এশিয়ান টিভি অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর নতুন ঘর পেলেন নিলুফা
কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার পোমকাড়া গ্রামে অন্যের বাড়িতে ভাঙা ঘরে পলিথিনের বেড়া দিয়ে বসবাস করা নিলুফার পরিবারকে অবশেষে আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর বুঝিয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
৩ সেপ্টেম্বর রোববার ‘আমার নিজের যদি আকটা ঘর থাকতো’ শিরোনামে এশিয়ান টিভি অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে উপজেলা প্রশাসনের । তাৎক্ষণিক দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা ও সহকারী কমিসনার (ভূমি) রায়হানুল ইসলাম এ অসহায় পরিবারটিকে ঘরের ব্যবস্থা করে দেন।
রোববার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সহকারী কমিসনার (ভূমি) ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের হাতে ঘড়ের চাবি তুলে দেন। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জরাজীর্ণ পরিবেশ থেকে নতুন ঘর পেলেন তারা। এ দিকে নতুন ঘর পেয়ে স্বামী নিয়ে আনন্দে আত্মহারা ৬ সন্তানের জননী নিলুফা।
নিলুফা আক্তার এশিয়ান টিভি অনলাইনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সংবাদ প্রকাশের পর স্থানীয় প্রশাসন তার খোঁজখবর নিয়েছে। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সুবিল ইউনিয়নের বুড়িরপার এলাকায় পূর্বের তৈরীকৃত আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘরে তাদের ঠাই হয়।
তিনি বলেন, নতুন ঘর পেয়ে আমি অনেক খুশি। এখন শীত কিংবা বর্ষাতে আর কষ্ট করতে হবে না। কখনও ভাবিনি আমার থাকার জন্য নতুন ঘর হবে। এত তাড়াতাড়ি ঘর পেয়ে তিনি এশিয়ান টিভি অনলাইন ও সাংবাদিকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিগার সুলতানা বলেন, একটি অসহায় পরিবারকে নিয়ে অনলাইনে প্রকাশিত খবরটি জেলা প্রশাসকের নজরে আসলে স্যার ঘরটি পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন।
এ ছাড়া ঐ পরিবারটি যেন সরকারি সবধরনের সুযোগ-সুবিধা ঠিকমতো পায় তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট
নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ছোট রাউতা ডাঙ্গাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার ও ফাতেমা দম্পতির সাংসারিক জীবন প্রায় ২৮ বছরের। বিয়ের এক যুগেও সন্তানের মুখ দেখেনি তারা। বরং একের পর এক জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা। ২০১৫ সালে প্রথমে ব্রেস্ট টিউমার হয় ফাতেমার। টিউমারের অপারেশন করার পর ২০১৬ সালে একটি পুত্র সন্তান এবং ২০১৮ সালে একটি কন্যা সন্তান তাদের ঘরে আলোর মুখ দেখায়।ভালোই যাচ্ছিলো। কিন্তু কোনভাবেই যেন বিপদ পিছু ছাড়ছে না আনোয়ার ও ফাতেমা দম্পতির। হঠাৎ ২০২১ সালে আবার ক্যান্সার ধরা পড়ে ফাতেমার। আনোয়ার হোসেন নিজের চার বিঘা জমিসহ বাড়ির ভিটের অর্ধেক অংশ বিক্রি করে স্ত্রীর চিকিৎসা চালিয়ে আসছিলেন।আনোয়ার হোসেনের সম্পত্তি না থাকলেও ছোট্ট একটি চায়ের দোকানের আয়ে চলত ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া ও সংসারের খরচ। দুমাস পূর্বে স্ত্রীর অসুস্থতা ও সাংসারিক চাপে হঠাৎ তিনিও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর প্যারালাইজড হয়ে পড়েন। চিকিৎসা, বাচ্চাদের পড়াশোনা এবং সংসার খরচ মিলে প্রতি মাসে ৩৫ হাজার টাকা ব্যয় হয় তাদের।চিকিৎসায় এতো বেশি পরিমাণে টাকার ব্যয় সামলাতে না পেরে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ও পপি এনজিও থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছেন। এদিকে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ব্যাংক ও এনজিওর চাপে প্রচন্ড দূরাবস্থায় রয়েছেন তারা। এমতাবস্থায় বাচ্চাদের পড়াশোনা ও স্বামীর চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের নিকট সহযোগিতা চেয়েছেন আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা।এলাকাবাসী জানায়, স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাড় করতে গিয়ে যৎসামান্য কৃষিজমির সম্পূর্ণটুকু, বাড়ির অর্ধেক শেষ। সাথে ব্যাংক ও এনজিওর ঋণে জর্জরিত। মানসিক চাপের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আনোয়ার হোসেন। এখন পুরো পরিবার বেহাল। মানবেতর পরিস্থিতিতে দিনাতিপাত করছে তারা।ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম জানান, চিকিৎসার জন্য এককালীন আর্থিক সহযোগিতার বিধান রয়েছে। সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদন পাওয়ামাত্র সহযোগিতা করবেন বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।স্বামী-স্ত্রীর চিকিৎসা, সংসারের খরচ এবং ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাতে অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তি, সংস্থা-সংগঠনের কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ফাতেমার পরিবার ও এলাকাবাসী। সহযোগিতার জন্য ব্যক্তিগত বিকাশ এবং নগদ নম্বর 01915-246449 এ যোগাযোগ ও অর্থ পাঠানোর জন্য আহবান জানিয়েছেন তারা।
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট (SZHM Trust)-এর উদ্যোগে বিভিন্ন খাতে সহায়তা প্রাপ্তদের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। ১১ মে শনিবার সকাল ১১টায় ট্রাস্ট মিলনায়তনে এ অনুদান প্রদান করা হয়।চট্টগ্রাম বিশ্বাবিদ্যালয় ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এবং এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক ও ট্রাস্টের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দিনের সভাপতিত্বে আর্থিক অনুদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ আবদুচ ছালাম।প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট। এ ট্রাস্ট মানবতার কল্যাণে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমি আশা করি এ মহতি কর্মকাণ্ড আজীবন চালু থাকবে এবং মানবতা উপকৃত হবে।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টের সচিব অধ্যাপক এ ওয়াই এমডি জাফর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের প্রাক্তন সভাপতি ও এস জেড এইচ এম বৃত্তি তহবিল পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক, চট্টগ্রাম থ্যালাসেমিয়া সেবাকেন্দ্রের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শিমুল বড়ুয়া এবং এস জেড এইচ এম ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণাধীন ‘যাকাত ওয়েলফেয়ার ফান্ড’ পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি লায়ন আলহাজ মোহাম্মদ দিদারুল আলম চৌধুরী।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ট্রাস্টের প্রশাসনিক ও সমন্বয় কর্মকর্তা তানভীর হোসাইন।অনুষ্ঠানে ট্রাস্টের পক্ষ হতে শিক্ষা খাতে ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা খাতে ১টি প্রতিষ্ঠান ও ২ ব্যক্তি, মসজিদ নির্মাণ খাতে ১টি, মাজার নির্মাণ খাতে ১টি, আলেম সহায়তা খাতে ১টি, কনের বিবাহে সহায়তা খাতে ১টিসহ মোট ২২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়।
