাজী জহিরুল হক, কাউন্সিলর রেজাউল বিশ্বাস, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা জানান, এই হাট প্রথম অবস্থায় প্রতি বৃহস্পতিবার বসবে। ঈদের আগে রবিবারও বসতে পারে। এ হাটে সাধারণ মানুষ যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে পশু কিনতে বা বেচতে পারেন, কোনো ক্রেতা, বিক্রেতা বা কোনো ব্যাপারি যাতে কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হন সে জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সার্বিকভাবে এ হাট পর্যবেক্ষণ করবে।দেশের যে কোনো হাটে পশু কিনলে ব্যাপক পরিমাণ হাসিল/হাটের ইজারার টাকা নেয়া হয়ে থাকে। যা অনেক সময় ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য প্রদান করা কষ্টকর হয়ে উঠে। সকলের কথা মাথায় রেখে নড়াইল পৌরসভার পক্ষ থেকে গরু কিনলে ২শ টাকা ও বিক্রয় করলে ১শ টাকা এবং ছাগল কিনলে ৬০ টাকা ও বিক্রয় করলে ৪০ টাকা করে নেয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।প্রচন্ড রোদের কারণে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পশুর ব্যাপারিদের যাতে কিছুটা কষ্ট লাঘব করা যায়, সে জন্য প্রথম দিনে পৌরসভার পক্ষ থেকে পশুর ব্যাপারিদের একটি করে ছাতা উপহার দেয়া হয়েছে। এছাড়াও হাটে নতুন কোনো ব্যাপারি এলে তাদেরও ছাতা দেয়া হবে বলে জানান মেয়র।
০৭ জুন ২০২৪ ০২:৪৫ এএম