স্মার্ট বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর চিন্তার ফসল: ইবি উপাচার্য
ইবি প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেছেন, আজকের ডিজিটাল বলি বা স্মার্ট বাংলাদেশ বলি সবই জাতির জনকের চিন্তার ফসল। একটা জাতিকে যুদ্ধের মাঝ দিয়ে জন্ম দিয়ে, ধ্বংস থেকে টেনে তুলে আগামী ভবিষ্যতে কোন দিকে হাঁটবে তা বঙ্গবন্ধুর চিন্তার বাইরে আমরা নতুন করে নির্ধারণ করতে পারি নাই।১৭ মার্চ রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।এ সময় উপাচার্য আরও বলেন, আজ বাঙ্গালির স্বপ্নদ্রষ্টার জন্মদিন। ১৯২০ সালে বিধাতা হয়তো অন্ধকারে এই মানুষটার জন্ম দিয়েই বাংলাদেশকে আলোকিত করতে চেয়েছিলেন। মাত্র ৫৫ বছরের জীবন তার। আমি খুব অবাক হই যে এত অল্প সময়ে বঙ্গবন্ধু তার অর্জনের স্বর্ণ শিখড়ে পৌঁছে গেছেন। সারা জীবন রাজনীতি করলেন, কিন্তু রাজনীতিতে দেওয়ার জন্য সময় পেলেন মাত্র সাড়ে ৩ বছর। তার কন্যা আমাদের নীল সীমানা উপহার দিয়েছেন, আমাদের সীমান্ত দিয়েছেন, আকাশে স্যাটেলাইট দিয়েছেন যার সব কিছুর ভিত্তি ছিলেন জাতির জনক।ইবি উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুকে চেনা, বঙ্গবন্ধুকে পড়া, জানা, বোঝা ও চর্চার এই উদ্যোগগুলোর সাথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় থাকবে বলে আমরা অঙ্গীকার করছি। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় দিবস উদযাপনে অংশগ্রহণের হার যেন আরো বৃদ্ধি পায় সেদিকে সচেষ্ট থাকার আহবান জানাচ্ছি।আলোচনা সভায় ১৭ মার্চ উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূইয়া, স্বাগত বক্তা হিসেবে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ভাষণ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।এর আগে, সকাল দশটায় দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের নেতৃত্বে এক আনন্দ র্যালি বের হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে “মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব” মুর্যাল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। র্যালি শেষে “মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে” বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ।এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, হল, সকল পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন সমিতি, পরিষদ, ফোরাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ অন্যান্য সংগঠন শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।