‘জাবির চলামন ঘটনার সুরাহ না হওয়া পর্যন্ত সিন্ডিকেট বসতে দেয়া হবে না’
জাবি প্রতিনিধি: সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনায় উত্তপ্ত ক্যাম্পাস। এ ঘটানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবাই ক্ষুব্ধ। এমন ঘটনা তৈরি হয়েছে পূর্ববর্তী ঘটনাগুলোর বিচার না হওয়ার কারণে। শিক্ষক জনির যৌন নিপীড়নের বিচার না হওয়াও এ ঘটনার পিছনে সাহস জুগিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার।উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, শিক্ষক জনিসহ বর্তমান ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত ত্রুটিমুক্ত শাস্তির ব্যাবস্থা না নেয়া হলে বুঝবো আপনারা ইচ্ছা করেই এসব করিয়েছেন। ধরে নিবো এর জন্য আপনিই দায়ি। বিশ্ববিদ্যালয়ের চলামন ঘটনাগুলোর সুরাহ না হওয়া পর্যন্ত সিন্ডিকেট বসতে দেওয়া হবে না।৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে 'নিপীড়ন বিরোধি মঞ্চ' কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধন ও ভিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।দর্শন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, মোস্তাফিজরা মেধার সাক্ষর রেখে স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আজ তারা ধর্ষক। এ দায় কি তাদের একার? প্রশাসনেরও আছে। তাদের মাধ্যমেই প্রশাসন টিকে থাকে। আজ আপনারা আনন্দোলনে দাঁড়িয়েছেন, এখানে যদি হেরে যান তাহলে এ হার কিছু মানুষের বা জাহাঙ্গীর নগরের নয়, এ হারে মানচিত্র ধ্বংস হয়ে যাবে। আশা করি এ আনন্দোলন ব্যর্থ হবে না। কারণ এর সাথে জড়িয়ে আছে মূল্যবোধ এবং মানবতাবোধ।ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলি বলেন, নিপীড়ক শিক্ষার্থী ও তাকে সহায়তাকারিদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অপরাধী ও অবৈধ এই শিক্ষার্থীর সদনপত্র ও ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজ ব্যয়ে বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা লড়ে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নিষ্ক্রিয় ও নির্বিকার অ্যাখ্যা দিয়ে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, আমরা এমন একজন উপাচার্যকে পেয়েছি, যিনি নিষ্ক্রিয় ও নির্বিকার। ক্যাম্পাসে যত ঘটনা ঘটে, এর প্রেক্ষিতে তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তিনি বড়জোর একটা নির্দেশ পাঠান কিন্তু এর কিছুই বাস্তবে ঘটে না। আমরা অছাত্রদের বেড় করার কথা বলেছি, তিনি শুধু নির্দেশ দিয়ে নির্বিকার হয়ে বসে আছেন।মানববন্ধন ও ভিক্ষোভ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিমসহ আরও অনেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বক্তব্য রাখেন।