ঢামেকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না: ঢামেক পরিচালক
ঢামেক প্রতিনিধি: কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিবে না বলে একটি চিঠি ইস্যু করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
৪ জুন মঙ্গলবার আসাদুজ্জামানের স্বাক্ষরিত (স্মারক নং- ঢামেকহা/প্রশা/ ৭১৩০/১১৪) এক চিটিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগত বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়া প্রতিনিধির সাথে অত্র হাসপাতালে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত সাক্ষাতকার বা বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো। এই কপিগুলো হাসপাতালসহ ১৩টি বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন, এর আগেও হাসপাতালে বেশ কয়েকজন পরিচালক এসেছেন। তারা এ ধরনের কোন চিঠি ইস্যু হয়নি। গণমাধ্যমের সাথে সবাই কথা বলে। তবে কেন তিনি এ ধরনের চিঠি ইস্যু করলেন, সে বিষয়টি আমরা বলতে পারছি না। এটার জবাব তিনিই ভালো দিতে পারবেন।
উল্লেখ্য, যেদিন তিনি চিঠি ইস্যু করেন সেই দিনে ঢাকা মেডিকেল থেকে সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া নবজাতক চুরির অভিযোগ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা একটি মামলা দায়ের করেন শাহবাগ থানায়। তবে তিনি ওইদিন বাচ্চা চুরির বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলেননি।
সংশ্লিষ্ট
পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি: ঈদের ছুটিতে যখন পরিবার পরিজনদের সাথে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন আনন্দঘন সময় পার করে যাচ্ছেন, সেখানে ডা. মো. শাকিল মাহমুদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে নিম্নবিত্ত ও অসহায় প্রায় ৩০০ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।২০ জুন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের রাবান স্বপ্নাশ্রয় গ্রন্থাগারে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ধলাদিয়া গ্রামেও বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন তিনি।চিকিৎসা সেবা প্রদান করা চিকিৎসক হলেন সাভার গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাকিল মাহমুদ। এ সময় চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা স্বস্তি প্রকাশ করেন।চিকিৎসা সেবা নিতে আসা ৫৫ বছর বয়সী পরিমল ভৌমিক ও চিত্তরঞ্জন পাল বলেন, আমরা গরীব মানুষ, ডাক্তার দেখানোর টাকাও অনেক সময় থাকে না। শহরে গিয়ে ডাক্তার দেখানোর ক্ষমতা নেই। আমাদের এলাকার ডাক্তার ঈদের ছুটিতে এসে টাকা ছাড়া রোগী দেখতেছেন, এমন খবর পেয়ে আমরাও ডাক্তার দেখাতে এসেছি। ডাক্তারের সেবা পেয়ে আমরা খুশি হয়েছি।ডা. মো. শাকিল মাহমুদ বলেন, আমি এই এলাকার সন্তান। এখানকার মানুষের প্রতি আমার অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। আমি আমার বন্ধুদের নিয়ে ঈদে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করেছি। ঈদের ছুটিতে এসে অহেতুক সময় নষ্ট না করে ভালো কাজে লাগাতে এই আয়োজন করেছি। নিম্নবিত্ত ও অসহায় রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছি।
নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সিলেটের বন্যাকবলিত এলাকার হাসপাতালগুলোতে বিষধর সাপের পর্যাপ্ত প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) মজুদ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন । পাশাপাশি বন্যাকবলিত এলাকায় চিকিৎসকদের জন্য জরুরি নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।১৯ জুন বুধবার সচিবালয় থেকে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে সিলেট বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা খাতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক জরুরি সভায় মিলিত হয়ে তিনি নির্দেশনা দেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেন, এসব এলাকায় ডায়রিয়া এবং পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে পর্যাপ্ত স্যালাইন ও ওষুধ মজুদ রাখতে হবে।সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বন্যাকবলিত এলাকার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে বন্যা পরবর্তী যথাযথ চিকিৎসাসেবা প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন।বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরসহ সিলেট বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা খাতের কর্মকর্তারা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।এদিন দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনকালে ডাক্তারদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং হাসপাতালের সামগ্রিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন।এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রী এভারকেয়ার হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এভারকেয়ার হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ওয়ার্ড, অ্যাডমিশন ওয়ার্ড পরিদর্শন শেষে তিনি ভর্তি রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং হাসপাতালটির প্রয়োজনীয় অনুমোদন এবং কাগজপত্র যাচাই করেন।এভারকেয়ার হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজধানীর মিরপুরের ইসলামি ব্যাংক হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টার পরিদর্শন করেন। সেখানে জরুরি বিভাগ, আইসিইউ, এইচডিইউ, সিসিইউ পরিদর্শন করেন এবং আগত রোগী, রোগীর স্বজন এবং ডাক্তারদের সাথে কথা বলেন।
ঢামেক প্রতিনিধি: কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিবে না বলে একটি চিঠি ইস্যু করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।৪ জুন মঙ্গলবার আসাদুজ্জামানের স্বাক্ষরিত (স্মারক নং- ঢামেকহা/প্রশা/ ৭১৩০/১১৪) এক চিটিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগত বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়া প্রতিনিধির সাথে অত্র হাসপাতালে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত সাক্ষাতকার বা বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো। এই কপিগুলো হাসপাতালসহ ১৩টি বিভাগে পাঠানো হয়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন, এর আগেও হাসপাতালে বেশ কয়েকজন পরিচালক এসেছেন। তারা এ ধরনের কোন চিঠি ইস্যু হয়নি। গণমাধ্যমের সাথে সবাই কথা বলে। তবে কেন তিনি এ ধরনের চিঠি ইস্যু করলেন, সে বিষয়টি আমরা বলতে পারছি না। এটার জবাব তিনিই ভালো দিতে পারবেন।উল্লেখ্য, যেদিন তিনি চিঠি ইস্যু করেন সেই দিনে ঢাকা মেডিকেল থেকে সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া নবজাতক চুরির অভিযোগ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা একটি মামলা দায়ের করেন শাহবাগ থানায়। তবে তিনি ওইদিন বাচ্চা চুরির বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলেননি।
নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালী চাটখিলে সিজার অপারেশনের সময় ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতক সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। নিহত সামিয়া আক্তার (২৫) উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের দত্তেরবাগ গ্রামের নতার বাড়ির মো. মুরাদের স্ত্রী। ৭ জুন শুক্রবার দুপুর দিকে উপজেলার খিলপাড়া বাজারের ওয়াহাব তৈয়েবা মেমোরিয়াল হসপিটালে এই ঘটনা ঘটে।নিহতের স্বামী মুরাদ অভিযোগ করে বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সামিয়াকে তিনি ওয়াহাব তৈয়েবা মেমোরিয়াল হসপিটালে নিয়ে যান। পরে দুপুর ২টার দিকে ডাক্তার ফারহানা তাকে সিজার করেন। সেখানে অপারেশনের আগে অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার ছাড়া হসপিটালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার দিয়ে ভুলভাবে সামিয়ার শরীরে অ্যানেসথেসিয়ায় প্রয়োগ করলে সে মারা যায়। তারা রোগীর শরীরে যে অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগ করে তা ঠিকমত হয়নি। তারা সিজার করে, নবজাতককে পেট থেকে বের করেনি। তারা দেখেছে রোগী মারা গেছে। এরপরও পুনরায় সিজারের স্থানে সেলাই দিয়ে আমাদেরকে কুমিল্লা পাঠায়।’মুরাদ আরও বলেন, ‘পরে সন্ধ্যার দিকে আমরা সামিয়ার মরদেহ নিয়ে হসপিটালের সামনে অবস্থান করি। ওই সময় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জানায়, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।’এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াহাব তৈয়েবা মেমোরিয়াল হসপিটালের ম্যানেজার মহিউদ্দিন রাসেল অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘আমাদের অ্যানেসথেসিয়া ও সার্জন দুজনই অভিজ্ঞ ছিলেন। উনারা গত ১০ মাস যাবত এখানে অপারেশন করে আসছেন। রোগীর অ্যানেসথেসিয়া করা হলে রোগী হার্ট স্ট্রোক করে। এ কারণে আর সিজার করতে পারেনি। স্ট্রোক করার কারণে যেহেতু আইসিইউ সাপোর্ট লাগবে। তাই রোগীকে এখানে আর রাখা হয়নি। উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা শহর মাইজদীতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রোগীর স্বজনেরা তাকে কুমিল্লা নিয়ে যায়।’ চাটখিল থানার কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতের স্বজনেরা থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। তবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’
ঢামেকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না: ঢামেক পরিচালক
সংশ্লিষ্ট
পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি: ঈদের ছুটিতে যখন পরিবার পরিজনদের সাথে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন আনন্দঘন সময় পার করে যাচ্ছেন, সেখানে ডা. মো. শাকিল মাহমুদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে নিম্নবিত্ত ও অসহায় প্রায় ৩০০ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।২০ জুন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের রাবান স্বপ্নাশ্রয় গ্রন্থাগারে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ধলাদিয়া গ্রামেও বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন তিনি।চিকিৎসা সেবা প্রদান করা চিকিৎসক হলেন সাভার গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাকিল মাহমুদ। এ সময় চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা স্বস্তি প্রকাশ করেন।চিকিৎসা সেবা নিতে আসা ৫৫ বছর বয়সী পরিমল ভৌমিক ও চিত্তরঞ্জন পাল বলেন, আমরা গরীব মানুষ, ডাক্তার দেখানোর টাকাও অনেক সময় থাকে না। শহরে গিয়ে ডাক্তার দেখানোর ক্ষমতা নেই। আমাদের এলাকার ডাক্তার ঈদের ছুটিতে এসে টাকা ছাড়া রোগী দেখতেছেন, এমন খবর পেয়ে আমরাও ডাক্তার দেখাতে এসেছি। ডাক্তারের সেবা পেয়ে আমরা খুশি হয়েছি।ডা. মো. শাকিল মাহমুদ বলেন, আমি এই এলাকার সন্তান। এখানকার মানুষের প্রতি আমার অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। আমি আমার বন্ধুদের নিয়ে ঈদে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করেছি। ঈদের ছুটিতে এসে অহেতুক সময় নষ্ট না করে ভালো কাজে লাগাতে এই আয়োজন করেছি। নিম্নবিত্ত ও অসহায় রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছি।
নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সিলেটের বন্যাকবলিত এলাকার হাসপাতালগুলোতে বিষধর সাপের পর্যাপ্ত প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) মজুদ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন । পাশাপাশি বন্যাকবলিত এলাকায় চিকিৎসকদের জন্য জরুরি নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।১৯ জুন বুধবার সচিবালয় থেকে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে সিলেট বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা খাতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক জরুরি সভায় মিলিত হয়ে তিনি নির্দেশনা দেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেন, এসব এলাকায় ডায়রিয়া এবং পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে পর্যাপ্ত স্যালাইন ও ওষুধ মজুদ রাখতে হবে।সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বন্যাকবলিত এলাকার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে বন্যা পরবর্তী যথাযথ চিকিৎসাসেবা প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন।বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরসহ সিলেট বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা খাতের কর্মকর্তারা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।এদিন দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনকালে ডাক্তারদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং হাসপাতালের সামগ্রিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন।এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রী এভারকেয়ার হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এভারকেয়ার হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ওয়ার্ড, অ্যাডমিশন ওয়ার্ড পরিদর্শন শেষে তিনি ভর্তি রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং হাসপাতালটির প্রয়োজনীয় অনুমোদন এবং কাগজপত্র যাচাই করেন।এভারকেয়ার হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজধানীর মিরপুরের ইসলামি ব্যাংক হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টার পরিদর্শন করেন। সেখানে জরুরি বিভাগ, আইসিইউ, এইচডিইউ, সিসিইউ পরিদর্শন করেন এবং আগত রোগী, রোগীর স্বজন এবং ডাক্তারদের সাথে কথা বলেন।
