নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নে চলছে জমজমাট জুয়া ও মাদক সেবনের আসর। সন্ধ্যা লাগার সাথে সাথে শুরু হয় এবং এ জুয়ার আসর চলে রাতব্যপী। রাতের আঁধারে বেশ কয়েকটি স্পটে বসছে এসব জুয়া ও মাদক সেবনের আসর । এই জুয়া ও মাদক সেবনের কারণে এলাকার সামাজিক পরিবেশ চরমভাবে বিনষ্টের পাশাপাশি, বেড়েই চলেছে চুরি ছিনতাইয়ের মতো জঘন্যতম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।অনুসন্ধানে জানা যায়, মহারাজপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের আমবাগান, ৩নং ওয়ার্ডের চৌধুরীবাড়ি ও গোয়ালটুলি গোরস্থানের আশপাশের এলাকা, ৪নং ওয়ার্ডের নামোগাঁ নদীরপাড়, ভাগ্যবানপুর গাইনপাড়া নদীরপাড়, আকন্দবাড়ীয়া ও মহারাজপুর ফিল্টের হাট সংলগ্ন মহানন্দা নদীর পাড় এলাকায় বসে জুয়ার মেলা। সেই সাথে বসে মাদক সেবনের জমজমাট আসর।এছাড়াও কখনো কখনো, মহানন্দা নদীতে, ভাসমানভাবে নৌকায় চড়ে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই বসছে এসব জুয়ার আসর। এই জুয়ার কারণে সর্বস্বান্ত হচ্ছে এলাকার শত শত পরিবার। নিমিষে ধ্বংস হচ্ছে তাদের অদূর ভবিষ্যৎ। সেখানে শুধু জুয়াই নয়, প্রতিটি জুয়ার স্পটে হরহামেশাই বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা ফেনসিডিল, হেরোইন, মদ, গাজাসহ জীবন ধ্বংসাত্মক বিভিন্ন রকম মাদক এবং লাগামহীনভাবে সেখানে চলে জুয়াড়িদের মাদক সেবন।অভিযোগ আছে. জুয়া সিন্ডিকেটের মূল হোতারা সরকারদলীয় কিছু কিছু স্থানীয় অসাধু নেতাকে বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তাদের ম্যানেজ করেই এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ চালিয়ে যাচ্ছে এই জুয়া ও মাদকের রঙ্গলিলা।আর এসব জুয়া ও মাদকের আসরে অংশগ্রহণ করছে বেশির ভাগই এলাকার উঠতি বয়সী তরুণ যুবকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। জুয়া ও মাদক আসরের খপ্পরে পড়ে, সর্বস্বান্ত হয়ে তারা এলাকার বাড়ি ঘরে চুরি, রাস্তাঘাটে মোবাইল ছিনতাই, ছিঁচকে চুরসহ, জড়িয়ে পড়ছে সব ধরনের অপরাধের সাথে। ফলে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ভয়াবহ অপরাধের চিত্র। সেই সাথে আশঙ্কাও রয়েছে আইন শৃঙ্খলা অবনতির ।স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রতি এলাকার গণ্যমান্য জনসচেতন মহলের প্রত্যাশা, প্রতিটা জুয়ার আসর এবং মাদকের স্পটে, শক্তভাবে অভিযান পরিচালনা করে, এসব অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে, গ্রেফতারের পাশাপাশি, তাদেরকে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থার জোর দাবি জানান।এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু রহমান মুঠোফোনে জানান, মহারাজপুর ইউনিয়নে জুয়া খেলা ও মাদক সেবনের বিষয়টি শুনেছি। তবে জুয়ারীরা খুব সু-চতুর, পুলিশ যাওয়ার আগেই তারা পালিয়ে যায়। তবে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে কঠোর ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে, তাতে যেই হোক না কেন, কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।এ বিষয়ে সচেতন এলাকাবাসী, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদেরও সহযোগিতা কামনা করেন ওসি।
২২ মার্চ ২০২৪ ০৯:৪৫ এএম
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে দেশীয় মদ পানে অসুস্থ হয়ে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তারা সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে।৩ মার্চ শনিবার রাতে তাদেরকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- গাজীপুর জেলার ভাওয়াল কলেজ এলাকার সতীশ সরকারের ছেলে দীপু সরকার (২৯) এবং হরিরামপুর উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের দাসকান্দি বয়ড়া গ্রামের মৃত প্রকাশ সরকারের ছেলে প্রসেনজিৎ সরকার (২১)।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে মামাতো বোনের বিয়েতে আসেন দীপু সরকার। শুক্রবার মধ্যরাতে সেখানে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে দেশীয় মদ পান করে কয়েকজন যুবক। শনিবার সকালের দিকে অসুস্থ হয়ে যান দীপু ও প্রসেনজিৎ। পরে শনিবার সন্ধ্যায় প্রসেনজিৎকে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে অবস্থা গুরুতর থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।স্থানীয়রা মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে প্রসেনজিৎ মারা যান। এদিকে, দীপু সরকারকে মানিকগঞ্জ মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক দীপুকেও মৃত ঘোষণা করেন।হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রাশেদা নাজনীন বলেন, শনিবার প্রসেনজিৎকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। আমরা সাথে সাথে চেক-আপ করে তার পালস পাচ্ছিলাম না। পরে তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে দেই।দেশীয় মদ পানে মৃত্যু কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারছি না।মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি হাবিল হোসেন জানান, হাটিপাড়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুরে মদপানে দু’জন মারা গেছেন। এ ঘটনায় আইনি বিষয় প্রক্রিয়াধীন।স্থানীয়দের বরাতে হরিরামপুর থানা ওসি (তদন্ত) মুজিবুর রহমান বলেন, মানিকগঞ্জ সদর থানা এরিয়ার হাটিপাড়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুরে মদপানে দুজন মারা গেছে। এরমধ্যে একজন হরিরামপুরের। আরেকজন গাজীপুরের। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
০৩ মার্চ ২০২৪ ০৩:২৫ পিএম
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকায় দেশীয় মদপান করে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের বাটাজোর গ্রামে।নিহতরা হলেন- উপজেলার বাটাজোর গ্রামের জাফর খানের ছেলে আরিফ খান (৪০) ও একই গ্রামের আশরাফ খানের ছেলে আদনান খান (৩২)।স্থানীয়রা জানান, ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতের কোনো একসময় আরিফ ও আদনান বন্ধুদের সঙ্গে মদপান করেন। বুধবার ভোর থেকে তাদের পাতলা পায়খানা ও বমি শুরু হয়। প্রথমে আরিফ খানকে সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর সকাল ৭টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।অপরদিকে আদনান খানও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার দুপুর ১২টার সময় মৃত ঘোষণা করেন।ভালুকা উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান লিটন বলেন, আমার ইউনিয়নে দুই যুবক মারা গেছেন বলে শুনেছি। কিন্তু মদপান করে মারা গেছেন কি না জানি না।ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
০১ মার্চ ২০২৪ ০৭:০৪ এএম
ধর্ম ডেস্ক: মদ্যপান সরাসরি কোরআনে ঘোষিত অকাট্য হারাম কাজ। অনেকে আনন্দ-ফুর্তি, উদযাপনের অংশ হিসেবে মদ পান করে থাকেন, যা সম্পূর্ণ হারাম। এ পানীয় পান করা অনেকে স্বাভাবিক ব্যাপার মনে করেন। শারীরিক বিভিন্ন ক্ষতির পাশাপাশি ধর্মীয় বিধি-নিষেধের ব্যাপারটি তারা ভুলে যান।পবিত্র কোরআনে মদ পানকে শয়তানের কর্ম বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন,یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنَّمَا الۡخَمۡرُ وَ الۡمَیۡسِرُ وَ الۡاَنۡصَابُ وَ الۡاَزۡلَامُ رِجۡسٌ مِّنۡ عَمَلِ الشَّیۡطٰنِ فَاجۡتَنِبُوۡهُ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ اِنَّمَا یُرِیۡدُ الشَّیۡطٰنُ اَنۡ یُّوۡقِعَ بَیۡنَکُمُ الۡعَدَاوَۃَ وَ الۡبَغۡضَآءَ فِی الۡخَمۡرِ وَ الۡمَیۡسِرِ وَ یَصُدَّکُمۡ عَنۡ ذِکۡرِ اللّٰهِ وَ عَنِ الصَّلٰوۃِ ۚ فَهَلۡ اَنۡتُمۡ مُّنۡتَهُوۡنَহে মুমিনগণ, মদ, জুয়া, প্রতিমা-বেদী ও ভাগ্যনির্ধারক তীরসমূহ নাপাক শয়তানের কর্ম। সুতরাং তোমরা তা পরিহার কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। শয়তান মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চার করতে চায়। আর (চায়) আল্লাহর স্মরণ ও সালাত থেকে তোমাদের বাধা দিতে। অতএব, তোমরা কি বিরত হবে না? (সুরা মায়েদা: ৯০-৯১)ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন,لَعَنَ اللَّهُ الْخَمْرَ وَشَارِبَهَا وَسَاقِيَهَا وَبَائِعَهَا وَمُبْتَاعَهَا وَعَاصِرَهَا وَمُعْتَصِرَهَا وَحَامِلَهَا وَالْمَحْمُولَةَ إِلَيْهِ আল্লাহর লানত মদের ওপর, মদ পানকারীর ওপর, যে পান করায় তার ওপর, যে বিক্রি করে তার ওপর, যে ক্রয় করে তার ওপর, যে মদ তৈরি করে, যার নির্দেশে তৈরি করে, যে ব্যক্তি বহন করে এবং যার জন্য বহন করে তাদের সবার ওপর। (সুনানে আবু দাউদ)রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি মদ পান করে ৪০ দিন পর্যন্ত তার নামাজ কবুল হয় না। হ্যাঁ, সে যদি তওবা করে আল্লাহ তাআলা তার তওবা কবুল করেন। (সুনানে তিরমিজী, হাদিস: ১৮৬২, ইমাম তিরমিজী এই হাদিসকে হাসান বলেছেন)এ হাদিসের উদ্দেশ্য মদ্যপান কত গর্হিত গোনাহ তা বোঝানো এবং মানুষকে সাবধান করা। অনেকের মধ্যে একটা ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে যে, মদ খেলে ৪০ দিন শরীর নাপাক থাকে এবং নামাজ পড়লে নামাজ শুদ্ধ হয় না। এ ধারণা সঠিক নয়। মদ নাপাক ও মদ্যপান গর্হিত হারাম কাজ হলেও, শয়তানের ধোঁকায় পড়ে কখনও মদ খেয়ে ফেললে সেজন্য নামাজ বাদ দেওয়া যাবে না। নামাজ পড়তে হবে এবং মদ খাওয়ার গর্হিত গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।
১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৯:৪৭ এএম