প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৪১ এএম
নাঙ্গলকোটে ভয়াবহ লোডশেডিং, রমজানে গ্রাহকদের চরম দুর্ভোগ
নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে গ্রাহকদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ২৪ ঘণ্টায় গড়ে ৩/৪ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ দেখা যায় না। পৌর সদরে বিদ্যুৎ কিছুটা বেশি সময় থাকলে গ্রাম-গঞ্জের অবস্থা চরম পর্যায়ে। রোজার মাসেও থেমে নেই এই লোডশেডিং। এমনকি ইফতার, সেহরি ও তারাবির সময়ও হচ্ছে অতিমাত্রায় লোডশেডিং।
শীত কাটতে না কাটতেই লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ করে তুলছে পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের। গরম যত বাড়ছে, লোডশেডিংও তত বাড়ছে। গেল এক সাপ্তাহ থেকে লোডশেডিংয়ের মাত্রা অনেক বেশি। লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রাহকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চরম সমালোচনা শুরু করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় বসবাসরত প্রায় পাঁচ লাখ লোকের মধ্যে বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা রয়েছে প্রায় ৯০ হাজার। কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর অধীনে নাঙ্গলকোট জোনাল অফিস দু’টি সাব স্টেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের মাঝে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছেন।
শতভাগ বিদ্যুতায়িত এ উপজেলায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করণের লক্ষে কুমিল্লা ছাড়াও নোয়াখালী এবং ফেনী গ্রীড থেকেও লাইন নেয়া আছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র হল গ্রাহক লোডশেডিংয়ের জাঁতাকলে পড়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক সাইফুল ইসলাম ও হুমায়ুন কবির বলেন, অতিমাত্রায় লোডশেডিংয়ে ইবাদতে দিঘ্নতা ঘটছে। সারাদিন রোজা রেখে ইফতার করতে গেলে বিদ্যুৎ চলে যায়।
পেরিয়া ইউপির মাধবপুর গ্রামের ওমর ফারুক নামে এক গ্রাহক বলেন, মঙ্গলবার পুরা রাত বিদ্যুৎ ছিল না, সেহরির কিছুক্ষণ আগে বিদ্যুৎ দিয়ে ঘণ্টাখানেক পর আবার চলে যায়।
তবে সেহরি, তারাবি ও ইফতারের সময় লোডশেডিংয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন নাঙ্গলকোট জোনাল অফিস সহকারী মহাব্যবস্থাপক (ওএন্ডএম) শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, সেহরি, তারাবি ও ইফতারের সময় লোডশেডিং হয় না। শুধু একদিন ৩০ মার্চ শনিবার ইফতার ও তারাবির সময় লোডশেডিং হয়েছে।
নাঙ্গলকোট জোরাল অফিস ডিপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) কামাল পাশা বলেন, চাহিদার তুলনায় কম মেগাওয়াট পাওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে। তবে কবে নাগাদ এর সমাধান হবে তা নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।
...
প্রকাশ : ১ বছর আগে
আপডেট : ৪ মাস আগে
নাঙ্গলকোটে ভয়াবহ লোডশেডিং, রমজানে গ্রাহকদের চরম দুর্ভোগ