তরুণীকে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় মূল হোতা আটক
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার কেরানীগঞ্জে মসজিদের পুকুর থেকে অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মূল হোতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার একবছর পর হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা শাওন (২৬) কে গ্রেফতার করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। শাওন শরীয়তপুরের পালং থানাধীন ডুমসার গ্রামের মোসলেম মাতবরের ছেলে।২৫ জুলাই মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটায় ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত ১৭ জুলাই নয়ন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত রাকিব, আলী আকবর, সজীব ও রিয়াজকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের তারা বামনশুর এলাকায় ২০২২ সালের ১১ জুন উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ সম্বন্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়।তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের পর চাঞ্চল্যকর মামলা হিসাবে পিবিআই মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে। কিন্তু ১ বছর অতিবাহিত হলেও মামলার কোন কূলকিনারা করতে পারেনি পিবিআই। পরবর্তীতে আমরা চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়ায় পিবিআইয়ের কাছ থেকে মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করি। এরপর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে শরীয়তপুর থেকে শাওনকে গ্রেফতার করা হয়।হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি শাওনের বরাত দিয়ে হত্যার ঘটনার বিবরণে তিনি জানান, অজ্ঞাত নিহত তরুণীর নাম মারিয়া (১৭)। মারিয়া এবং বৃষ্টি দুজনে বান্ধবী। ঘটনার দিন সকালে বৃষ্টি মারিয়াকে সাথে নিয়ে তার ছেলে বন্ধু রাকিবের সাথে খোলামোড়া টিনের মসজিদ এলাকায় দেখা করতে আসে। সারাদিন তারা ঘোরাঘুরির পর সন্ধ্যায় রাকিবের বন্ধু সজীব, আলী আকবর, রিয়াজ ও শাওন তাদের সাথে যোগ দিয়ে সবাই মিলে ইয়াবা সেবন করে। এরপর রাকিব ও বৃষ্টি খোলামোড়া টিনের মসজিদের পার্শ্ববর্তী জঙ্গলের ভেতর একটি পরিত্যক্ত ঘরে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। পরে রাকিব বৃষ্টিকে নিয়ে সেখান থেকে চলে গেলে সজীব, আলী আকবর, রিয়াজ ও শাওন মারিয়াকে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে। মারিয়া তখন এ ঘটনা পুলিশকে জানানোর ভয় দেখালে শাওন মারিয়াকে ধরে মাটিতে ফেলে দিলে রিয়াজ ও সজীব মারিয়ার হাত পা চেপে ধরে এবং শাওন ও আলী আকবর গলার ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মারিয়াকে। পরে তারা মারিয়ার মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে অটো রিক্সায় করে নিয়ে মসজিদের পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায়।হত্যাকান্ডের ঘটনা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়ার জন্য শাওনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও আসামি রাকিব, আলী আকবর, সজীব ও রিয়াজ ৮ জুলাই মালঞ্চ এলাকায় অটোচালক নয়ন হত্যার ঘটনায় আগে থেকেই কারাগারে রয়েছে।