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজধানী ঢাকার মিরপুর এলাকায় ভাসমান ক্ষুধার্ত মানুষের মাঝে রাতের আঁধারে নিজের রান্না করা খাবার বিতরণ করছেন এক তরুণী।জানা গেছে, ওই তরুণীর নাম শাহানা আক্তার তন্নী, তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার চূওড়িয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম দূবরাজের নবীনগর সরকারি কলেজ থেকে বিএসসি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বর্তমানে ঢাকার মিরপুর এলাকায় থেকে একটি কোচিং সেন্টারে ইংরেজি শিক্ষার কোর্স করছেন।রাতে বাসা থেকে বের হলে ভাসমান লোকদের দেখতে পেয়ে তাদের খোঁজ-খবর নেন। জানতে পারেন, অনেকেই এই তীব্র গরমে রাতের আঁধারে না খেয়ে ফুটপাতে রাত কাটাচ্ছেন। এ বিষয়টি তাঁর হৃদয়ে নাড়া দিলে তৎক্ষণাৎ বাসায় গিয়ে নিজের হাতে রান্না করা বিরিয়ানির প্যাকেট নিয়ে রাতের আঁধারেই অলিগলিতে ঘুরে ক্ষুধার্তদের মাঝে তা বিতরণ করেন।ক্ষুধার্তদের পাশে খাবার নিয়ে দাঁড়ানো তরুণী শাহানা আক্তার তন্নী জানান, ‘মানুষ এখনও না খেয়ে রাতে ঘুমাতে যায়, এটা আমার ধারণাতেও ছিল না। আজ নিজের চোখে দেখলাম। তাই এটা আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র, সামনে আমি বড় পরিসরে এসকল অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে চাই।’তিনি আরও জানান, ‘অনেক আগে থেকেই আমার স্বপ্ন, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আমি অসহায়দের জন্য অনাথ আশ্রম ও বয়স্কদের জন্য একটা বৃদ্ধাশ্রম খুলব। কারণ, মানুষের জন্য কাজ করতে আমার ভালো লাগে।’
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: দেশব্যাপি চলমান তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত পথচারী ও শ্রমজীবী মানুষের মাঝে মাইজভাণ্ডার শরিফ ‘গাউসিয়া হক মঞ্জিল’ প্রতিষ্ঠিত ‘শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট’ এর উদ্যোগে চলমান শরবত বিতরণ কর্মসূচির পাশাপাশি শ্রমজীবী মানুষের মাঝে ছাতা বিরতণ করা হয়েছে।৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট পুলিশ বক্স চত্বর ও মুরাদপুর মোড়ে এ ছাতা বিরতণ করা হয়।এসময় মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রিয় পর্ষদ সদস্যবৃন্দ, ট্রাস্টের কর্মকর্তা ও শাখা কমিটিরসমূহের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।এর আগে, গত ২৫ এপ্রিল থেকে ট্রাস্টের নিজস্ব উদ্যোগে চট্টগ্রাম মহানগরীর বহদ্দারহাট চত্বর ও মুরাদপুর মোড়ে প্রতিদিন প্রায় আড়াই হাজার মানুষের মাঝে শরবত বিতরণ করা হচ্ছে। এই কার্যক্রম প্রচন্ড তাপদাহ চলা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রিয় পর্ষদ নিয়ন্ত্রণাধীন ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, বি.বাড়িয়া, ফটিকছড়ি উপজেলা, চন্দনাইশ উপজেলা, পটিয়া উপজেলা, রাউজান উপজেলা, হাটহাজারী উপজেলা, কর্ণফুলি উপজেলা, বোয়াখালী উপজেলার শাখা কমিটিসমূহের উদ্যোগে এ পর্যন্ত আড়াই লক্ষাধিক মানুষের তৃষ্ণা নিবারণের জন্য শরবত ও ঠাণ্ডা পানীয় বিতরণ করা হয়। তাপদাহ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার শাখা কমিটিসমূহের উদ্যোগে এ কর্মসূচি চলমান থাকবে।
এশিয়ান টিভি অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর নতুন ঘর পেলেন নিলুফা
সংশ্লিষ্ট
নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ছোট রাউতা ডাঙ্গাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার ও ফাতেমা দম্পতির সাংসারিক জীবন প্রায় ২৮ বছরের। বিয়ের এক যুগেও সন্তানের মুখ দেখেনি তারা। বরং একের পর এক জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা। ২০১৫ সালে প্রথমে ব্রেস্ট টিউমার হয় ফাতেমার। টিউমারের অপারেশন করার পর ২০১৬ সালে একটি পুত্র সন্তান এবং ২০১৮ সালে একটি কন্যা সন্তান তাদের ঘরে আলোর মুখ দেখায়।ভালোই যাচ্ছিলো। কিন্তু কোনভাবেই যেন বিপদ পিছু ছাড়ছে না আনোয়ার ও ফাতেমা দম্পতির। হঠাৎ ২০২১ সালে আবার ক্যান্সার ধরা পড়ে ফাতেমার। আনোয়ার হোসেন নিজের চার বিঘা জমিসহ বাড়ির ভিটের অর্ধেক অংশ বিক্রি করে স্ত্রীর চিকিৎসা চালিয়ে আসছিলেন।