প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৪ ০৫:২৯ এএম
স্ত্রীর ক্যান্সার, স্বামী প্যারালাইজড ২ সন্তানসহ মানবেতর জীবনযাপন করছে পরিবারটি
নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ছোট রাউতা ডাঙ্গাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার ও ফাতেমা দম্পতির সাংসারিক জীবন প্রায় ২৮ বছরের। বিয়ের এক যুগেও সন্তানের মুখ দেখেনি তারা। বরং একের পর এক জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা। ২০১৫ সালে প্রথমে ব্রেস্ট টিউমার হয় ফাতেমার। টিউমারের অপারেশন করার পর ২০১৬ সালে একটি পুত্র সন্তান এবং ২০১৮ সালে একটি কন্যা সন্তান তাদের ঘরে আলোর মুখ দেখায়।
ভালোই যাচ্ছিলো। কিন্তু কোনভাবেই যেন বিপদ পিছু ছাড়ছে না আনোয়ার ও ফাতেমা দম্পতির। হঠাৎ ২০২১ সালে আবার ক্যান্সার ধরা পড়ে ফাতেমার। আনোয়ার হোসেন নিজের চার বিঘা জমিসহ বাড়ির ভিটের অর্ধেক অংশ বিক্রি করে স্ত্রীর চিকিৎসা চালিয়ে আসছিলেন।
আনোয়ার হোসেনের সম্পত্তি না থাকলেও ছোট্ট একটি চায়ের দোকানের আয়ে চলত ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া ও সংসারের খরচ। দুমাস পূর্বে স্ত্রীর অসুস্থতা ও সাংসারিক চাপে হঠাৎ তিনিও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর প্যারালাইজড হয়ে পড়েন। চিকিৎসা, বাচ্চাদের পড়াশোনা এবং সংসার খরচ মিলে প্রতি মাসে ৩৫ হাজার টাকা ব্যয় হয় তাদের।
চিকিৎসায় এতো বেশি পরিমাণে টাকার ব্যয় সামলাতে না পেরে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ও পপি এনজিও থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছেন। এদিকে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ব্যাংক ও এনজিওর চাপে প্রচন্ড দূরাবস্থায় রয়েছেন তারা। এমতাবস্থায় বাচ্চাদের পড়াশোনা ও স্বামীর চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের নিকট সহযোগিতা চেয়েছেন আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা।
এলাকাবাসী জানায়, স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাড় করতে গিয়ে যৎসামান্য কৃষিজমির সম্পূর্ণটুকু, বাড়ির অর্ধেক শেষ। সাথে ব্যাংক ও এনজিওর ঋণে জর্জরিত। মানসিক চাপের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আনোয়ার হোসেন। এখন পুরো পরিবার বেহাল। মানবেতর পরিস্থিতিতে দিনাতিপাত করছে তারা।
ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম জানান, চিকিৎসার জন্য এককালীন আর্থিক সহযোগিতার বিধান রয়েছে। সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদন পাওয়ামাত্র সহযোগিতা করবেন বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
স্বামী-স্ত্রীর চিকিৎসা, সংসারের খরচ এবং ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাতে অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তি, সংস্থা-সংগঠনের কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ফাতেমার পরিবার ও এলাকাবাসী। সহযোগিতার জন্য ব্যক্তিগত বিকাশ এবং নগদ নম্বর 01915-246449 এ যোগাযোগ ও অর্থ পাঠানোর জন্য আহবান জানিয়েছেন তারা।
...
প্রকাশ : ১ বছর আগে
আপডেট : ৬ মাস আগে
স্ত্রীর ক্যান্সার, স্বামী প্যারালাইজড ২ সন্তানসহ মানবেতর জীবনযাপন করছে পরিবারটি