আলগামন চালককে মারধর করে লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ
মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনীতে রানা (১৮) নামের এক আলগামন চালককে মারধর করে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বাদী হয়ে গাংনী থানায় ভুক্তভোগীর পিতা শফিকুল ইসলাম একটি অভিযোগ দায়ের করেন।৪ জুলাই মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলার সহড়াতলা গ্রাম থেকে কাজিপুরে যাওয়ার পথে আতাতলা মাঠের পাশে রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।মামলার বাদী ও রানার পিতা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের সহড়াতলা গ্রামের সেন্টুর ছেলে বেল্টু (২৮), পল্টুর ছেলে মারুফ হোসেন (২২) এবং জাবেদ আলীর ছেলে পল্টু (৫০) পূর্বশত্রুতার জেরে আমার ছেলেকে মারধর করে জমি বিক্রির ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। টাকা নিরাপদে রাখাতে ছেলে রানাকে দিয়ে কাজিপুরে আমার মেয়ের বাড়িতে পাঠিয়েছিলাম কিন্তু তারা বিষয়টি টের পেরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিতভাবে আমার ছেলেকে মারধর করে টাকাগুলো ছিনিয়ে নিয়ে যায়।মারধরের শিকার রানা বলেন, জ্বালানি কাঠের ভাড়া নিয়ে আমি কাজিপুরে যাচ্ছিলাম। এসময় বাবা আমাকে ডেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে বড় বোনের বাড়িতে নিরাপদে রেখে আসতে বলেন। যাওয়ার পথে আতাতলা মাঠের মধ্যে রাস্তার উপরে দেখি রড, ধারালো হাঁসুয়া ও লোহার হাতুড়ি হাতে দাড়িয়ে আছে বেল্টু, পল্টু ও মারুফ। আমাকে দেখে বেল্টু লোহার হাতুড়ি নিয়ে এগিয়ে এসে থামতে বলে। আমি না থামতে চাইলে মারুফ রড হাতে আমার পায়ে ও পিঠে আঘাত করে। এ সময় পল্টু আমার লুঙ্গির কোছায় থাকা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমি বাঁধা দিলে বেল্টু হাতুড়ি দিয়ে আমার পিঠে আঘাত করে এবং জোরপূর্বক টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। পরে সেখানে থাকা কয়েকজন আমাকে উদ্ধার করে বাড়িতে খবর দিলে আমাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুস শুকুর বলেন, আমি মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে রানাকে আলগামনে কাঠ নিয়ে যেতে দেখি। পরে চিৎকার শুনে এগিয়ে গিয়ে দেখি তাকে মাটিতে ফেলে মারধর করছে কয়েকজন। পরে শুনি তার কাছে থাকা ১ লাখ ২০ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। একই রকম কথা বলেন এ ঘটনার আরও দুজন প্রত্যক্ষদর্শী গোলাম রহমান ও রেজাউল ইসলাম।তবে বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্তদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