ঢামেক প্রতিনিধি: কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিবে না বলে একটি চিঠি ইস্যু করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।৪ জুন মঙ্গলবার আসাদুজ্জামানের স্বাক্ষরিত (স্মারক নং- ঢামেকহা/প্রশা/ ৭১৩০/১১৪) এক চিটিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগত বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়া প্রতিনিধির সাথে অত্র হাসপাতালে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত সাক্ষাতকার বা বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো। এই কপিগুলো হাসপাতালসহ ১৩টি বিভাগে পাঠানো হয়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন, এর আগেও হাসপাতালে বেশ কয়েকজন পরিচালক এসেছেন। তারা এ ধরনের কোন চিঠি ইস্যু হয়নি। গণমাধ্যমের সাথে সবাই কথা বলে। তবে কেন তিনি এ ধরনের চিঠি ইস্যু করলেন, সে বিষয়টি আমরা বলতে পারছি না। এটার জবাব তিনিই ভালো দিতে পারবেন।উল্লেখ্য, যেদিন তিনি চিঠি ইস্যু করেন সেই দিনে ঢাকা মেডিকেল থেকে সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া নবজাতক চুরির অভিযোগ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা একটি মামলা দায়ের করেন শাহবাগ থানায়। তবে তিনি ওইদিন বাচ্চা চুরির বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলেননি।
নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালী চাটখিলে সিজার অপারেশনের সময় ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতক সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। নিহত সামিয়া আক্তার (২৫) উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের দত্তেরবাগ গ্রামের নতার বাড়ির মো. মুরাদের স্ত্রী। ৭ জুন শুক্রবার দুপুর দিকে উপজেলার খিলপাড়া বাজারের ওয়াহাব তৈয়েবা মেমোরিয়াল হসপিটালে এই ঘটনা ঘটে।নিহতের স্বামী মুরাদ অভিযোগ করে বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সামিয়াকে তিনি ওয়াহাব তৈয়েবা মেমোরিয়াল হসপিটালে নিয়ে যান। পরে দুপুর ২টার দিকে ডাক্তার ফারহানা তাকে সিজার করেন। সেখানে অপারেশনের আগে অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার ছাড়া হসপিটালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার দিয়ে ভুলভাবে সামিয়ার শরীরে অ্যানেসথেসিয়ায় প্রয়োগ করলে সে মারা যায়। তারা রোগীর শরীরে যে অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগ করে তা ঠিকমত হয়নি। তারা সিজার করে, নবজাতককে পেট থেকে বের করেনি। তারা দেখেছে রোগী মারা গেছে। এরপরও পুনরায় সিজারের স্থানে সেলাই দিয়ে আমাদেরকে কুমিল্লা পাঠায়।’মুরাদ আরও বলেন, ‘পরে সন্ধ্যার দিকে আমরা সামিয়ার মরদেহ নিয়ে হসপিটালের সামনে অবস্থান করি। ওই সময় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জানায়, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।’এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াহাব তৈয়েবা মেমোরিয়াল হসপিটালের ম্যানেজার মহিউদ্দিন রাসেল অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘আমাদের অ্যানেসথেসিয়া ও সার্জন দুজনই অভিজ্ঞ ছিলেন। উনারা গত ১০ মাস যাবত এখানে অপারেশন করে আসছেন। রোগীর অ্যানেসথেসিয়া করা হলে রোগী হার্ট স্ট্রোক করে। এ কারণে আর সিজার করতে পারেনি। স্ট্রোক করার কারণে যেহেতু আইসিইউ সাপোর্ট লাগবে। তাই রোগীকে এখানে আর রাখা হয়নি। উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা শহর মাইজদীতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রোগীর স্বজনেরা তাকে কুমিল্লা নিয়ে যায়।’ চাটখিল থানার কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতের স্বজনেরা থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। তবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’
মন্তব্য করুন