ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে শেফালী বেগম (২৭) নামে এক নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে শহরের কলেজ গেইট ও শিমরাইল কান্দির মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।পরে রেলওয়ে পুলিশ শেফালীকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাW।শেফালী সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের জগৎসার গ্রামের সালাউদ্দিনের স্ত্রী।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলগেইট থেকে ১০০ গজ দূরে কলেজ গেইট ও শিমরাইল কান্দির মাঝামাঝি এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্রগ্রাম অভিমুখী মালবাহী ট্রেনের নিচে শেফালী ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে শেফালীর ডান হাত তার শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে রেলওয়ে পুলিশ শেফালীকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠান।গুরুত্বর আহত শেফালীর স্বামী সালাউদ্দিন বলেন, শেফালী প্রতিনিয়ত মরে যাবে, তার অশান্তি লাগে, বাঁচবে না, এসব কথাই বলতো। তারপরও আমি শেফালীকে বোঝাতাম। মঙ্গলবার দুপুরে শেফালী রাধিকা বাজারে ওষুধের জন্য যায়। পরে আর শেফালীর খোঁজ পাইনি। পরে জানতে পারি সেফালী ট্রেনে কাটা পড়েছে। কী কারণে ট্রেনে কাটা পড়েছে এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ফাঁড়ির (ইনচার্জ) এসআই মো. হাতিম আলী ভূইয়া জানান, দুপুরে শেফালী বেগম নামে এক নারী চট্রগ্রাম অভিমুখী মালবাহী ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করি। বর্তমানে শেফালীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
১৫ নভেম্বর ২০২৩ ১০:০৬ এএম
কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কুতুবদিয়ায় পৃথক ২ টি ঘটনায় ২ জন বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন ও লেমশীখালী ইউনিয়নে পৃথক স্থানে এ ২ টি ঘটনা ঘটেছে। তাদেরকে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ১ জনের অবস্থা আশংকাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।১৩ নভেম্বর সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের তবলরচর এলাকার রহমতুল্লাহর ছেলে মো. ফোরকানের (৩০) সাথে তার স্ত্রীর অভিমানের কারনে আত্মহত্যার জন্য ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে ফোরকান। পরে স্বজনেরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ফোরকানের অবস্থা আশংকাজনক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এদিকে, স্বজনেরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন বলে জানান।একইদিন দুপুর সাড়ে ১২ টায় উপজেলার লেমশীখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের গাইট্টাখালী এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে বজল করিম (১৫) বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তার চাচাতো বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবার বিয়ের প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বজল করিম। পরে, অসুস্থ অবস্থায় স্বজনরা তাঁকে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ।এ ঘটনায় কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ২ টি ঘটনার কেউ অভিযোগ করেননি।
১৩ নভেম্বর ২০২৩ ০২:৩২ পিএম
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জে ৭ বছরের পুত্রসহ বিষপান করেছেন মিতা সরকার (৩০) নামে এক গাইনী চিকিৎসক। বিষপানে হাসপাতালে শিশু রনজয় মন্ডল রুশোর মৃত্যু হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে জেলা সদর হাসপাতালে শিশুটির মৃত্যু হয়। অপরদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় দুপুরে ডা. মিতা সরকারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।পুলিশ ও পারিবার সূত্রে জানা গেছে, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সাবেক উপ-পরিচালক ডা. রঞ্জিত মন্ডলের ছেলে ডা. রঞ্জন মন্ডলের সাথে ৮/৯ বছর আগে বিয়ে হয় ডা. মিতার । সে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকার নারায়ন সরকারের কন্যা। বিয়ের পর তাদের সংসারে রুশো নামে ১ পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। গত ২ বছর আগে মিতা ও রঞ্জনের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর থেকে মিতা তার সন্তান রুশোকে নিয়ে শহরের গঙ্গাধরপট্টি এলাকার খান মজলিস টাওয়ারের ৬ তালার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। পাশাপাশি তিনি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ট্রমা জেনারেল হাসপাতালের নিয়মিত গাইনী চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।এদিকে নিহত শিশুর দাদা ডা: রঞ্জিত মন্ডল তার নাতনিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন সাবেক পুত্রবধু মিতা সরকারের বিরুদ্ধে।তিনি বলেন, ডা. মিতা সরকার তার কর্মস্থলের আরেক চিকিৎসক অর্ঘ্য সরকারের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত ছিলো। পরকীয়ার কারণেই সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।এদিকে মিতা সরকারের কথিত প্রেমিক সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো এ্যানেস্থেসিয়ার চিকিৎসক অর্ঘ্য সরকার জানান, মিতা আমার ভালো বন্ধু ছিলো। মিতা আমাকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলো। বিচ্ছেদের পর থেকে সে হতাশায় ভুগছিলো, হতাশা থেকেই এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।মানিকগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তান (ওসি) মো. আব্দুর রউফ সরকার জানান, সকালে খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহালের জন্য মর্গে স্থানান্তর করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে ঐ চিকিৎসক সন্তানসহ বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০১:৪০ পিএম