আনোয়ার হোসেনের সম্পত্তি না থাকলেও ছোট্ট একটি চায়ের দোকানের আয়ে চলত ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া ও সংসারের খরচ। দুমাস পূর্বে স্ত্রীর অসুস্থতা ও সাংসারিক চাপে হঠাৎ তিনিও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর প্যারালাইজড হয়ে পড়েন। চিকিৎসা, বাচ্চাদের পড়াশোনা এবং সংসার খরচ মিলে প্রতি মাসে ৩৫ হাজার টাকা ব্যয় হয় তাদের।চিকিৎসায় এতো বেশি পরিমাণে টাকার ব্যয় সামলাতে না পেরে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ও পপি এনজিও থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছেন। এদিকে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ব্যাংক ও এনজিওর চাপে প্রচন্ড দূরাবস্থায় রয়েছেন তারা। এমতাবস্থায় বাচ্চাদের পড়াশোনা ও স্বামীর চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের নিকট সহযোগিতা চেয়েছেন আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা।এলাকাবাসী জানায়, স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাড় করতে গিয়ে যৎসামান্য কৃষিজমির সম্পূর্ণটুকু, বাড়ির অর্ধেক শেষ। সাথে ব্যাংক ও এনজিওর ঋণে জর্জরিত। মানসিক চাপের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আনোয়ার হোসেন। এখন পুরো পরিবার বেহাল। মানবেতর পরিস্থিতিতে দিনাতিপাত করছে তারা।ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম জানান, চিকিৎসার জন্য এককালীন আর্থিক সহযোগিতার বিধান রয়েছে। সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদন পাওয়ামাত্র সহযোগিতা করবেন বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।স্বামী-স্ত্রীর চিকিৎসা, সংসারের খরচ এবং ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাতে অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তি, সংস্থা-সংগঠনের কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ফাতেমার পরিবার ও এলাকাবাসী। সহযোগিতার জন্য ব্যক্তিগত বিকাশ এবং নগদ নম্বর 01915-246449 এ যোগাযোগ ও অর্থ পাঠানোর জন্য আহবান জানিয়েছেন তারা।
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট (SZHM Trust)-এর উদ্যোগে বিভিন্ন খাতে সহায়তা প্রাপ্তদের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। ১১ মে শনিবার সকাল ১১টায় ট্রাস্ট মিলনায়তনে এ অনুদান প্রদান করা হয়।চট্টগ্রাম বিশ্বাবিদ্যালয় ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এবং এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক ও ট্রাস্টের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দিনের সভাপতিত্বে আর্থিক অনুদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ আবদুচ ছালাম।প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট। এ ট্রাস্ট মানবতার কল্যাণে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমি আশা করি এ মহতি কর্মকাণ্ড আজীবন চালু থাকবে এবং মানবতা উপকৃত হবে।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টের সচিব অধ্যাপক এ ওয়াই এমডি জাফর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের প্রাক্তন সভাপতি ও এস জেড এইচ এম বৃত্তি তহবিল পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক, চট্টগ্রাম থ্যালাসেমিয়া সেবাকেন্দ্রের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শিমুল বড়ুয়া এবং এস জেড এইচ এম ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণাধীন ‘যাকাত ওয়েলফেয়ার ফান্ড’ পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি লায়ন আলহাজ মোহাম্মদ দিদারুল আলম চৌধুরী।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ট্রাস্টের প্রশাসনিক ও সমন্বয় কর্মকর্তা তানভীর হোসাইন।অনুষ্ঠানে ট্রাস্টের পক্ষ হতে শিক্ষা খাতে ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা খাতে ১টি প্রতিষ্ঠান ও ২ ব্যক্তি, মসজিদ নির্মাণ খাতে ১টি, মাজার নির্মাণ খাতে ১টি, আলেম সহায়তা খাতে ১টি, কনের বিবাহে সহায়তা খাতে ১টিসহ মোট ২২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়।
