প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:৪৮ এএম
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: সিন্ডিকেট মাফিয়াদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে জেবিডির আহ্বান
নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিম সিন্ডিকেট, ডাব সিন্ডিকেট, স্লাইন সিন্ডিকেট থেকে শুরু করে মানুষের মৌলিক চাহিদাকে ভুলুন্ঠিত করে দেশে যে সিন্ডিকেট মাফিয়া চক্র গড়ে উঠেছে, এর বিরুদ্ধে জনতাকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজধানীতে মানববন্ধন করেছে তারুণ্য নির্ভর রাজনৈতিক দল জাগ্রত বাংলাদেশ (জেবিডি)। ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি আজমুল জিহাদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নুরুল আমিন ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি অ্যাড. এইউজেড প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মহিউদ্দিন মামুন, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. এবিএম জোবায়ের, অ্যাড. রবিউল হায়দার রবি, অ্যাড. অভি, অ্যাড. রফিকুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
‘সিন্ডিকেট মাফিয়া নিপাত যাক, জনতা মুক্তি পাক’, ‘হটাও সিন্ডিকেট, বাঁচাও দেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মধ্যস্বত্বভোগী নির্ভর বাজার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ও সিন্ডিকেট মাফিয়াদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
তারা বলেন, আজকে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে দেশের সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। একদল সিন্ডিকেট মাফিয়াদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে দেশের মানুষ। কোথায় নেই এই সিন্ডিকেট। ডিম সিন্ডিকেট, ডাব সিন্ডিকেট, স্লাইন সিন্ডিকেট থেকে শুরু করে মানুষের মৌলিক চাহিদাকে ভুলুন্ঠিত করে গড়ে উঠেছে এই সিন্ডিকেট মাফিয়া চক্র। এই চক্রের হাতে সাধারণ মানুষ আজ জিম্মি। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনিক ও সরকারি কোনো উদ্যোগ তেমন চোখে পড়ে না। যা-ও আমরা প্রত্যক্ষ করি, সেটা শুধুমাত্র লোকদেখানো ও বুলি আওড়ানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আমরা মনে করি, এই অবস্থার অবসান হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
তারা আরও বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আমাদের বাঙালি জাতির সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে দুর্নীতি -স্বজনপ্রীতি ও সিন্ডিকেট মাফিয়াদের প্রতি হুঙ্কার দিয়েছিলেন, সেই চেতনাকে ধারণ করে এখন আমাদের সময় এসেছে রুখে দাঁড়ানোর।
জাগ্রত বাংলাদেশের (জেবিডি) সভাপতি আজমুল জিহাদ বলেন, যদি আজ আমার দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ, আমার শ্রমিক, আমার রিক্সাচালক ভাই, এতো দাম দিয়ে ভোগ্যপণ্য কিনতে না পারেন, তার সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে না পারেন, আর তখন যদি তারা চুরি ছিনতাই করতে বাধ্য হন, তাহলে এর দায় কার? আজ সিন্ডিকেটের কারনে স্লাইনের অভাবে যদি কোন এক কোমল শিশু মায়ের বুক খালি করে দুনিয়া ছেড়ে চলে যায়, তাকে কেন রাষ্ট্রীয় অব্যবস্থার কারণে পরিকল্পিত মার্ডার বলা হবে না? এমন ব্যবস্থা চলতে দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী কি করে তার পদে বহাল থাকেন? সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে জনতার মুক্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। জনতার লড়াই অব্যাহত থাকবে, যতক্ষণ না জনতা তার কাঙ্ক্ষিত মুক্তি পান।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নুরুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, মেহনতি মানুষের মুখের খাবারে ভাগ বসিয়েছে আজ সিন্ডিকেট নামক চক্র। তারা হাতিয়ে নিচ্ছে জনতার মাথার ঘাম পায়ে ফেলা অর্থ। সে অর্থ পাচার করে বিদেশে বেগমপাড়া বানাচ্ছে।
সহ-সভাপতি অ্যাড. এইউজেড প্রিন্স বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রীর বাণিজ্যের শেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।
...
প্রকাশ : ১ বছর আগে
আপডেট : ১ বছর আগে
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: সিন্ডিকেট মাফিয়াদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে জেবিডির আহ্বান