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজধানী ঢাকার মিরপুর এলাকায় ভাসমান ক্ষুধার্ত মানুষের মাঝে রাতের আঁধারে নিজের রান্না করা খাবার বিতরণ করছেন এক তরুণী।জানা গেছে, ওই তরুণীর নাম শাহানা আক্তার তন্নী, তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার চূওড়িয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম দূবরাজের নবীনগর সরকারি কলেজ থেকে বিএসসি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বর্তমানে ঢাকার মিরপুর এলাকায় থেকে একটি কোচিং সেন্টারে ইংরেজি শিক্ষার কোর্স করছেন।রাতে বাসা থেকে বের হলে ভাসমান লোকদের দেখতে পেয়ে তাদের খোঁজ-খবর নেন। জানতে পারেন, অনেকেই এই তীব্র গরমে রাতের আঁধারে না খেয়ে ফুটপাতে রাত কাটাচ্ছেন। এ বিষয়টি তাঁর হৃদয়ে নাড়া দিলে তৎক্ষণাৎ বাসায় গিয়ে নিজের হাতে রান্না করা বিরিয়ানির প্যাকেট নিয়ে রাতের আঁধারেই অলিগলিতে ঘুরে ক্ষুধার্তদের মাঝে তা বিতরণ করেন।ক্ষুধার্তদের পাশে খাবার নিয়ে দাঁড়ানো তরুণী শাহানা আক্তার তন্নী জানান, ‘মানুষ এখনও না খেয়ে রাতে ঘুমাতে যায়, এটা আমার ধারণাতেও ছিল না। আজ নিজের চোখে দেখলাম। তাই এটা আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র, সামনে আমি বড় পরিসরে এসকল অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে চাই।’তিনি আরও জানান, ‘অনেক আগে থেকেই আমার স্বপ্ন, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আমি অসহায়দের জন্য অনাথ আশ্রম ও বয়স্কদের জন্য একটা বৃদ্ধাশ্রম খুলব। কারণ, মানুষের জন্য কাজ করতে আমার ভালো লাগে।’
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: দেশব্যাপি চলমান তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত পথচারী ও শ্রমজীবী মানুষের মাঝে মাইজভাণ্ডার শরিফ ‘গাউসিয়া হক মঞ্জিল’ প্রতিষ্ঠিত ‘শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট’ এর উদ্যোগে চলমান শরবত বিতরণ কর্মসূচির পাশাপাশি শ্রমজীবী মানুষের মাঝে ছাতা বিরতণ করা হয়েছে।৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট পুলিশ বক্স চত্বর ও মুরাদপুর মোড়ে এ ছাতা বিরতণ করা হয়।এসময় মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রিয় পর্ষদ সদস্যবৃন্দ, ট্রাস্টের কর্মকর্তা ও শাখা কমিটিরসমূহের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।এর আগে, গত ২৫ এপ্রিল থেকে ট্রাস্টের নিজস্ব উদ্যোগে চট্টগ্রাম মহানগরীর বহদ্দারহাট চত্বর ও মুরাদপুর মোড়ে প্রতিদিন প্রায় আড়াই হাজার মানুষের মাঝে শরবত বিতরণ করা হচ্ছে। এই কার্যক্রম প্রচন্ড তাপদাহ চলা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রিয় পর্ষদ নিয়ন্ত্রণাধীন ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, বি.বাড়িয়া, ফটিকছড়ি উপজেলা, চন্দনাইশ উপজেলা, পটিয়া উপজেলা, রাউজান উপজেলা, হাটহাজারী উপজেলা, কর্ণফুলি উপজেলা, বোয়াখালী উপজেলার শাখা কমিটিসমূহের উদ্যোগে এ পর্যন্ত আড়াই লক্ষাধিক মানুষের তৃষ্ণা নিবারণের জন্য শরবত ও ঠাণ্ডা পানীয় বিতরণ করা হয়। তাপদাহ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার শাখা কমিটিসমূহের উদ্যোগে এ কর্মসূচি চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন